কাবুলঃ কাবুল বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে শুক্ৰবার এক শক্তিশালী বিস্ফোরণে কমপক্ষেও ৬ জনের মৃত্যু হয়। বিস্ফোরণে গুরুতর ভাবে আহত হয়েছেন ২৭ জন ছাত্ৰ। তালিবান সন্ত্ৰাসীরা আফগান নিরাপত্তা বাহিনীর ওপর ঘনঘন আক্ৰমণ জারি রেখেছে। কাবুল বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে বিস্ফোরণের এই ঘটনা খুবই মর্মান্তিক এবং হতাশাজনক। আফগানিস্তানে দীর্ঘদিন ধরে চলা লড়াইয়ের অবসান ঘটাতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্ৰ বার বার চেষ্টা করা সত্ত্বেও ওই দেশে হিংসার আগুন কিছুতেই নিভছে না। উল্লেখ্য,দীর্ঘ ১৮ বছর ধরে আফগানিস্তানের মাটিতে রক্তক্ষয়ী লড়াই চলছে। দেশে হিংসাশ্ৰয়ী ঘটনার সাম্প্ৰতিক যে সব রিপোর্ট পাওয়া গেছে তা আগামি দিনে হিংসার দাবানল ছড়িয়ে পড়ারই ইঙ্গিত দিচ্ছে।
রিপোর্টে প্ৰকাশ,বিস্ফোরণ ঘটনার প্ৰত্যক্ষদর্শীরা বলেছেন,পরীক্ষা দেবার জন্য আসা ছাত্ৰরা যখন বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরের গেটের কাছে অপেক্ষা করছিল ওই সময়ই বিস্ফোরণটি ঘটানো হয়। বিস্ফোরণ স্থলের কাছে অনেকগুলো ছাত্ৰ জমায়েত হওয়ায় হতাহতের সংখ্যাটা বৃদ্ধি পেয়েছে।
তবে এই বোমা বিস্ফোরণের দায়িত্ব কোনও সন্ত্ৰাসী সংগঠন এখনও পর্যন্ত স্বীকার করেনি। এই ঘটনার কয়েক ঘণ্টা আগে আরও দুদুটি বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। তালিবান জঙ্গিরা এই দুটি বিস্ফোরণ ঘটানোর প্ৰমাণ পাওয়া গেছে। এর আগে কান্দাহার শহরের দক্ষিণ অঞ্চলে পুলিশ সদর দপ্তরের বাইরে দুটো গাড়িতে বিস্ফোরণ ঘটায় সন্ত্ৰাসীরা। ওই বিস্ফোরণগুলিতে কমপক্ষেও ১২ জনের মৃত্যু হয় এবং আহত হন ৮০ জনের বেশি।
কাবুল বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে ঘটা বিস্ফোরণ সম্পর্কে আফগান স্বাস্থ্য মন্ত্ৰকের মুখপাত্ৰ ওয়াহিদ মেয়র সাংবাদিকদের বলেন,আহত ছাত্ৰদের তড়িঘড়ি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। প্ৰত্যক্ষদর্শীরা এবং অভ্যন্তরীণ মন্ত্ৰকের কর্মকর্তাদের মতে,এই বিস্ফোরণে কাছে থামিয়ে রাখা একটি গাড়িতে আগুন ধরে যায়। দেশে এপর্যন্ত যে সব বিস্ফোরণ ঘটানো হয়েছে তার সঙ্গে এই বিস্ফোরণেরও আনেকটাই মিল রয়েছে। কাবুলে স্টিকি বোমা বিস্ফোরণ এখন একটা সাধারণ হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। সন্ত্ৰাসীরা গাড়ির ভিতরে বিস্ফোরক রেখে এধরনের বিস্ফোরণ ঘটাচ্ছে। বিস্ফোরণ স্থলের কাছে আরও একটি বোমা পেতে রেখেছিল জঙ্গিরা। তবে পুলিশের একটি দল সেটি খুঁজে বের করে নিষ্ক্ৰিয় করে ফেলে।
অন্যান্য খবরের জন্য পড়ুনঃ ইম্ফলে রাজভবনের সামনে বোমা বিস্ফোরণে আহত ৪