গুয়াহাটিঃ দুইয়ের বেশি সন্তান থাকা কোনও পিতৃ-মাতৃ সরকারি চাকরির জন্য অযোগ্য বিবেচিত হবেন। ২০২১ এর ১ জানুয়ারি থেকে রাজ্যে এই নীতি কার্যকর হচ্ছে। রাজ্যের বিজেপি নেতৃত্বাধীন সরকার এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সোমবার এখানে রাজ্য মন্ত্ৰিসভার এক বৈঠকে জন বিস্ফোরণ ঠেকাতে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। মুখ্যমন্ত্ৰী সর্বানন্দ সোনোয়ালের কার্যালয় থেকে এক ইস্তাহারে বলা হয়েছে,যাদের দুটির বেশি সন্তান রয়েছে,তাদের ২০২১-এর ১ জানুয়ারি থেকে সরকারি চাকরির জন্য কোনওরকম আবেদন যোগ্য বিবেচনা করা হবে না।
ক্যাবিনেট বৈঠকে আরও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে,ভূমিহীন স্থানীয় কৃষকদের ৩ বিঘা করে কৃষি জমি দেওয়া হবে এবং আরও আধা বিঘা জমি দেওয়া হবে বাড়ি তৈরির জন্য। ‘সুবিধাভোগী ব্যক্তিরা জমি পাওয়ার পর কমপক্ষেও ১৫ বছর তা বিক্ৰি করতে পারবেন না’-বলেছে সূত্ৰটি। রাজ্যের জনসংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় অসম সরকার ২০১৭ সালে একটি খসড়া নীতি প্ৰস্তুত করেছিল। ২০১১ সালের জনগণনায় অসমের নোট জনসংখ্যা ছিল ৩,১১,৬৯,২৭২ জন। গত দশ বছরে রাজ্যে জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার ১৬.৯৩ শতাংশ।
২০১৬ তে বিজেপি নেতৃত্বাধীন সরকার দিশপুরের ক্ষমতায় আসার পর ২০১৭-র ২৭ মার্চ খসড়া জনসংখ্যা নীতি প্ৰস্তুত করে।
রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্ৰী হিমন্তবিশ্ব শর্মা আগে বলেছিলেন,বিধায়কদেরও পরিবার পরিকল্পনার নীতি মেনে চলতে হবে এবং রাজ্য এই ইস্যুটি কেন্দ্ৰীয় সরকারের কাছেও উত্থাপন করবে। তবে দুই সন্তানের নীতি হঠাৎ করে নেওয়া কোনও সিদ্ধান্ত নয়। এটা ২০১৭-র সেপ্টেম্বরে গৃহীত অসমের জনসংখ্যা ও মহিলা সবকীকরণের একটা যুক্তিপূর্ণ প্ৰয়াস বলা যেতে পারে। ওই প্ৰস্তাবে বর্তমানে সে সব পিতা,মাতা সরকারি চাকরি করছেন তাদেরও এই নীতি মেনে চলার সুপারিশ করা হয়েছে।
জনসংখ্যা নিয়ন্ত্ৰণে এধরনের একটি আইন প্ৰণয়নের দাবি জানাতে জেনারেল ভিকে সিং,সঞ্জীব বালান,সত্যপাল সিং এবং মহেশ শর্মা সহ বেশ কজন বিজেপি নেতা সম্প্ৰতি এক মিছিলে অংশ নিয়েছিলেন। এর থেকে এটা আঁচ করা গিয়েছে যে,বিজেপি বাস্তব পরিস্থিতি অনুধাবনের চেষ্টা করছে যে ভারত জনসংখ্যা নিয়ন্ত্ৰণে আইন আনতে প্ৰস্তুত কি না। জনসংখ্যা সম্বোধন ফাউন্ডেশন ওই মিছিলটির আয়োজন করেছিল। বিজেপি নেতা অশ্বিনী উপাধ্যায় এই মিছিলের জন্য সমন্বয়কের ভূমিকা নিয়েছিলেন।
গত জুলাইয়ে বিজেপির রাজ্যসভা সদস্য রাকেশ সিনহা একটি প্ৰাইভেট মেম্বার বিল উত্থাপন করে প্ৰস্তাব রেখেছিলেন সে সব লোকেদের দুটির বেশি সন্তান রয়েছে তাদের যেন আর্থিক সু্যোগ সুবিধা ও গণবণ্টন ব্যবস্থা থেকে বঞ্চিত করা হয়। এমনকি দুই সন্তানের বেশি কোনও নির্বাচিত জন প্ৰতিনিধিকেও তার পদ থেকে বরখাস্ত করার প্ৰস্তাব রেখেছিলেন তিনি। এর একমাস পরই প্ৰধানমন্ত্ৰী নরেন্দ্ৰ মোদিও দেশে জন বিস্ফোরণে গভীর উদ্বেগ প্ৰকাশ করেন। প্ৰধানমন্ত্ৰী এব্যাপারে একটা বিষয়ের প্ৰতি আলোকপাত করে বলেছেন ‘আমরা আমাদের সন্তানদের আশা আশঙ্কা পূরণে ন্যায় করছি কি না তার গভীরে তলিয়ে দেখার সময় এসে গেছে’।
অন্যান্য খবরের জন্য পড়ুনঃ বঙাইগাঁওয়ে ২,১৭,৯০০ টাকার ভারতীয় নোট সহ যুবক আটক
অধিক খবরের জন্য ভিডিও দেখুন: 15 day old baby allegedly dies due to medical negligence in TMCH