বিসলারি ব্ৰ্যান্ডের পানীয় জল এক মাসের জন্য নিষিদ্ধ

গুয়াহাটিঃ এবার গুয়াহাটিতে নিষিদ্ধ হলো বিসলারি ব্ৰ্যান্ডের পানীয় জল। রাজ্য সরকারের অধীনস্থ কমিশনারেট অফ ফুড সেফটি বিসলারি ব্ৰ্যান্ডের প্যাকেজড পানীয় জলের উৎপাদন,মজুতকরণ,বণ্টন এবং বিক্ৰি নিষিদ্ধ ঘোষণা করে এতে অত্যন্ত বেশি পরিমাণে ফ্লোরাইড মিশ্ৰিত থাকার জন্য।
খাদ্য নিরাপত্তা বিভাগ অসম-এর কমিশনার ড.চন্দ্ৰিমা বরুয়া এক সরকারি বিজ্ঞপ্তি ইস্যু করে বলেছেন,প্যাকেজড পানীয় জলের(বিসলারি ব্ৰ্যান্ড)নমুনা পরীক্ষা করে দেখা গেছে এই জল পান করা নিরাপদ নয়। তাই ফুড সেফটি অ্যান্ড স্ট্যান্ডার্ড অ্যাক্ট ২০০৬-এর বিধি ব্যবস্থা অনু্যায়ী আগামি ৩০ দিনের জন্য বিসলারি ব্ৰ্যান্ডের প্যাকেজড পানীয় জলের উৎপাদন এবং বিক্ৰি নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
ফ্লোরাইড মিশ্ৰিত ব্ৰ্যান্ডের পানীয় জল নিষিদ্ধ করার বিষয়টিকে অনেকেই স্বাগত জানিয়েছেন। অন্যান্য ব্ৰ্যান্ডের প্যাকেজড পানীয় জল স্বাস্থ্যের পক্ষে নিরাপদ কিনা তা নিয়েও শহরের অনেক বাসিন্দা গভীর উদ্বেগ প্ৰকাশ করেছেন।
বর্তমানে গুয়াহাটির বাজার বিভিন্ন ব্ৰ্যান্ডের প্যাকেজড পানীয় জলে ছেয়ে গেছে। অন্যান্য ব্ৰ্যান্ডের পানীয় জলের(বিসলারি ছাড়া)গুণগত মান নির্ণয় এবং সেগুলি পানের জন্য নিরাপদ কিনা সেব্যাপারে সুনিশ্চিত হতে রাজ্য স্বাস্থ্য বিভাগের হাতে কোনও কারিগরি ব্যবস্থা রয়েছে কিনা তা নিয়েও প্ৰশ্ন উঠেছে। কমিশনারেট অফ ফুড সেফটি,অসম নির্দিষ্ট সময়ের ব্যবধানে বিশেষ কিছু ব্ৰ্যান্ডের ওপর নিষেধাজ্ঞা চাপিয়ে আসছে। এধরনের কিছু নিষেধাজ্ঞা চাপানোর পর পরবর্তী পর্যায়ে পরিশোধন মূলক পদক্ষেপ গ্ৰহণের ক্ষেত্ৰে কমিশনারেটকে বিশেষ কোনও পদক্ষেপ নিতে দেখা যায় না। স্থানীয় উজানবাজার এলাকার বাসিন্দা জনৈক আনোয়ার হুসেন এই অভি্যোগ করেন। এই শহরের আরও একজন বাসিন্দা অরূপ দত্ত বলেন,এধরনের জলের উৎস বা সূত্ৰকে আগে চিহ্নিত করতে হবে। ‘এই বোতলগুলো মিনারেল ওয়াটার হিসেবে বিক্ৰি করা হয়ে থাকে। এগুলো কি সত্যিই মিনারেল ওয়াটার? এমনও খবর রয়েছে যে কিছু কোম্পানি যেকোনও সূত্ৰ থেকে বোতলে জল ভরিয়ে নিয়ে সেগুলো বিক্ৰির জন্য বাজারে ছাড়ছে। এটা সত্যিই স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকারক হতে পারে-বলেন দত্ত।
অন্যান্য খবরের জন্য পড়ুনঃ ক্যাব উত্তরপূর্বের অস্তিত্বে কোনও আঘাত হানবে নাঃ অমিত
অধিক খবরের জন্য ভিডিও দেখুন: Man-Elephant Conflict: Locals spend sleepless night at Bihali in Biswanath