গুয়াহাটিঃ ভুবনেশ্বর কলিতা শুক্ৰবার সন্ধ্যায় নয়াদিল্লিতে আনুষ্ঠানিকভাবে বিজেপি দলে যোগ দিয়েছেন। কংগ্ৰেসের রাজ্যসভা সাংসদ এবং চিফ হুইপ ভুবনেশ্বর কলিতা সংবিধানের ৩৭০ ধারা রদে কংগ্ৰেসের অবস্থানের বিরুদ্ধে প্ৰতিবাদ জানিয়ে সোমবার কংগ্ৰেসে ইস্তফা দেন।
বিজেপির সদর কার্যালয়ে কেন্দ্ৰীয় মন্ত্ৰী পিউস গোয়েল ও অন্যান্য বরিষ্ঠ নেতাদের উপস্থিতিতে কলিতা ওই দলে শামিল হন। উল্লেখ্য,কলিতা প্ৰথমে রাজ্যসভার সদস্য পদে ইস্তফা দিয়েছিলেন। এরপর কংগ্ৰেসের সঙ্গেও তিনি সম্পর্ক ছিন্ন করেন।
এক চিঠিতে কলিতা মন্তব্য করেছেন,‘৩৭০ ধারা রদের বিরোধিতা করে কংগ্ৰেস নিজের ধ্বংসের পথ যে বেছে নিয়েছে সেটা পরিষ্কার হয়ে গেছে এবং সেজন্যই তিনি আর এই দলে থাকতে পারছেন না’। কলিতার গেরুয়া বসন পরিধানকালে বিজেপি-র সাধারণ সম্পাদক ভূপেন্দ্ৰ যাদবও উপস্থিত ছিলেন। ‘আমি একটা নির্দিষ্ট আদর্শ নিয়ে চলি এবং আজ আমি বিজেপিতে যোগ দিচ্ছি তাদের আদর্শের জন্যই’। কলিতা কংগ্ৰেসের সঙ্গে কয়েক দশকের সম্পর্ক ছিন্ন করার ঘটনা ওই দলের কাছে একটা বড় ধরনের ধাক্কা বলে ধরা যেতে পারে। তাছাড়া ‘কংগ্ৰেসের রূপ রং ইতিমধ্যেই অনেকটা ফিকে হয়ে এসেছে। সংবিধানের ৩৭০ ধারা নিয়ে কংগ্ৰেসের অবস্থানের বিরোধিতা করেই কলিতা সম্প্ৰতি রাজ্যসভার সদস্য পদ ছেড়েছিলেন’। শেষপর্যন্ত তিনি কংগ্ৰেসের প্ৰাথমিক সদস্য পদেও ইস্তফা দেন। ‘আমি মনে করি কংগ্ৰেসের কাছ থেকে আমি প্ৰতারিত হয়েছি। কারণ আমি রাজ্যসভার সদস্য পদ ছাড়ার পর কংগ্ৰেসের কেউই আমার সঙ্গে কোনও যোগাযোগ করেনি। উল্টে,কংগ্ৰেসের অনেক নেতাই আমাকে স্বার্থান্বেষী আখ্যা দিয়েছেন’-বলেন কলিতা।
১৯৮৪ সাল থেকে ভুবনেশ্বরবাবু কংগ্ৰেসের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। কংগ্ৰেস শাসনকালে তিনি অসম সরকারের মন্ত্ৰীও হয়েছিলেন। রাজ্য কংগ্ৰেসের তরফ থেকে তিনি লোকসভা ও রাজ্যসভা উভয় সদনেই প্ৰতিনিধিত্ব করেছেন।
অন্যান্য খবরের জন্য পড়ুনঃ অসমের কংগ্ৰেস সাংসদ ভুবনেশ্বর কলিতা ইস্তফা দিলেন রাজ্যসভায়
অধিক খবরের জন্য ভিডিও দেখুন: BJP state president Ranjit Das holds press meet in Guwahati