গুয়াহাটিঃ সারা অসম ছাত্ৰ সংস্থা(আসু)এবং অসম জাতীয়তাবাদী যুব ছাত্ৰ পরিষদের(এজেওয়াইসিপি)একটি উচ্চ পর্যায়ের প্ৰতিনিধিদল নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল(ক্যাব)নিয়ে মঙ্গলবার দিল্লিতে স্বরাষ্ট্ৰমন্ত্ৰী মন্ত্ৰী অমিত শাহর সঙ্গে আলোচনায় অংশ নিচ্ছে। ছাত্ৰ সংগঠনগুলির শীর্ষ নেতারা দ্য সেন্টিনেলকে বলেছেন,সংসদের চলতি অধিবেশনে কেন্দ্ৰ সংশোধিত রূপে ক্যাব আনার যে প্ৰস্তাব রেখেছে তার বিরোধিতা করবে তারা।
আসুর সাধারণ সম্পাদক লুরিনজ্যোতি গগৈ বলেন,‘কেন্দ্ৰীয় সরকার ক্যাব নিয়ে আলোচনার জন্য আমাদের আমন্ত্ৰণ জানিয়েছে। আমরা একটা গণতান্ত্ৰিক ছাত্ৰ সংগঠন। সেইহেতু আলোচনায় আমরা অংশ নিচ্ছি। কিন্তু ক্যাবের বিরোধিতা করেই যাবো আমরা। স্বরাষ্ট্ৰমন্ত্ৰী অমিত শাহকে সরাসরি বলবো,আসু কখনোই ক্যাব মেনে নেবে না,সেটা ক্যাবের পুরনো অথবা নতুন সংস্করণই হোক না কেন। ‘আমরা পুরোপুরি ক্যাবের বিরোধিতা করবো। ক্যাবের নতুন সংস্করণে অসমের ষষ্ঠ তফশিলি ভুক্ত এলাকা এবং উত্তর পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলোর একাংশতে বহাল থাকা ইনার লাইন পারমিট(আইএলপি)বাদ দেওয়ার যে অবস্থান কেন্দ্ৰ নিয়েছে আমরা সেটা মেনে নেবো না।
‘২০১৪ সালের ৩১ ডিসেম্বরের আগে যে সমস্ত হিন্দু বাঙালিরা ভারতে ঢুকেছে কেন্দ্ৰীয় সরকার তাদের নাগরিকত্ব দিতে চাইছে। এটা ধর্মের নামে রাজনীতি ছাড়া আর কিছু নয়। দেশের প্ৰধান রাজনৈতিক দলগুলির সামনে একটা ফেভারিট গেম হয়ে দাঁড়িয়েছে এটা। সংসদের চলতি অধিবেশনে যদি ক্যাব অনুমোদিত হয়,তাহলে সেটা অন্যান্য রাজনৈতিক দল যখন সরকার গড়বে তখন তাদের সামনেও সু্যোগ এনে দেবে ভবিস্যতে ক্যাব সংশোধন করার। তখন তারা বিদেশ থেকে আসা অন্যান্য ধর্মীয় সংখ্যালঘু সম্প্ৰদায়কে নাগরিকত্ব দেওয়ার সু্যোগ পেয়ে যাবে। ‘ক্যাব পরিষ্কারভাবে ভারতীয় সংবিধানের প্ৰস্তাবনায় থাকা ধর্মনিরপেক্ষ চরিত্ৰকে লঙ্ঘন করছে। অবৈধ বিদেশিদের চিহ্নিত করতে অসম চুক্তিতে যে ভিত্তি বছরের উল্লেখ রয়েছে সেটাও লঙ্ঘন করছে ক্যাব’। উল্লেখ্য,অসম চুক্তিতে বিদেশি চিহ্নিতকরণের ভিত্তি বছর ১৯৭১ সালের ২৪ মার্চের মাঝরাতের কথা উল্লেখ রয়েছে। অবৈধ বিদেশিদের বিরুদ্ধে আন্দোলনে অসমে ৮৫৫ জনের বেশি শহিদ হয়েছেন। তাঁদের সেই আত্মত্যাগের কথা কি করে আমরা ভুলে যাবো?
এজেওয়াইসিপি-র সাধারণ সম্পাদক পলাশ চাংমাই বলেন,‘আমরা মঙ্গলবার দিল্লিতে আলোচনায় বসবো। আমরা পথে নেমে ক্যাবের বিরোধিতা করছি। এখন স্বরাষ্ট্ৰমন্ত্ৰী অমিত শাহর সঙ্গে আলোচনায়ও প্ৰস্তাবিত ক্যাবের বিরোধিতা করবো। ক্যাব অসম এবং উত্তর পূর্বাঞ্চলের ভাষা,সংস্কৃতি ও অস্তিত্বের ক্ষেত্ৰে এক গুরুতর হুমকির সৃষ্টি করেছে’।
তিনি আরও বলেন,অসমে ইনার লাইন পারমিট(আইএলপি)চালু করার জন্য আমরা গত ৪০ বছর ধরে লড়ছি। কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ এই ইস্যু নিয়ে না কেন্দ্ৰ না রাজ্য সরকার কেউই কোনও পদক্ষেপ নেয়নি।
অন্যান্য খবরের জন্য পড়ুনঃ আসুর ক্যাব বিরোধী আন্দোলন এড়াতে কপ্টারে ডিব্ৰুগড় থেকে যোরহাটে সোনোয়াল
অধিক খবরের জন্য ভিডিও দেখুন: Massive Protest staged by Aasha Karmi & Anganwadi Workers at Guwahati’s Last gate