কার্বি আংলঙে ব্যবসায়ী রাঠোর খুনের ঘটনায় জড়িত সন্দেহে ধৃত পলাতক অ্যাকাউন্টেন্ট

বোকাজানঃ পুব কার্বি আংলঙের প্ৰতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী মূলসিং রাঠোর-এর হত্যাকাণ্ড এবং তাঁর বাড়ি থেকে নগদ অর্থ ও অলংকার ইত্যাদি ডাকাতির ঘটনার রহস্য উদ্ঘাটনে কার্বি আংলং পুলিশ এখনও হিমশিম খাচ্ছে। তবে রাঠোরের ফেরার অ্যাকাউন্টেন্টকে হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার সন্দেহে পুলিশ গত ৮ জুলাই কলকাতা থেকে গ্ৰেপ্তার করেছে। খটখটি থানার ভারপ্ৰাপ্ত অফিসারের নেতৃত্বে কার্বি আংলং পুলিশের একটি দল ব্যবসায়ী খুনের ঘটনায় তৃতীয় সন্দেহভাজন ব্যক্তি সন্দীপ মিশ্ৰকে পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমান জেলার আসানসোল থেকে গ্ৰেপ্তার করে। এরআগে ব্যবসায়ী খুনের ঘটনায় ব্যবহৃত সন্দেহে একটি মালিকাহীন পরিত্যক্ত গাড়ি উদ্ধার হওয়ার পর কার্বি আংলং পুলিশ দুজন ব্যক্তিকে গ্ৰেপ্তার করেছিল। হত্যাকারীরা ব্যবসায়ী রাঠোরকে খুন করার পর তার বাড়ি থেকে টাকা,অলংকার ও মূল্যবান সামগ্ৰী নিয়ে পালাবার সময় এই গাড়িটি ব্যবহার করেছিল বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। কিন্তু খুন ও ডাকাতির ঘটনাটি এখনও পর্যন্ত রহস্যাবৃতই থেকে গেছে। হত্যাকাণ্ডের আড়ালে কী রহস্য ছিল কার্বি আংলং পুলিশ এখন তা খুঁজে পায়নি।
আসানসোল থেকে ধৃত সন্দীপ মিশ্ৰ নিহত ব্যবসায়ী রাঠোরের অ্যাকাউন্টেন্ট ছিল। রাঠোর খুন হওয়ার কয়েক সপ্তাহ আগে মিশ্ৰ গা ঢাকা দেয়। রাঠোরের অ্যাকাউন্ট নয়ছয়ের ঘটনায় মিশ্ৰ জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে। ব্যবসায়ী রাঠোরের ছেলের অভিযোগ,৫০ লক্ষেরও বেশি টাকার আর্থিক নয়ছয় করা হয়েছে বলে অনুমান করা হচ্ছে। এখানে উল্লেখ করা যেতে পারে যে জালিয়াতির অভিযোগে ভারতীয় দণ্ডবিধি আইনের ৩৮১/৪২০/৪০৬ ধারায় মিশ্ৰকে গ্ৰেপ্তার করা হয়েছে। হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় মিশ্ৰর হাত আছে কিনা পুলিশ সে ব্যাপারে তদন্ত করেছে। তবে এখনও পর্যন্ত তেমন কোনও সাফল্যের মুখ দেখতে সফল হয়নি পুলিশ।
পুলিশ এই খুন ও ডাকাতির ঘটনার রহস্য উদ্ঘাটন করতে না পারায় স্থানীয় ব্যবসায়ী সম্প্ৰদায় নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন।
উল্লেখ্য,অসম-নাগান্যান্ড সীমান্তের পুব কার্বি আংলঙে গত ২৩ জুন রাতে ৬-৭ জনের একটি দুষ্কৃতী দল রাঠোরের বাড়িতে ঢুকে খুব কাছে থেকেই তাঁর ওপর বেশকটি গুলি চালায়। ঘটনাস্থলেই তিনি মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন। দুর্বৃত্তরা হত্যাকাণ্ড সেরে তার বাড়ি থেকে নগদ টাকা ও অলংকার ইত্যাদি নিয়ে উধাও হয়ে যায়।
অন্যান্য খবরের জন্য পড়ুনঃ কার্বি আংলঙে খুনের ঘটনায় গ্ৰেপ্তার ১৮