ত্ৰিপুরার মতো পরিস্থিতির দিকে মোড় নিচ্ছে অসমঃ আসু

ত্ৰিপুরার মতো পরিস্থিতির দিকে মোড় নিচ্ছে অসমঃ আসু

মঙ্গলদৈঃ সারা অসম ছাত্ৰ সংস্থার(আসু)মুখ্য উপদেষ্টা সমুজ্জ্বল ভট্টাচার্য বলেছেন,‘ত্ৰিপুরায় যে পরিস্থিতির উদ্ভব হয়েছে অসমের অবস্থাও সেদিকেই মোড় নিতে যাচ্ছে। ত্ৰিপুরার মোট ৪০ লক্ষ জনসংখ্যার মধ্যে ভূমিপুত্ৰ ত্ৰিপুরীদের জনসংখ্যা মাত্ৰ ১২ লাখ হওয়ায় তারা এখন ওই রাজ্যে সংখ্যালঘুতে পরিণত হয়েছে। আর এরজন্যই অসমের ভূমিপুত্ৰরা সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের(ক্যা)বিরোধিতায় উঠেপড়ে লেগেছেন’।

শুক্ৰবার শিল্পী দিবস উপলক্ষে সারা দরং ছাত্ৰ সংস্থা এবং মহালিপাড়া আঞ্চলিক ছাত্ৰ সংস্থার তরফে এখানে আয়োজিত এক বিশাল সমাবেশে বক্তব্য পেশ করছিলেন ভট্টাচার্য।

‘রূপকোঁয়র জ্যোতিপ্ৰসাদ আগরওয়ালা ভারতে সবাক ছবি নির্মাণের চতুর্থ ব্যক্তিত্ব। কিন্তু এটা খুবই দুর্ভাগ্যজনক যে ভারত সরকার আজ অবধি তাঁকে যোগ্য সম্মান ও স্বীকৃতি দেয়নি। এটা অসমের মানুষের প্ৰতি কেন্দ্ৰীয় সরকারের বিমাতৃসুলভ আচরণেরই স্পষ্ট প্ৰতিফলন। রূপকোঁয়রকে রাষ্ট্ৰীয় সম্মান প্ৰদর্শন ও স্বীকৃতিদানের ক্ষেত্ৰে রাজ্য সরকারও প্ৰয়োজনীয় ভূমিকা পালনে ব্যর্থ হওয়ার বিষয়টিও সত্যিই দুর্ভাগ্যজনক। রাজ্য সরকার শিল্পী দিবস পালন করলেও সেটা ধোঁকাবাজি ছাড়া কিছু নয়’-বলেন ভট্টাচার্য। তিনি বলেন,‘রূপকোঁয়রকে নিয়ে কেন্দ্ৰ ও রাজ্য সরকারের অভিপ্ৰায় সম্পর্কে আমরা ভাবিত নই। তবে অসমের প্ৰতিজন মানুষের মন ও আত্মায় রূপকোঁয়র চির জাগরুক থাকবেন’।

ত্ৰিপুরার ভূমিপুত্ৰ মানুষের অবস্থায় উদ্বেগ প্ৰকাশ করে ভট্টাচার্য বলেন,ওই রাজ্যে ৪০ লক্ষ মানুষের মধ্যে ত্ৰিপুরীদের সংখ্যা তলানিতে নেমে এখন ১২ লক্ষে দাঁড়িয়েছে। ‘আর এই একটা কারণেই অসমের খিলঞ্জিয়া মানুষ দাঁতে দাঁত চেপে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন। আমরা আমাদের ভাষা,সংস্কৃতির নিরাপত্তা ও সুরক্ষায় প্ৰতিশ্ৰুতিবদ্ধ। অসমের মানুষের হৃদয় মন এমনিতে ফুলের মতো নরম ও কোমল,কিন্তু অভিষ্ঠ লক্ষ্যে পৌঁছনোর জন্য পাথরের মতো মন শক্ত করতেও পিছ পা হন না তাঁরা। ক্যার বিরুদ্ধে প্ৰতিবাদ জানাতে শিল্পীসমাজ এগিয়ে এসেছেন এবং তারা ওই আইনের বিরুদ্ধে সাংস্কৃতিক বিপ্লব গড়ে তুলছেন। অসম আন্দোলনেও দরঙের মানুষ অগ্ৰণী ভূমিকা নিয়েছিলেন,এখন ক্যার বিরুদ্ধেও তারা অনুরূপ ভূমিকা পালন করবেন’-রাজ্যবাসীর প্ৰতি আবেদন জানান আসু নেতা।

অর্থমন্ত্ৰী হিমন্তবিশ্ব শর্মার কঠোর সমালোচনা করে ভট্টাচার্য অভি্যোগ করেন,‘অসম চুক্তি বিকৃত করতে সদনে মিথ্যে বিবৃতি দিয়েছেন তিনি। হিমন্তবিশ্ব শর্মার বার বার অসম চুক্তি খতিয়ে দেখা উচিত এবং সেইসঙ্গে ভুল ব্যাখ্যা দেওয়ার জন্য রাজ্যের জনগণের কাছে তাঁর ক্ষমা চাওয়া উচিত’। মুখ্যমন্ত্ৰী সর্বানন্দ সোনোয়ালের উদ্দেশে এক সতর্ক বার্তায় ভট্টাচার্য রাজ্যের মানুষকে অপমান না করতে তাঁর প্ৰতি আবেদন জানান। মুখ্যমন্ত্ৰীকে সীমা অতিক্ৰম না করতেও স্মরণ করিয়ে দেন ভট্টাচার্য।

অধিক খবরের জন্য ভিডিও দেখুন: Anti-CAA Sit-in Protest observed during Silpi Divas at Nehru Park in Guwahati

Related Stories

No stories found.
logo
Sentinel Assam- Bengali
bengali.sentinelassam.com