নয়ডায় সুপ্ৰিম কোর্টের ৬০ বছর বয়সী আইনজীবী খুন

নয়ডায় সুপ্ৰিম কোর্টের ৬০ বছর বয়সী আইনজীবী খুন

নয়্ডাঃ নয়ডায় ৬০ বছর বয়সী সুপ্ৰিমকোর্টের একজন মহিলা আইনজীবীকে খুনের চাঞ্চল্যকর ঘটনা প্ৰকাশ্যে এসেছে। পুলিশ নয়ডার সেক্টর ৩১-এ থাকা বাংলোর ভিতর থেকে মহিলা আইনজীবীর মৃতদেহ উদ্ধার করেছে। খুন হওয়া আইনজীনীর নাম কুলজিৎ কৌর। সুপ্ৰিমকোর্টে আইনজীবীর পেশায় জড়িত ছিলেন তিনি।

হত্যাকাণ্ডটি ঘটে মঙ্গলবার রাতে। পুলিশ একথা জানিয়ে বলেছে,বাড়িতে নিযুক্ত ঘরোয়া কাজের লোকেরাই এই হত্যাকান্ডে জড়িত থাকতে পারে বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। স্বামী,স্ত্ৰী দুজন ব্যক্তি আইনজীবীর ঘরের কাজ সামাল দিচ্ছিল। হত্যাকান্ডের পরপরই স্বামী-স্ত্ৰী উভয়েই ওই বাড়ি থেকে উধাও হয়ে যায়। আইনজীবী কৌরকে হাত-পা শক্ত করে বাধা অবস্থায় পুলিশ উদ্ধার করে। একখণ্ড কাপড় তাঁর মুখে গুঁজে দিয়েছিল হত্যাকারীরা।

উল্লেখ্য,আইনজীবী কৌর ঘরের কাজকর্মের জন্য সপ্তাহ খানেক আগে ওই স্বামী স্ত্ৰীকে বাড়িতে ঠাঁই দিয়েছিলেন। এরা দুজনেই মিলে আইনজীবীকে হত্যা করেছে তেমনটা সন্দেহ করার যথেষ্ট কারণও রয়েছে। খুন হওয়া আইনজীবীর বাংলো থেকে বেশকিছু মূল্যবান সামগ্ৰী,অলংকার ও নগদ টাকাও খোয়া গেছে। এমনকি আইনজীবীর বাড়ি থেকে তার সাধের হন্ডা সিটি গাড়িটিও তুলে নিয়ে গেছে সন্দেহভাজন খুনিরা। পুলিশ আরও বলেছে,গৃহ পরিচারক ছাড়াও সম্পত্তি নিয়ে যেকোনও ধরনের বিরোধও আইনজীবী হত্যার কারণ হতে পারে বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। হত্যাকাণ্ডের খবর জানার পর আইনজীবী কুলজিতের বোন দিব্যা বাজাজ সেক্টর ২০ থানায় একটি অভিযোগ দাখিল করেছেন। দিব্যা বলেছেন,অনেকবার তিনি বোনের সঙ্গে ফোনে কথা বলার চেষ্টা করেছেন। যতবার তিনি মোবাইলে বোনকে ফোন করেছেন ততবারই ‘আনরিচেবল’ দেখিয়েছে। ফোনে বোনের সঙ্গে কোনও যোগা্যোগ করতে না পেরে দিব্যা সরাসরি নয়ডায় বোনের(আইনজীবী)বাড়িতে সশরীরে এসে উপস্থিত হন। ওখানে গিয়ে দেখেন তাঁর বোন বিছানায় মৃত পড়ে আছে। বাড়ির সবকিছু এলোমেলো অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন। দিব্যা বলেন,‘এরপরই আমি পাড়া পড়শিদের ডেকে আনি এবং মৃতদেহটি তাদের দেখতে বলি। বাড়ির দরজা খোলাই ছিল এবং গাড়িটিও যে নেই সেটা তাদের নজরে আসে।

দিব্যা পুলিশে অভি্যোগ জানানোর পর গৌতম বুদ্ধ নগরের সেক্টর ২০ থানা থেকে এসএসপি বৈভব কৃষ্ণর নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল ছুটে আসে। তিনি বলেন,হাত-পা বাধা এবং মুখে কাপড় গোঁজা অবস্থায় তারা মৃতদেহটি উদ্ধার করেছেন। মৃতের নাকে চাপ চাপ রক্ত জমাট বাধা অবস্থায় দেখা গেছে। দেখে মনে হচ্ছিল আইনজীবীকে গলা টিপে হত্যা করা হয়েছে।

ঘটনার সবিশেষ তদন্তের জন্য বরিষ্ঠ পুলিশ কর্তাদের সঙ্গে লখনৌ থেকে একদল ফরেনসিক টিমও ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছেছে। পুলিশ কর্তারা আরও বলেন,বাড়িতে সিসিটিভি ক্যামরাও ছিল,কিন্তু ডিবিআরটি-র পাত্তা পাওয়া যায়নি।

Related Stories

No stories found.
logo
Sentinel Assam- Bengali
bengali.sentinelassam.com