সিএএ-র বিরুদ্ধে আসুর সত্যাগ্ৰহে অংশ নিলেন বিভিন্ন সম্প্ৰদায়ের মানুষ

সিএএ-র বিরুদ্ধে আসুর সত্যাগ্ৰহে অংশ নিলেন বিভিন্ন সম্প্ৰদায়ের মানুষ

গুয়াহাটিঃ নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের(সিএএ)বিরুদ্ধে সারা অসম ছাত্ৰ সংস্থার(আসু)নেতৃত্বে বুধবার ছিল সত্যাগ্ৰহের তৃতীয় দিন। তৃতীয় দিনের এই সত্যাগ্ৰহ কর্মসূচিতে বিভিন্ন সংগঠন ও সম্প্ৰদায়ের চার হাজারের বেশি মানুষ অংশগ্ৰহণ করেন। এদিন ক্যা-র বিরুদ্ধে কর্মবিরতি পালন করে সারা অসম কর্মচারী পরিষদ(এসএকেপি)। বিভিন্ন কর্মী ইউনিয়নের সদস্যরা ‘ক্যা’-র বিরুদ্ধে প্ৰতিবাদে সমর্থনের হাত বাড়িয়ে এগিয়ে আসেন। ক্যা বাতিলের দাবিতে তৃতীয় দিনেও আন্দোলনকারীরা ‘হয় ক্যা বাতিল করুন না হলে আমাদের গ্ৰেপ্তার করুন শ্লোগান দিয়ে আকাশ বাতাস কাঁপিয়ে তোলেন। অসমের শিখ,মারোয়াড়ি,ভোজপুরী এবং অন্যান্য হিন্দিভাষী সম্প্ৰদায়ের মানুষ নতুন নাগরিকত্ব আইন রদ করার জন্য কেন্দ্ৰীয় সরকারের কাছে আর্জি জানান। অসমিয়া শিখ সমাজের সভাপতি রাজবীর সিঙ দ্য সেন্টিনেলকে বলেন,‘আমরা ক্যা কখনোই মেনে নেবো না,যা কেন্দ্ৰীয় সরকার অসাংবিধানিকভাবে আমাদের ওপর চাপিয়ে দিতে চাইছে। ‘অসমের বহু পুরনো এই সম্প্ৰদায়ের মানুষ আইনটির বিরুদ্ধে প্ৰতিবাদ জানাতেই এখানে সমবেত হয়েছেন। এই আইন রদ না হওয়া অবধি আমাদের আন্দোলন চলবে’।

‘রাজ্যের বিভিন্ন প্ৰান্তের অসমিয়া শিখ সমাজ এই আইনের বিরুদ্ধে লড়তে এগিয়ে এসেছেন। সরকারের কাছে আমাদের আবেদন আমাদের মাতৃভূমির শান্তি-সম্প্ৰীতি যাতে কোনওভাবে বিঘ্নিত হতে না দেওয়া হয়’। এরআগে আন্দোলনকারীদের উদ্দেশে বক্তব্য রেখে আসুর উপদেষ্টা সমুজ্জ্বল কুমার ভট্টাচার্য বলেন,ক্যা-র বিরুদ্ধে শৃঙ্খলাবদ্ধভাবে এবং অহিংস পন্থায় আন্দোলন চলবে। ভট্টাচার্য বলেন,ক্যা কেন রদ করা যাবে না সে ব্যাপারে সুপ্ৰিম কোর্ট তার কারণ দর্শাতে কেন্দ্ৰীয় সরকারকে নোটিশ ইস্যু করেছে। ‘আমাদের আইনি লড়াই চলবে’। আসুর সাধারণ সম্পাদক লুরিনজ্যোতি গগৈ বলেন,রাজ্যের প্ৰতিটি শহর ও গ্ৰামের সবশ্ৰেণির মানুষ ক্যার বিরুদ্ধে প্ৰতিবাদ জানাতে স্বতঃস্ফূর্তভাবে এগিয়ে এসেছেন। প্ৰত্যেকেই এটা বুঝতে পেরেছেন যে এই আইন কার্যকর হলে সামাজিক সম্প্ৰীতির বাঁধন ছিড়ে যাবে। ‘আমাদের এই আন্দোলনের আড়ালে শুধু আবেগ জড়িয়ে নেই,এর মধ্যে সত্য রয়েছে। সত্য সত্যই। সংখ্যা কখনো সত্যকে চাপা দিতে পারে না। লোকসভা বা রাজ্যসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠতার দৌলতে তারা যা খুশি ইচ্ছে আমাদের ওপর চাপিয়ে দিতে পারে না’।

দমনমূলক ব্যবস্থার মাধ্যমে আমাদের আন্দোলনকে কখনো স্তব্ধ করা যাবে না। দমনমূলক নীতির মাধ্যমে যখন কোনও ফল পাওয়া যায়নি তখন সরকার ব্যাপক সংখ্যক মানুষকে প্ৰলোভিত করার রাজনীতি শুরু করেছে। সরকার ৫৫ হাজার পদে চাকরি দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছে। অথচ এই সরকার এপিডিসিএল-এ ১ হাজার লোককে নিযুক্তি দিতে পারেনি। শিল্পীরা যখন আন্দোলনে শামিল হয়েছেন তখন সরকার অনুদানের কথা ঘোষণা করে তাদের প্ৰলোভিত করার চেষ্টা চালাচ্ছে। তবে কোনও দমনমূলক ব্যবস্থা বা প্ৰলোভনের মাধ্যমে জনগণের কণ্ঠ রোধ করা যাবে না-বলেন গগৈ। সরকারের এসব প্ৰস্তাব সম্পর্কে জানতে চাওয়া হলে জনপ্ৰিয় শিল্পী মানস রবিন বলেন,বৃহস্পতিবার চান্দমারিতে প্ৰতিবাদ চলাকালে শিল্পী সমাজ এই ইস্যুটি নিয়ে আলোচনা করবে।

অধিক খবরের জন্য ভিডিও দেখুন: AASU Rally Against CAA 2019 in Kokrajhar

Related Stories

No stories found.
logo
Sentinel Assam- Bengali
bengali.sentinelassam.com