Begin typing your search above and press return to search.

চট্টগ্ৰাম বন্দরে প্ৰবেশাধিকার পাওয়ায় অসমের ব্যবসা বাণিজ্য চাঙ্গা হবেঃ পাটোয়ারি

চট্টগ্ৰাম বন্দরে প্ৰবেশাধিকার পাওয়ায় অসমের ব্যবসা বাণিজ্য চাঙ্গা হবেঃ পাটোয়ারি

Sentinel Digital DeskBy : Sentinel Digital Desk

  |  9 July 2019 12:58 PM GMT

গুয়াহাটিঃ কয়েক দশক পর বাংলাদেশের চট্টগ্ৰাম বন্দরে প্ৰবেশাধিকার পেলো ভারত। এরফলে জল পথে পড়শি দেশটির সঙ্গে অসমের ব্যবসা-বাণিজ্যে এক আমূল পরিবর্তন আসবে। অবিভক্ত ভারতে চট্টগ্ৰাম ছিল অসম ও সারা দেশের কাছে একটা গুরুত্বপূর্ণ বন্দর। রাজ্যের শিল্প ও বাণিজ্য দপ্তরের মন্ত্ৰী চন্দ্ৰমোহন পাটোয়ারি সোমবার জনতা ভবনে এক সাংবাদিক সম্মেলনে কথাগুলি বলেন। পাটোয়ারি বলেন,বাংলাদেশ সরকার সম্প্ৰতি তাদের ক্যাবিনেট বৈঠকে চট্টগ্ৰাম বন্দরে ভারতের প্ৰবেশাধিকারের প্ৰতি অনুমোদন জানিয়েছে। ১৯৫৭ সালে বিভিন্ন রাজনৈতিক কারণে চট্টগ্ৰাম বন্দরে ভারতের প্ৰবেশে নিষেধাজ্ঞা চাপানো হয়েছিল। তবে পাটোয়ারি বলেন,পড়শি দেশটির সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্কে আরও সুদৃঢ় করার লক্ষ্যে এগোচ্ছে রাজ্য সরকার। খুব শিগগিরই ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে একটি প্ৰটোকল স্বাক্ষরিত হবে।

‘কেন্দ্ৰের নরেন্দ্ৰ মোদি সরকার এই ইস্যুটি নিয়ে সঠিক সময়ে ঢাকার সঙ্গে যোগাযোগ করেছে। সেইহেতু বাণিজ্যিক ক্ষেত্ৰের সম্প্ৰসারণে বাংলাদেশের এই গুরুত্বপূর্ণ বন্দরে আমরা এখন অনায়াসে প্ৰবেশ করার সু্যোগ পাচ্ছি। চট্টগ্ৰাম বন্দরের দ্বার খুলে যাওয়ায় অসম ব্যাপকভাবে উপকৃত হবে। ব্ৰহ্মপুত্ৰ ও বরাকের জলপথ দিয়ে বাংলাদেশ ছাড়াও অন্যান্য দেশের সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক গড়ে উঠবে-বলেন পাটোয়ারি।

তিনি আরও বলেন,কেন্দ্ৰীয় ভূতল পরিবহণ ও হাইওয়ে দপ্তর পড়শি দেশটির ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া ব্ৰহ্মপুত্ৰের বুকে বাংলাদেশ সরকার যাতে খনন কার্য চালাতে পারে তার জন্য ২৫০ কোটি টাকা ইতিমধ্যেই মঞ্জুর করেছে।

ব্ৰহ্মপুত্ৰের দুই পাড়ে প্ৰস্তাবিত উচ্চাশামূলক প্ৰকল্প এক্সপ্ৰেস ওয়ের অবস্থান সম্পর্কে জানতে চাওয়া হলে পাটোয়ারি বলেন,ন্যাশনাল হাইওয়ে অথরিটি অফ ইন্ডিয়া(এনএইচএআই)এই প্ৰকল্পের ডিপিআর প্ৰস্তুত করছে। পাটোয়ারি আরও জানান,কেন্দ্ৰীয় ভূতল পরিবহণ মন্ত্ৰক বঙাইগাঁও,গড়চুক,লখরা এবং গুয়াহাটির বশিষ্ঠ,নগাঁও ও ডিব্ৰুগড়ে আরও ৬টি উড়াল সেতু নির্মাণের জন্য ডিপিআর প্ৰস্তুত করছে।

পাটোয়ারি আরও বলেন কেন্দ্ৰ ও রাজ্যের বিজেপি সরকার অ্যাক্ট ইস্ট পলিসি রূপায়ণে বেশকটি উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ নিয়েছে। সেই অনু্যায়ী অসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্ৰক ও রাজ্য সরকার গুয়াহাটি ঢাকা,গুয়াহাটি-ব্যাংকক,গুয়াহাটি-কুয়ালালামপুর,গুয়াহাটি-কাঠমান্ডু এবং গুয়াহাটি-ইয়াংগনের মধ্যে ছটি বিমান সেবা চালু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তবে ঢাকার সঙ্গে বিমান সেবা ইতিমধ্যেই চালু হয়ে গেছে। গুয়াহাটি-ব্যাংককের মধ্যে বিমান সেবা খুব শিগগিরই চালু হচ্ছে। বাকি অঞ্চলগুলির সঙ্গে বিমান উড়ান চলতি বছরের মধ্যেই শুরু করা হবে-উল্লেখ করেন পাটোয়ারি।

তিনি বলেন,ধুবড়ির ঐতিহাসিক রূপসি বিমান বন্দরটি এতদিন পরিত্যক্ত অবস্থায় ছিল। বর্তমানে এই বিমান বন্দরটি সংস্কার করা হচ্ছে এবং এবছরের শেষাশেষি এই বিমান বন্দর থেকে উড়ান শুরু হবে। লখিমপুরের লীলাবাড়ি থেকে দিল্লির মধ্যে(ভায়া গুয়াহাটি)বিমান চলাচলে ব্যবস্থা চালু করার চেষ্টা করছে সরকার। গুয়াহাটি,যোরহাট ও ডিব্ৰুগড় বিমানবন্দর সম্প্ৰসারণ ও আধুনিকীকরণের কাজ চলছে,জানান পাটোয়ারি।

অন্যান্য খবরের জন্য পড়ুনঃ এনআরসিকে উচ্চ অগ্ৰাধিকার দিচ্ছে সরকারঃ পাটোয়ারি

Next Story
সংবাদ শিরোনাম