নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল(ক্যাব)সমর্থনের ইঙ্গিত অগপ-র

নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল(ক্যাব)সমর্থনের ইঙ্গিত অগপ-র

গুয়াহাটিঃ কেন্দ্ৰীয় সরকার সংসদের শীতকালীন অধিবেশনে নতুন রূপে নাগরিকত্ব(সংশোধনী)বিল(ক্যাব)উত্থাপনের যে প্ৰস্তাব রেখেছে,তার প্ৰতি সমর্থনের একটা বড়সড় ইঙ্গিত দিয়েছে আঞ্চলিক দল তথা রাজ্যের বিজেপি জোট সরকারের শরিক অসম গণ পরিষদ(অগপ)দল।

‘গত ৩৫ বছর বিভিন্ন আন্দোলন করে আমরা অনেক কিছু শিখেছি,অভিজ্ঞতাও হয়েছে যথেষ্ট। রাজ্যে অবৈধ বিদেশিদের চিহ্নিতকরণ ও বহিষ্কার করা এতো সহজ কাজ নয়। বিদেশি চিহ্নিতকরণ হলেও তাদের বহিষ্কারে সবচেয়ে বড় বাধাটা আসবে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে। কারণ,অসমে বসবাসকারী বাংলাদেশিদের গ্ৰহণ করতে বাংলাদেশই অস্বীকার করবে। পরিবর্তিত পরিস্থিতির প্ৰেক্ষিতে পুরো বিষয়গুলিকে নতুন দৃষ্টিভঙ্গিতে দেখার ও নতুন করে ভেবে দেখতে হবে আমাদের। তাই আবেগ পরিহার করে যুক্তির সঙ্গে আমাদের এই বিষয়টি নিয়ে আলোচনার প্ৰয়োজন রয়েছে’।

অগপ সভাপতি তথা রাজ্যের কৃষিমন্ত্ৰী অতুল বরা মঙ্গলবার রাজ্য সচিবালয়ের বাইরে সাংবাদিকদের কথাগুলো বলেন। উল্লেখ্য,একবছর আগেও নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলের বিরুদ্ধে প্ৰতিবাদে গর্জে উঠেছিলেন অতুল বরা। কিন্তু এবার নাগরিকত্ব বিল নিয়ে তাঁকে অনেকটাই নরম সুরে কথা বলতে দেখা গেলো। বরা এদিন আরও বলেন,কিছু সংগঠন ও ব্যক্তি বিশেষ ক্যাবের বিরোধিতা করছেন। ‘আমরাও ২০১৬-র পুরনো ক্যাব-এর বিরোধিতা করেছিলাম। ২০১৮ সালে পুরনো ক্যাব বিলের প্ৰতিবাদে আমার দল বর্তমান রাজ্যের বিজেপি নেতৃত্বাধীন সরকার থেকে বেরিয়ে এসেছিল। তবে আমাদের সরকার থেকে বেরিয়ে আসতে কেউ বলেনি’। তিনি বলেন,ওই সময়ে রাজ্যসভায় বিজেপির সংখ্যাগরিষ্ঠতাও ছিল না। কিন্তু এখন,ক্যাবের প্ৰস্তাবিত নতুন সংস্করণটি সংসদের উভয় সভায় পাশ করিয়ে নেওয়া যেতে পারে যেহেতু সংসদের উভয় সদনে বিজেপির সংখ্যাগরিষ্ঠতা রয়েছে। সংসদে শাসক দলের সমীকরণ পাল্টে যাওয়ার পরিপ্ৰেক্ষিতে খিলঞ্জিয়া অসমিয়াদের সাংবিধানিক রক্ষাকবচের বিষয়টি নিয়ে আমাদের ভাবতে হবে। অসম চুক্তির ৬নং দফা রূপায়ণের মাধ্যমেই অসমিয়া জাতির সংবিধানিক রক্ষাকবচের ব্যবস্থা করা সম্ভব বলে বরা মনে করেন।

অগপ সভাপতি আরও বলেন,অসমের মানুষের ভাষা ও সংস্কৃতি রক্ষাণাবেক্ষণেরও ব্যবস্থা করা উচিত। তিনি বলেন,খিলঞ্জিয়াদের জন্য বিধানসভা এবং সংসদ উভয় ক্ষেত্ৰেই আসন সংরক্ষণের ব্যবস্থা সুনিশ্চিত করা প্ৰয়োজন। বরা বলেন,অসম আন্দোলনকালে রাজ্যে বিদেশি চিহ্নিতকরণ ও বহিষ্কারের মূল সময়সীমা ছিল ১৯৫১। তবে অসম চুক্তিতে বিদেশি বহিষ্কারে ১৯৭১ কে ভিত্তি বছর ধরা হয়েছিল।

তিনি বলেন,গত ৩৫ বছর ঐতিহাসিক অসম চুক্তির দলিলটি ধুলোর আস্তরণে ঢেকে গেছে। চুক্তির ৬নং দফাও রূপায়িত হয়নি আজ অবধি। কিছু সংগঠন ও ব্যক্তি বিশেষ অগপকে বর্তমান সরকার থেকে টেনে বের করার চেষ্টা করছে। কিন্তু আমরা রাজ্যের মানুষের রায় মেনেই কাজ করবো। আমরা সমস্ত দলীয় সিদ্ধান্ত নিজেদের বিবেক ও বিচারবুদ্ধি করেই নেবো। উল্লেখ্য,ক্যাব নিয়ে অগপ গত ৩০ নভেম্বর দিল্লিতে স্বরাষ্ট্ৰমন্ত্ৰী অমিত শাহর সঙ্গে বৈঠক সেরে এসেছে।

অধিক খবরের জন্য ভিডিও দেখুন: KMSS and indigenous organizations protest against Citizenship Amendment Bill in Nagaon’s Kampur

Related Stories

No stories found.
logo
Sentinel Assam- Bengali
bengali.sentinelassam.com