জ্যোতিক্ষেত্ৰ(শুয়ালকুচি): অসম সাহিত্য সভার নতুন সভাপতি কুলধর শইকিয়া বলেছেন,অসমিয়া ভাষা,সাহিত্য ও সংস্কৃতিকে বিশ্ব সাহিত্য ও সংস্কৃতির অঙ্গনে স্থান করে দিতে সাহিত্য সভাকে কঠোর পরিশ্ৰম করতে হবে। দেশের অন্যান্য সাহিত্য সংস্থার সাহায্য নিয়ে একাজে উদ্যোগী হতে হবে সভাকে।
‘আমরা রাজ্যের বিভিন্ন সম্প্ৰদায়ের সমস্ত ভাষা,সাহিত্য ও সংস্কৃতি এবং কথাকে একই ছাতার নিচে নিয়ে আসতে হবে’-অসম সাহিত্য সভার বিদায়ী সভাপতি ড.পরমানন্দ রাজবংশীর কাছ থেকে নতুন সভাপতির দায়িত্ব গ্ৰহণের প্ৰাক্কালে রবিবার কথাগুলো বলেন কুলধর শইকিয়া।
রবিবার সাহিত্যসভার দ্বিবার্ষিক অধিবেশনে বিভিন্ন ক্ষেত্ৰের ৫০ জন ব্যক্তিত্বকে বিভিন্ন পুরস্কার প্ৰদান করা হয়। সাহিত্যসভার পরবর্তী বার্ষিক সম্মেলন ২০২০-২১ সালে মাজুলিতে অনুষ্ঠিত হবে। সভার ৭৫তম দ্বিবার্ষিক আধিবেশন উপলক্ষে আমিনগাঁও থেকে একটি বর্ণাঢ্য মিছিল বের করা হয়। বিভিন্ন জাতীয় সম্প্ৰদায়ের ৪০ হাজারের বেশি মানুষ মিছিলে অংশগ্ৰহণ করেন। এই মিছিলে অসমের বৈচিত্ৰ্যপূর্ণ সাংস্কৃতিক রূপরেখাকে তুলে ধরা হয়। বিহু,জিকির,জারি,মহিলা নাম,রাভা,বোড়োদের সাংস্কৃতিক পরম্পরা এবং বিভিন্ন জনগোষ্ঠীর ঐতিহ্যপূর্ণ সাংস্কৃতিক পরম্পরা মিছিলের সৌস্ঠব বৃদ্ধি করে। একটি সুসজ্জিত রথে করে করে নতুন সভাপতিকে নিয়ে যাওয়া হয় জ্যোতিক্ষেত্ৰে। ওই রথে বস্ত্ৰনগরী শুয়ালকুচির রেশমশিল্পের নৈপুণ্য তুলে ধরা হয়।
এরআগে ১৭৮ জন বিশিষ্ট ব্যক্তি ১৭৮টি পতাকা উত্তোলন করেন। তবে সাহিত্যসভার মূল পতাকা উত্তোলন করেন ড.পরমানন্দ রাজবংশী। তাঁরা ফুল দিয়ে রাজ্য এবং দেশের শহিদদের প্ৰতি শ্ৰদ্ধা নিবেদন করেন। বিকেলে জ্যোতিক্ষেত্ৰের মূল প্যান্ডেলে প্ৰকাশ্য অধিবেশন অনুষ্ঠিত হয়। এই অধিবেশনে পৌরোহিত্য করেন অসম সাহিত্যসভার নতুন সভাপতি কুলধর শইকিয়া।
অন্যান্য খবরের জন্য পড়ুনঃ আলফার(স্বাধীন)সঙ্গে মর্যাদার সঙ্গে কেন্দ্ৰের আলোচনার উদ্যোগ নেওয়া উচিতঃ আসু
অধিক খবরের জন্য ভিডিও দেখুন: NSUI unit in Guwahati demands immediate release of Youth Congress leaders