Begin typing your search above and press return to search.

ক্যা বিরোধী আন্দোলন ক্ৰমেই রাজনৈতিক মোড় নিচ্ছেঃ হিমন্ত

ক্যা বিরোধী আন্দোলন ক্ৰমেই রাজনৈতিক মোড় নিচ্ছেঃ হিমন্ত

Sentinel Digital DeskBy : Sentinel Digital Desk

  |  4 Jan 2020 7:28 AM GMT

গুয়াহাটিঃ রাজ্যের অর্থমন্ত্ৰী হিমন্তবিশ্ব শর্মা বলেছেন ক্যা-বিরোধী(নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন)আন্দোলন ক্ৰমেই রাজনৈতিক মোড় নিতে দেখা যাচ্ছে। এরই ফলশ্ৰুতিতে রাজ্যে একটা নতুন রাজনৈতিক দল গঠনের কথা শোনা যাচ্ছে। বাস্তবে যদি তেমনটাই ঘটে তাহলে বিজেপি সেটাকে রাজনৈতিক চ্যালেঞ্জ হিসেবেই গ্ৰহণ করবে। এই চ্যালেঞ্জ নিতে প্ৰস্তুত রয়েছে বিজেপি।

শুক্ৰবার শর্মা এখানে সাংবাদিকদের বলেন,‘নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন(ক্যা)সম্পর্কে সুপ্ৰিমকোর্টে মামলা রুজু করা হয়েছে। এখন শীর্ষ আদালতই বলবে কারা ভুল এবং কারা নয়। ক্যার বিরুদ্ধে ন্যায় বিচার প্ৰদানে আদালত তো রয়েইছে। এদিকে ক্যা বিরোধী আন্দোলনের অছিলায় অনেকেই আসল উদ্দেশ্য থেকে সরে গিয়ে নিজেদের রাজনৈতিক আকাঙ্খা পূরণের লক্ষ্যে মেতেছেন। আন্দোলনে নেতৃত্বদানকারীদের অনেকেই রাজ্যে বিকল্প রাজনৈতিক দলের প্ৰয়োজনীয়তার কথা বলছেন। তিনি বলেন,‘সত্যিই যদি আন্দোলন রাজনৈতিক রূপ নেয়,তা হলে ক্যা-র মতো একটা বিষয় নিয়ে কিভাবে সেটা হতে পারে। রাষ্ট্ৰীয় নাগরিক পঞ্জির(এনআরসি)মতো জ্বলন্ত ইস্যুগুলি নিয়ে তাদের দৃষ্টিভঙ্গি কি বিকল্প রাজনৈতিক দল গড়ার আগে সেটা পরিষ্কার করতে হবে’।

শর্মা আরও বলেন,‘ক্যা-র বিরুদ্ধে চলা আন্দোলনের প্ৰতি রাজ্যের মানুষ তীক্ষ্ণ দৃষ্টি রাখছেন। রাজ্যে ২০২১-এর বিধানসভা নির্বাচনে এটা পরিষ্কার হয়ে যাবে কাদের জনগণ সমর্থন করছেন’।

ক্যা-র বিরুদ্ধে শিল্পী ও সাহিত্যিকদের আন্দোলন সম্পর্কে শর্মা বলেন,অনেকেই ক্যা নিয়ে মন্তব্য করছেন। আমি তাঁদের প্ৰত্যেককে সরকারের সঙ্গে খোলামেলা আলোচনায় বসার জন্য আবেদন জানাচ্ছি এনিয়ে আমাদের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝি মিটিয়ে ফেলার জন্য। ক্যা অসমের ধ্বংস ডেকে আনবে বলে একটা ধারণার সৃষ্টি করা হয়েছে। কিন্তু ওই আইনে এমন ধরনের কিছুই নেই। শিল্পী,সাহিত্যিকরা ক্যা-র প্ৰতিবাদে যেভাবে পথে নামছেন তাতে আমার কিছু বলার নেই। তবে ‘আমি মনে করি শিল্পী,সাহিত্যিকরা যদি নিজেদের কাজে আত্মনিয়োগ করেন তাতে গোটা সমাজেরই কল্যাণ হবে’।

ক্যা-র বিরুদ্ধে প্ৰতিবাদকারীরা মুখ্যমন্ত্ৰীকে কালো পতাকা দেখাচ্ছেন। শর্মা এর যৌক্তিকতা নিয়ে প্ৰশ্ন তোলেন। প্ৰতিবাদকারীদের এটা জানা উচিত রাজনৈতিক নেতারা কোথায় কেন যাচ্ছেন। কোনও রাজনৈতিক নেতা যখন মন্দিরে অথবা কোনও শোকসন্তপ্ত পরিবারকে সমবেদনা জানাতে যাচ্ছেন তখন তাদের কালো পতাকা দেখানোর যৌক্তিকতা কি?

এদিকে,বিজেপির জাতীয় কার্যনির্বাহী সভাপতি জেপি নাড্ডা শনিবার গুয়াহাটিতে বিজেপির বুথ কমিটি সভাপতিদের সম্মেলনে ভাষণ দেবেন। এই সম্মেলনে ৭০-৯০ হাজার মানুষ উপস্থিত থাকবেন। এই সম্মেলনে দলের নতুন বছরের কর্মসূচি ঘোষণা করবেন নাড্ডা-বলেন শর্মা।

অন্যান্য খবরের জন্য পড়ুনঃ সিবিআই কোর্টের রায়ে কারাবাসের সাজা প্ৰাপ্ত ৯ জনের মধ্যে ৪জন সরকারি কর্মকর্তা

অধিক খবরের জন্য ভিডিও দেখুন: Minister Himanta Biswa Sarma addresses media ahead BJP Booth Committee President’s Conference

Next Story
সংবাদ শিরোনাম