রাজ্যসভার নির্বাচনঃ বিরোধীদের সম্মিলিত প্ৰার্থী সাংবাদিক অজিত ভূঞা

রাজ্যসভার নির্বাচনঃ বিরোধীদের সম্মিলিত প্ৰার্থী সাংবাদিক অজিত ভূঞা

গুয়াহাটিঃ আগামি ২৬ মার্চ রাজ্যে অনুষ্ঠেয় রাজ্যসভার তিনটি আসনের নির্বাচনে বিরোধীদের সম্মিলিত প্ৰার্থী হিসেবে বরিষ্ঠ সাংবাদিক অজিত কুমার ভূঞার প্ৰতিদ্বন্দ্বিতা করাটা প্ৰায় চূড়ান্ত হয়েছে। বিরোধীদের সম্ভাব্য সম্মিলিত প্ৰার্থী রূপে বেশকজন বিশিষ্ট ব্যক্তির নাম বিভিন্ন প্ৰচার মাধ্যমে চর্চিত হয়েছিল যদিও অবশেষে ভূঞাকে প্ৰার্থী করাটা প্ৰায় নিশ্চিত হয়েছে। ইতিমধ্যেই তিনি মনোনয়ন পত্ৰও সংগ্ৰহ করেছেন। গত তিন দশক ধরে সক্ৰিয়ভাবে সাংবাদিকতার সঙ্গে জড়িত ভূঞা বিরোধীর সম্মিলিত প্ৰার্থী হওয়ায় সন্তোষ প্ৰকাশ করেছেন। একইভাবে রাজ্যের জাতীয়তাবাদী শিবিরের একাংশও এতে উৎফুল্লিত। সাম্প্ৰতিককালে নাগরিকত্ব(সংশোধনী)আইনের বিরুদ্ধে আন্দোলনে বিশেষ ভূমিকা নেওয়া ভূঞা রাজ্যবাসীর আশা-আকাঙ্খা পূরণের জন্য সংসদে বলিষ্ঠ ভূমিকা পালন করবেন বলে বিভিন্ন জন আশা ব্যক্ত করেছেন।

এই বিষয়টি নিয়ে ইতিমধ্যেই সোশিয়াল মিডিয়ায় ব্যাপক চর্চা হয়েছে। অন্যদিকে,বিরোধীরা তাঁকে সম্মিলিত প্ৰার্থী হিসেবে বাছাই করলে সেটা তিনি আনন্দের সঙ্গে গ্ৰহণ করবেন বলে মত প্ৰকাশ করে সাংবাদিক ভূঞা এক বিবৃতিতে বলেন,ধর্মনিরপেক্ষ,গণতান্ত্ৰিক মূল্যবোধে বিশ্বাসী এবং জাতীয় শক্তিগুলোর সম্মিলিত প্ৰার্থী হিসেবে আমার নাম চর্চিত হওয়ায় আমি সম্মানিত অনুভব করছি। যদি আমাকে প্ৰার্থী করা হয় তাহলে সেটা সম্মানজনকভাবে গ্ৰহণ করবো’। উল্লেখ্য যে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের বিরুদ্ধে প্ৰতিবাদ প্ৰবল হওয়ার সময় ভূঞা সক্ৰিয় সাংবাদিকতা থেকে অব্যাহতি নেন। তিন দশক আগে তিনি সাংবাদিকতা শুরু করেছিলেন। পরবর্তী সময়ে সরকারের রোষে পড়ে তাঁকে একাধিকবার গ্ৰেপ্তার হতে হয়েছিল।

অন্যদিকে,সাংবাদিক ভূঞার প্ৰতি কংগ্ৰেস এবং এআইইউডিএফ সমর্থনের হাত বাড়ানোর বিষয়ে চর্চা চলছে। লক্ষ্যণীয়ভাবে ভূঞা কংগ্ৰেস ও এআইইউডিএফ-এর সমর্থনে রাজ্যসভার নির্বাচনে অবতীর্ণ হয়েছেন বলে মন্তব্য করে প্ৰব্ৰজন বিরোধী মঞ্চের আহ্বায়ক তথা উচ্চতম ন্যায়ালয়ের বরিষ্ঠ আইনজীবী উপমন্যু হাজরিকা বলেন,‘সাংবাদিক ভূঞা নিজেকে অসমের জাতীয় শক্তিগুলোর সম্মিলিত প্ৰার্থী হিসেবে ঘোষণা করাটা সবচেয়ে বেশি দুর্ভাগ্যজনক। তিনি কংগ্ৰেস এবং এআইইউডিএফ-এর সমর্থন নিয়ে প্ৰার্থী হচ্ছেন। কিন্তু প্ৰশ্ন হলো,কংগ্ৰেস এবং এআইইউডিএফ কবে থেকে অসমের জাতীয় শক্তি হলো’? আজ অসমের ১১৫টি জাতি-জনগোষ্ঠীর মানুষ বাংলাদেশিদের হাতে সংখ্যালঘু হবার পথে,‘আর এটা হচ্ছে শুধু জাতীয়তাবাদের নামে করা সুবিধাবাদ ও স্বার্থপর রাজনীতি। এটা নয় যে এই বাংলাদেশি মুসলমানদের জাতীয় শক্তি হিসেবে গ্ৰহণ করা হবে। এটা কোনও কারণেই মেনে নেওয়া যায় না এবং গ্ৰহণযোগ্য নয়’।

অধিক খবরের জন্য ভিডিও দেখুন: 17 kgs of Ganja Seized from Kamrup Express near Barpeta Railway Station

Related Stories

No stories found.
logo
Sentinel Assam- Bengali
bengali.sentinelassam.com