কংগ্ৰেস সভাপতি পদে একজন ‘ক্যারিশম্যাটিক’ যুব নেতা চান অমরিন্দর

কংগ্ৰেস সভাপতি পদে একজন ‘ক্যারিশম্যাটিক’ যুব নেতা চান অমরিন্দর

নয়াদিল্লিঃ পঞ্জাবের সভাপতি অমরিন্দর সিং ভারতীয় জাতীয় কংগ্ৰেসের পরবর্তী সভাপতি নির্বাচন সম্পর্কে তাঁর মতামত ব্যক্ত করেছেন। তিনি বলেন,দল সভাপতি পদে একজন যুব নেতাই তাঁর কাম্য। অমরিন্দর সিং-এর মতে,একজন যুবনেতাই দলে গতি সঞ্চারে সমর্থ হবেন। পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্ৰী আরও বলেন,রাহুল গান্ধীর সভাপতি পদে ইস্তফা দেওয়াটা সত্যিই দুর্ভাগ্যজনক।

কংগ্ৰেসের সিদ্ধান্ত গ্ৰহণকারী সর্বোচ্চ সংস্থা কংগ্ৰেস ওয়ার্কিং কমিটির প্ৰতি উপদেশ হিসেবে সিং বলেন,‘রাহুল গান্ধীর পরিবর্তে যাঁকে দল সভাপতি করা হবে তার মধ্যে একটা ক্যাশিসম্যাটিক ভাবধারা থাকা উচিত যিনি তার প্যান ইন্ডিয়া আপিলের মাধ্যমে জনগণকে উৎসাহিত করতে পারবেন এবং তৃণমূল স্তরেও তাঁর উপস্থিতি অপরিহার্য।

মুখ্যমন্ত্ৰী বলেন,‘কংগ্ৰেসের প্ৰয়োজন একজন তরুণ তুর্কির যিনি দলে রঙের প্ৰলেপ দিতে পারবেন এবং দেশের মানুষের কাছে আগের মতো দলকে একমাত্ৰ পছন্দের সারিতে পৌঁছে দেওয়ার ক্ষমতা রাখেন। দলের নেতৃত্ব এমন হওয়া উচিত যে যিনি রাষ্ট্ৰের আশা আকাঙ্খাকে তার দুরদৃষ্টি দিয়ে দলের মধ্যে প্ৰতিফলিত করতে পারবেন।

বর্তমানে কংগ্ৰেসের সভাপতি পদের দৌড়ে যে সব ব্যক্তিত্ব আগসারিতে রয়েছেন তাঁরা হলেন সুশীল কুমার সিন্ধে এবং মল্লিকার্জুন খাড়গে। সিন্ধে এবং খাড়গে উভয়েই বরিষ্ঠ কংগ্ৰেস নেতা এবং সম্ভবত একথা মাথায় রেখেই পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্ৰী এই ইঙ্গিত দিয়েছেন যে দল সভাপতি পদে তিনি একজন তরুণ নেতাকেই চাইছেন।

সূত্ৰটি এই ইঙ্গিত দিয়েছে যে ৭৭ বছর বয়সী সিন্ধে কংগ্ৰেস সভাপতি পদে একজন যোগ্য প্ৰার্থী বলেই মনে করা হচ্ছে। মহারাষ্ট্ৰের প্ৰাক্তন মুখ্যমন্ত্ৰী ও প্ৰাক্তন কেন্দ্ৰীয় মন্ত্ৰী ছিলেন সিন্ধে। অন্যদিকে,মল্লিকার্জুন খাড়গেও সিন্ধের মতোই একজন বরিষ্ঠ কংগ্ৰেস নেতা। ২০০২ সালে সিন্ধেকে কংগ্ৰেসের উপ সভাপতি মনোনীত করা হয়েছিল।

ওদিকে ৭৬ বছর বয়সী খাড়গে লোকসভা নির্বাচনে তাঁর একদশকের রাজনৈতিক ক্যারিয়ারে এই প্ৰথম হারের মুখ দেখলেন। একাধিক কংগ্ৰেস সরকারে খাড়গে কেন্দ্ৰীয় মন্ত্ৰী ছিলেন।

রাহুল গান্ধী যেহেতু পরবর্তী কংগ্ৰেস সভাপতি নির্বাচনের দায়িত্ব দলের ওপরই ছেড়ে দিয়েছেন,সেইহেতু এখন দলের প্ৰাথমিক কাজ হলো পরবর্তী সভাপতি পদে একজন প্ৰার্থী বাছাই করা। রাহুল গান্ধী সভাপতি পদে ইস্তফা দেওয়ার পর টুইট করে বলেছিলেন ‘দলের ভবিষ্যৎ অগ্ৰগতি ও বিশ্বস্ততার বিষয়টি এক জটিল সন্ধিক্ষণে এসে দাঁড়িয়েছে। আর এরজন্যই আমি কংগ্ৰেস সভাপতি পদে ইস্তফা দিয়েছি’। এমনকি সদ্য সমাপ্ত লোকসভা নির্বাচনে দলের ভরাডুবির সমস্ত দায় দায়িত্ব নিজের কাঁধেই নিয়েছেন রাহুল। গান্ধী বলেছিলেন,‘নির্বাচনে বিপর্যয়ের জন্য দলের কিছু নেতা দায়িত্ব এড়াতে পারেন না। তবে আমি কাউকেই দুষছি না। সমস্ত ভুল ও দোষ ত্ৰুটি নিজের কাঁধেই নিচ্ছি’।

Related Stories

No stories found.
logo
Sentinel Assam- Bengali
bengali.sentinelassam.com