Begin typing your search above and press return to search.

রাজ্যে জবরদখলের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিতে সরকারকে আর্জি

রাজ্যে জবরদখলের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিতে সরকারকে আর্জি

Sentinel Digital DeskBy : Sentinel Digital Desk

  |  29 Nov 2019 7:01 AM GMT

গুয়াহাটিঃ রাজ্যের সংরক্ষিত বনাঞ্চল,অভয়ারণ্য ও আর্দ্ৰ জমি দখল করে গড় ওঠা বৃহৎ উদ্যোগ এবং হোটেল ইত্যাদি উচ্ছেদ করার জন্য দিশপুরকে পদক্ষেপ গ্ৰহণের আর্জি জানানো হয়েছে। দাবি জানানো হয়েছে রাজ্যের চর এলাকাগুলোতেও জরিপ চালানোর। কারণ বর্তমানে বেশ কিছু চর এলাকা একাংশ সন্দেহজনক নাগরিকরা দখল করে রেখেছে। বৃহস্পতিবার রাজ্য বিধানসভার শীতকালীন অধিবেশনের প্ৰথম দিন জিরো আওয়ারে বিজেপি বিধায়করা সরকারের কাছে এই দাবি উত্থাপন করেন। নতুন ভূমিনীতি ২০১৯ সম্পর্কে আলোচনায় অংশগ্ৰহণ করে অগপ বিধায়ক রমেন্দ্ৰ নারায়ণ কলিতা বলেন,‘সাধারণ লোকেদের উচ্ছেদ করতে জেলা প্ৰশাসন অগ্ৰণী ভূমিকা পালন করলেও সংরক্ষিত বনাঞ্চল,অভয়ারণ্য এবং আর্দ্ৰ জমি হিসেবে চিহ্নিত এলাকাগুলোতে বৃহৎ শিল্প গোষ্ঠীর গড়ে তোলা কারখানা,হোটেলগুলো উচ্ছেদে তাদের তেমন কোনও কঠোর পদক্ষেপ নিতে দেখা যাচ্ছে না। স্টার সিমেন্ট এবং জিনজার হোটেল গ্ৰুপের বিরুদ্ধে উচ্ছেদ চালাতে কেন পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে না’। রাজ্যে থাকা এধরনের জমি দখল করে এরা অবাধে ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে-উল্লেখ করেন তিনি।

বিধায়ক কলিতা আরও জানতে চান,‘মহানগরীর চারপাশে থাকা পাহাড়গুলোতে প্ৰায় ৬৫ হাজার স্থানীয় মানুষ বসবাস করছেন। তাদের বাপারে সরকার কি করবে? তারা কি আদৌ পাট্টা পাবে’? চর এলাকা সম্পর্কে বিজেপি বিধায়ক পদ্ম হাজরিকা উল্লেখ করেন,নদী অববাহিকা এলাকায় আজ অবধি কোনও জরিপ চালানো হয়নি। রাজ্যের এই সমস্ত চর এলাকা যারা অবৈধভাবে দখল করে রেখেছে,কর্তৃপক্ষের হাতে তার কোনও তথ্য নেই। তাই সরকারের অবিলম্বে চর এলাকায় বসবাসকারীদের ব্যাপারে জরিপ চালানো উচিত। সরকার জরিপ চালালে চর এলাকার সন্দেহভাজন নাগরিকদের আসল তথ্য বেরিয়ে আসবে। তিনি চর এলাকায় অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদ করার জন্য সরকারের কাছে দাবি জানান।

বিজেপি বিধায়ক অতুল বরা বলেন,‘রাজ্যের বিশাল পরিমাণ জমি বড় শিল্পপতিদের অবৈধ দখলের কবলে রয়েছে। এই সব জমি মুক্ত করে রাজ্যের ভূমিপুত্ৰ গরিব মানুষের মধ্যে বিতরণ করা উচিত’। রাজস্ব মন্ত্ৰী ভবেশ কলিতা তাঁর জবাবে বলেন,গুয়াহাটি মহানগরীর পাহাড়গুলোতে বসবাসকারী ৬৫ হাজার মানুষকে কিভাবে জমির পাট্টা দেওয়া হবে সেটা খুবই উদ্বেগের বিষয়। ভূমিনীতি ২০১৯ অনু্যায়ী,পাহাড়ে বসবাসকারী কাউকেই সরকার জমির পাট্টা দিতে পারবে না। তবে জবরদখল,উচ্ছেদ ও পাহাড় এলাকায় পাট্টা দেওয়ার বিষয়ে আমরা ১২৬ জন বিধায়কের সঙ্গেই আলোচনা করবো-বলন তিনি।

অন্যান্য খবরের জন্য পড়ুনঃ রাজ্যের কাগজ কল দুটো নিলামের নির্দেশ কেন্দ্ৰের

অধিক খবরের জন্য ভিডিও দেখুন: State Minister Pijush Hazarika inaugurate OPD Diphu Medical College Karbi Anglong

Next Story
সংবাদ শিরোনাম