রাজ্যের ৩৩ জেলার ৭৯টি স্থানে বসছে ২০০টি অতিরিক্ত বিদেশি ট্ৰাইবুনাল

রাজ্যের ৩৩ জেলার ৭৯টি স্থানে বসছে ২০০টি অতিরিক্ত বিদেশি ট্ৰাইবুনাল

গুয়াহাটিঃ জেলাশাসকদের পেশ করা রিপোর্টের ওপর ভিত্তি করে রাজ্য সরকারের গৃহ ও রাজনৈতিক বিভাগ গোটা রাজ্যের ৩৩টি জেলার ৭৯টি স্থানে ২০০টি অতিরিক্ত বিদেশি ট্ৰাইবুনাল(এফটি)স্থাপনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। অতিরিক্ত বিদেশি ট্ৰাইবুনালগুলোর জন্য সংশ্লিষ্ট জেলাগুলির কি কি সামগ্ৰীর প্ৰয়োজন তা দাখিল করতে জেলাশাসকদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

চলতি বছরের ৩১ আগস্টে প্ৰকাশিত চূড়ান্ত রাষ্ট্ৰীয় নাগরিক পঞ্জি থেকে বাদ পড়া লোকেদের মামলাগুলোর আবেদন গ্ৰহণ ও তার শুনানি ও নিষ্পত্তির জন্যই এই অতিরিক্ত ট্ৰাইবুনালগুলি স্থাপন করা হচ্ছে।

কামরূপ ও নগাঁও জেলার প্ৰত্যেকটিতে সর্বোচ্চ সংখ্যক ১৫টি করে বিদেশি ট্ৰাইবুনাল স্থাপন করা হচ্ছে। এরপর হোজাই জেলায় ১০,দরং,কাছাড় ও তিনসুকিয়া জেলার প্ৰত্যেকটিতে ৯টি করে,ধুবড়ি,গোয়ালপাড়া,হাইলাকান্দি,কামরূপ,করিমগঞ্জ,মরিগাঁও,শোণিতপুর জেলায় ৮টি করে,বরপেটা,যোরহাট,লখিমপুরের প্ৰত্যেকটিতে ৭টি করে,বাকসায় ৬টি,বিশ্বনাথ,বঙাইগাঁও,গোলাঘাট এবং কোকরাঝাড়ে ৫টি,ওদালগুড়ি,কার্বি আংলং ৪টি করে,ধেমাজি,ডিব্ৰুগড় এবং শিবসাগরে ৩টি করে,চিরাং,নলবাড়ি ও দক্ষিণ শালমারা-মানকাচর এবং পশ্চিম কার্বি আংলং জেলায় প্ৰত্যেকটিতে ২টি করে,চরাইদেউ,ডিমা হাসাও এবং মাজুলির প্ৰত্যেকটিতে ১টি বিদেশি ট্ৰাইবুনাল স্থাপন করা হচ্ছে।

চূড়ান্ত এনআরসি প্ৰকাশের পরপরই রাজ্যের গৃহ ও রাজনৈতিক বিভাগ এর আগে রাজ্যের মাত্ৰ ৮টি জেলায় ২০০টি অতিরিক্ত বিদেশি ট্ৰাইবুনাল স্থাপনের পরিকল্পনা নিয়েছিল। ওই সিদ্ধান্ত মতে তখন ঠিক হয়েছিল সর্বোচ্চ সংখ্যক ৬৭টি অতিরিক্ত এফটি কামরূপ(মেট্ৰো),৩৯টি নগাঁও,৩১টি যোরহাটে,২১টি তেজপুরে,২০টি শিলচরে,১০টি ধুবড়িতে,৭টি কোকরাঝাড়ে এবং ৫টি বঙাইগাঁওয়ে স্থাপনের কথা। তবে গৃহ ও রাজনৈতিক বিভাগ তাদের ওই সিদ্ধান্ত পুনরায় পর্যালোচনা করে। গৃহ ও রাজনৈতিক বিভাগ ইতিমধ্যেই ২২১ জন এফটি সদস্য বা বিচারপতি নিয়োগ করে গৌহাটি হাইকোর্টের বাছাই করা প্ৰার্থী তালিকা থেকে। নতুন করে গঠিত ২০০টি এফটি-র জন্য মোট ২০০ জন বিচারপতি নিয়োগ করা হয়েছে। বর্তমানে থাকা ১০০টি এফটি-র খালি পদের জন্য আরও ২১ জন বিচারপতি নিয়োগ করা হয়েছে। চূড়ান্ত এনআরসি প্ৰকাশের পর এখন এফটিগুলোর ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে পড়েছে।

চূড়ান্ত এনআরসি থেকে নামছুট ব্যক্তিরা এনআরসি কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে রিজেকশন নোটিশ(প্ৰত্যাখানের নোটিশ)পাওয়ার ১২০ দিনের মধ্যে যেকোনও এফটিতে আবেদন জানাতে পারবেন। চূড়ান্ত এনআরসি থেকে বাদ পড়া কোনও অযোগ্য ব্যক্তি যদি নিজে থেকে কোনও আপিল না করেন তাহলে তাদের নাম এফটিতে পাঠানোর জন্য জেলা প্ৰশাসনকে কর্তৃত্ব দেওয়া হয়েছে। সংশ্লিষ্ট নাম ছুটদের শুনানি ও প্ৰাসঙ্গিক নথিপত্ৰ খুটিয়ে দেখার পর এফটি বিচারপতিরা সেই ব্যক্তি ভারতীয় না বিদেশি এবং এনআরসিতে অন্তর্ভুক্তির যোগ্য না অযোগ্য সে ব্যাপারে তাদের মতামত অথবা রায় দেবেন।

বর্তমানে রাজ্যে ১০০টি বিদেশি ট্ৰাইবুনাল রয়েছে বিদেশি চিহ্নিতকরণের জন্য। অসম সরকার ১০০০টি এফটি স্থাপনের জন্য কেন্দ্ৰীয় স্বরাষ্ট্ৰ মন্ত্ৰককে(এমএইচএ)প্ৰস্তাব দিয়েছিল। তবে স্বরাষ্ট্ৰমন্ত্ৰক রাজ্যে ৪০০টি এফটি স্থাপনের অনুমোদন জানায়। নতুন ২০০টি ট্ৰাইবুনালে কাজ শুরু হলে রাজ্যে এধরনের ট্ৰাইবুনালের সংখ্যা ৩০০টিতে বৃদ্ধি পাবে। অতিরিক্ত এফটিগুলো অক্টোবরের শেষাশেষি অথবা নভেম্বরের গোড়াতে কর্মক্ষম হয়ে উঠবে বলে আশা করা হচ্ছে।

২০১৯-এর ৩১ মার্চ পর্যন্ত সর্মনোট ২,০৭,৩১১টি মামলা এফটিগুলোতে ঝুলছে। ওদালগুড়ি-১ এফটিতে সর্বোচ্চ সংখ্যক ৮,১১৯টি মামলা ঝুলছে এখনও। সদ্য প্ৰকাশিত চূড়ান্ত এনআরসি থেকে বাদ পড়েছেন ১৯,০৬,৬৫৭ জন ব্যক্তির নাম।

অধিক খবরের জন্য ভিডিও দেখুন: Onion Prices in Guwahati to rise upto Rs 75, claims Report | The Sentinel News | Assam News

Related Stories

No stories found.
logo
Sentinel Assam- Bengali
bengali.sentinelassam.com