শিলচরঃ অসমের বন কর্মীরা রাজ্যের দক্ষিণ প্ৰান্তের ডিমা হাসাও জেলা থেকে অবৈধ সুপারি বহনকারী ১২টি ট্ৰাক বাজেয়াপ্ত করেছেন। মায়ানমার থেকে এই সুপারিগুলো আনা হয়েছিল। ট্ৰাকগুলোতে প্ৰায় ১২০ টন বার্মিজ সুপারি রয়েছে। জনৈক বনকর্তা বৃহস্পতিবার এখানে একথা জানান। বাজেয়াপ্ত করা সুপারিগুলোর বাজার দর আনুমানিক ৩.৬০ কোটি টাকা।
বিশ্বস্ত সূত্ৰে পাওয়া এক খবরের ভিত্তিতে অভি্যানে নেমে বনকর্মীরা বুধবার স্থানীয় মানুষের সহযোগিতায় হাফলঙের কাছে হারাঙ্গাজাও এবং জাটিঙ্গা এলাকা থেকে ট্ৰাকগুলো বাজেয়াপ্ত করেন।
বনকর্তাদের মতে,বার্মিজ সুপারিগুলো মায়ানমার থেকে চোরাইপথে পাচার করা হয়েছিল এবং এরপর সেগুলি অবৈধভাবে ভারতের বিভিন্ন প্ৰান্ত এবং বিদেশে পাচার করার কথা ছিল।
প্ৰামবাসীরা প্ৰচার মাধ্যমকে বলেছেন,বার্মিজ সুপারির অবৈধ ব্যবসার আড়ালে পুলিশের একটা শ্ৰেণি,রাজনৈতিক নেতা এবং ব্যবসায়ীর মধ্যে অশুভ আঁতাত থাকতে পারে।
‘এধরনের বার্মিজ সুপারি,বিভিন্ন ওষুধ এবং অন্যান্য নিষিদ্ধ সামগ্ৰী মায়ানমার থেকে মিজোরাম এবং মণিপুরে চোরাইভাবে পাঠানো হচ্ছে এবং এরপর অসম হয়ে দেশের বিভিন্ন প্ৰান্ত এবং বিদেশেও সেগুলি অবৈধভাবে পরিবহণ করা হচ্ছে’। তবে বন কর্তাটি এদের পরিচয় খোলসা করতে অস্বীকার করেন।
বনকর্তাটি অভিযোগ করেন,বনজ সম্পদ এবং বার্মিজ সুপারির মতো বিভিন্ন সামগ্ৰীর অবৈধ ব্যবসা প্ৰতিরোধে পুলিশ তাদের সাহা্য্য করেনি।
গত মাসে আসাম রেইফেলসের জওয়ানরা ১,৩৫৩ ব্যাগ বার্মিজ সুপারি বাজেয়াপ্ত করেছিল। এই সুপারির পরিমাণ ছিল আনুমানিক ৮২ টন এবং বাজার দর প্ৰায় ২.৪৪ কোটি টাকা। তাছাড়া তারা বিভিন্ন ধরনের কাঠের ৪৯১টি লগও বাজেয়াপ্ত করেছিল। মণিপুরের কামেং জেলার সীমান্ত গ্ৰাম থেকে এগুলো বাজেয়াপ্ত করা হয়েছিল। এই এলাকাটি মায়ানমার সীমান্ত ঘেঁষা। বাজেয়াপ্ত করা ওই লগগুলির মূল্য আনুমানিক ২.৫ কোটি টাকা। উত্তর পূর্বাঞ্চলের চারটি রাজ্য মিজোরাম,মণিপুর,নাগাল্যান্ড এবং অরুণাচল প্ৰদেশের ১৬৪০ কিলোমিটার দীর্ঘ সীমান্ত এলাকা মায়ানমারের সঙ্গে জুড়ে রয়েছে।
অন্যান্য খবরের জন্য পড়ুনঃ ৩৭১ ধারা বাতিলের কোনও অভিপ্ৰায় কেন্দ্ৰের নেই,উত্তরপূর্বকে আশ্বাস অমিত শাহর
অধিক খবরের জন্য ভিডিও দেখুন: JNU student Sharjeel Imam produced before CJM Court, Kamrup (M) in Guwahati