সীমান্তে ৩ হাজার টাকা ঘুষ দিয়ে ভারতে প্ৰবেশ বাংলাদেশি নাগরিকের

গুয়াহাটিঃ সীমান্তে নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা ঘুষ দিয়ে অবৈধ বিদেশি নাগরিকের ভারতে অনুপ্ৰবেশ করার ঘটনা এখনও চলছে। ধৃত এক বাংলাদেশি নাগরিকের স্বীকারোক্তি থেকে এই চাঞ্চল্যকর খবরটি প্ৰকাশ্যে আসে। সম্প্ৰতি অসমের ধুবড়ি জেলায় ধৃত ২৭ বছর বয়সী এক বাংলাদেশি নাগরিক স্বীকার করেছে যে ভারতে অনায়াসে ঢোকার সু্যোগ করে দেওয়ার জন্য যে বর্ডার গার্ডস বাংলাদেশ জওয়ানকে ৩ হাজারের বেশি টাকা ঘুষ হিসেবে দিয়েছে।
ধৃত বাংলাদেশি নাগরিকটির নাম আইনুল হক। বুধবার সকালে তাকে গ্ৰেপ্তার করা হয়। ওই দিন সকালে ধুবড়ির ছাগলিয়া এলাকায় তাকে সন্দেহজনক ভাবে ঘোরাফেরা করতে দেখেন স্থানীয় লোকেরা। সঙ্গে সঙ্গেই স্থানীয় লোকেরা পুলিশকে খবর দেন।
অসম পুলিশের ইন্সপেক্টর বিধান বসুমতারি বলেন,ধৃত ব্যক্তিটি বাংলাদেশের ঠাকুরগাঁও জেলার সুন্দরিয়া গ্ৰামের বাসিন্দা। যুবকটির বাবার নাম মহম্মদ সরিফুদ্দিন শেখ।
ধৃত বাংলাদেশি নাগরিকের ওই বিবৃতি থেকে অসমে প্ৰতিদিন বিদেশি নাগরিকের অবৈধ অনুপ্ৰবেশের অনেক তথ্যই এখন পরিষ্কার হয়ে গেছে। বর্ডার সিকিউরিটি গার্ডরা কিছু টাকার বিনিময়ে অবৈধ লোকেদের ভারতে ঢোকার সু্যোগ করে দিচ্ছে। তাই অবৈধ অনুপ্ৰবেশের কবল থেকে দেশকে রক্ষা করার বিষয়টি জটিল হয়ে পড়েছে।
হকের বিবৃতি থেকে জানা গিয়েছে,সে এবং আরও ১০-১১ জন বাংলাদেশি নাগরিক গত ২০১৩ সালের মার্চে ভারতে প্ৰবেশ করে। পশ্চিমবঙ্গের মালদা জেলার একটি বর্ডার পয়েন্ট দিয়ে তারা ভারতে ঢোকে। বাংলাদেশ বর্ডার গার্ডের কর্মীরা তাদের কাছে টাকা ঘুষ চাইলে তারা বাংলাদেশি মুদ্ৰায় ৪,২০০ টাকা বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ কর্মীদের হাতে তুলে দেয়।
হক আরও বলেছে,‘পশ্চিমবঙ্গ থেকে আমি দিল্লি,হরিয়ানা ও রাজস্থানেও গিয়েছিলাম। ওই সব স্থানে আমি শ্ৰমিক হিসেবে কাজ করেছি। অসমের বঙাইগাঁও জেলার একটি মেয়ের সঙ্গে আমার টেলিফোনে যোগাযোগ হতো এবং আমি তাকে বিয়ে করি। আমাদের একটি সন্তানও আছে’। বাংলাদেশি নাগরিকটি একটি প্যান কার্ড সংগ্ৰহ করা বিষয়টি নিয়েও নিশ্চিত হওয়া গেছে। হকের বয়ান অনু্যায়ী অসমের মেয়েকে বিয়ে করার ঘটনাটিও সত্য। তদন্তে জানা গেছে যে হক বঙাইগাঁও জেলার বিজনি অঞ্চলের বাসিন্দা শরিফা বেগম নামের একটি মেয়েকে বিয়ে করেছে। তাদের দুবছরের একটি পুত্ৰ সন্তানও রয়েছে।
অন্যান্য খবরের জন্য পড়ুনঃ কোকরাঝাড়ে ছয় বাংলাদেশি গ্ৰেপ্তার