গুয়াহাটিঃ উত্তর পূর্ব গ্ৰন্থমেলার ২১তম সংস্করণে যুব সমাজ ও ছাত্ৰদের মধ্যে একটা নতুন ট্ৰেন্ড লক্ষ্য করা গিয়েছে। এই সব যুবক ও ছাত্ৰদের অনেকেই ঐতিহাসিক অসম চুক্তির ওপর লেখা বই কিনেছেন। বইমেলার উদ্যোক্তা সারা অসম প্ৰকাশক এবং বই বিক্ৰেতা সংস্থা এই অভিমত প্ৰকাশ করেছে যে নতুন প্ৰজন্মের মধ্যে একটা আঞ্চলিক চেতনার উন্মেষ ঘটতে দেখা গেছে। অনেক যুবকই বলেছেন,এনআরসি নবায়ন,নাগরিকত্ব(সংশোধনী)বিল এবং অসম চুক্তির ৬ নং শর্ত নিয়ে সোশিয়াল মিডিয়া ও অন্যান্য প্ৰচার মাধ্যমে ব্যাপক প্ৰচার ও বিতর্কের প্ৰেক্ষিতে ঐতিহাসিক অসম আন্দোলন সম্পর্কে জানতে তারা খুবই আগ্ৰহী।
তাই বইমেলায় মনোজ কুমার নাথের লেখা অসম আন্দোলন-পটভূমি,ইতিহাস,বর্তমান বইটির ভালই কাটতি হয়েছে। এছাড়াও মানস কুমার মহন্তের ঐতিহাসিক অসম আন্দোলন,জুইয়ে পোড়া সত্য বাসর,জিতুমণি বরার বিকুল এবং মৃণাল তালুকদারের পোস্ট কলোনিয়েল আসাম(১০৪৭-২০০৯)গ্ৰন্থগুলো ভালই বিকিয়েছে। এছাড়াও সংগীতা বরুয়া পিসারোতির ‘আসামঃ দ্য অ্যাকর্ড,দ্য ডিসকোর্ড-এর ও ভালই কাটতি দেখা গেছে। মোদ্দা কথায় অসম আন্দোলনের ওপর লেখা বইগুলো বিক্ৰি হয়েছে সবচেয়ে বেশি।
‘গত দুবছর ধরে রাজ্যের মানুষ এনআরসি নবায়ন এবং নাগরিকত্ব(সংশোধনী)বিল ইত্যাদি ইস্যু প্ৰায় প্ৰতিদিনই তুলছিলেন। তাই এই বিষয়গুলো মাথায় রেখে রাজ্যের মানুষের ভাবাবেগ এবং ব্যবসার দিকটি বিবেচনা করে এজাতীয় গ্ৰন্থ মুদ্ৰণে আমরা বেশি গুরুত্ব দিই। আমাদের এই প্ৰয়াস ইতিবাচক ফলই দিয়েছে’-বলেন একজন অগ্ৰণী প্ৰকাশক।
আরও এক প্ৰকাশকের মতে,রাজ্যের মানুষের মধ্যে রাজনৈতিক সচেতনতা বোধ বৃদ্ধি পাওয়ার জন্যই অসম আন্দোলনের ওপর লেখা বইগুলোর কাটতি সবচেয়ে ভাল হয়েছে।
কটন বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন ছাত্ৰ সিদ্ধার্থ শর্মা বলেন,তিনি অসম আন্দোলন-পটভূমি,ইতিহাস,বর্তমান এবং ঐতিহাসিক অসম আন্দোলনঃ জুইয়ে পোড়া সত্য বাসর বইগুলো কিনেছেন। তিনি বলেন,‘অসমের সামাজিক-রাজনৈতিক জীবন সম্পর্কে আমি কিছুই জানতে পারতাম না যদি না এই বইগুলো পড়তাম। তাই প্ৰত্যেক তরুণ অসমিয়ার এই বইগুলো পড়া উচিত’।
গুয়াহাটির চাঁদমারিতে অসম ইঞ্জিনিয়ারিং ইন্সটিটিউটের(এইআই)খেলার মাঠে আয়োজিত উত্তর পূর্ব গ্ৰন্থমেলা মঙ্গলবার শেষ হয়েছে। এবার এই বইমেলায় আনুমানিক ৪ কোটি টাকার গ্ৰন্থ বিক্ৰি হয়েছে,যা পূর্বের সমস্ত রেকর্ড ভেঙে দিয়েছে। সারা অসম প্ৰকাশক এবং বই বিক্ৰেতা সংস্থার সম্পাদক ধীরাজ গোস্বামী বলেন,বই প্ৰেমীদের অভূতপূর্ব সাড়ায় আমরা খুবই উৎফুল্লিত হয়েছি। প্ৰতিদিনই ফেলায় ভিড় জমিয়েছেন ৮০-৯০ হাজার গ্ৰন্থপ্ৰেমী মানুষ।
অন্যান্য খবরের জন্য পড়ুনঃ এনআরসির তথ্য আধারের মতো নিরাপত্তার সঙ্গে সংরক্ষণে কোনও পদক্ষেপ এখনও নেওয়া হয়নি
অধিক খবরের জন্য ভিডিও দেখুন: City Livelihood Centre inaugurated by Parimal Suklabaidya in Hailakandi