চরাইদেউকে বিশ্ব ঐতিহ্য ক্ষেত্ৰের ট্যাগ দেওয়ার সম্ভাবনা খতিয়ে দেখবে কেন্দ্ৰীয় প্যানেল

চরাইদেউকে বিশ্ব ঐতিহ্য ক্ষেত্ৰের ট্যাগ দেওয়ার সম্ভাবনা খতিয়ে দেখবে কেন্দ্ৰীয় প্যানেল

গুয়াহাটিঃ আহোম যুগের চরাইদেউ মৈদামের উন্নীতকরণে অসম সরকার অত্যন্ত আগ্ৰহী। এই মৈদামগুলোকে বিশ্ব ঐতিহ্য ক্ষেত্ৰের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করার সম্ভাবনার বিষয়ে পরীক্ষা নিরীক্ষা চালানো হচ্ছে। মৈদামগুলোর সুরক্ষা,সংরক্ষণ এবং বিশ্ব ঐতিহ্য ক্ষেত্ৰের দলিল হিসেবে প্ৰস্তাব পেশ করার জন্য দলিলগুচ্ছ ইত্যাদি প্ৰস্তুতি বাবদ রাজ্য সরকার ইতিমধ্যেই ২৫কোটি টাকার লক্ষ্যমাত্ৰা ধার্য করেছে।

একবার এই স্থানটি মনোনীত হলে তা ইউনেসকর(ইউনাইটেড ন্যাশনাল-এডুকেশনাল,সায়েন্টিফিক কালচারাল অর্গানাইজেশন)অধীন আন্তঃসরকারি ওয়র্ল্ড হ্যারিটেজ কমিটির আওতায় যাবে এবং তারা স্থানটিকে বিশ্ব ঐতিহ্য ক্ষেত্ৰের মর্যাদা দেওয়া নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে। কমিটি বছরে একবার বৈঠকে মিলিত হয়ে কোন স্থানটি বিশ্ব ঐতিহ্য ক্ষেত্ৰের তালিকায় অন্তর্ভুক্তির জন্য পেশ করা হবে সে সম্পর্কে সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকে।

রাজ্য সরকারের এক অনুরোধের পরিপ্ৰেক্ষিতে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্ৰকের ওয়র্ল্ড হ্যারিটেজ সেলের একটি প্ৰতিনিধিদল আগামি সেপ্টেম্বর অথবা অক্টোবরে চরাইদেউ পরিদর্শন করবে এবং স্থানটিকে বিশেষ ট্যাগ দেওয়ার সম্ভাবনা সম্পর্কে পরীক্ষা নিরীক্ষা চালাবে। তবে প্ৰতিনিধিদলের সফরের প্ৰাক্কালে রাজ্যের মুখ্যসচিব এবিষয়ে ডিরেক্টর জেনারেল অফ দ্য আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়া(এএসআই)সঙ্গে একপ্ৰস্থ আলোচনা করবেন। এই বৈঠকে রাজ্য প্ৰত্নতত্ত্ব বিভাগের সঞ্চালক এবং রাজ্য সরকারের অন্যান্য কর্মকর্তারা অংশ গ্ৰহণ করার কথা আছে।

রাজ্যের প্ৰত্নতত্ত্ব বিভাগের মন্ত্ৰী কেশব মহন্ত এই বিষয়ে ইতিমধ্যেই কেন্দ্ৰীয় সংস্কৃতি দপ্তরের মন্ত্ৰীর সঙ্গে আলোচনা করেছেন। প্ৰথম আহোম রাজা চাওলুং চ্যুকাফা ১২৫৩ সালে চরাইদেউয়ে প্ৰথম স্থায়ী রাজধানী স্থাপন করেছিলেন। তবে ৬০০ বছরের আহোম শাসনকালে রাজধানী অন্যত্ৰ স্থানান্তর করা হয়েছিল। আহোম শক্তির প্ৰতীক হিসেবে আজও বিরাজ করছে চরাইদেউ। চরাইদেউয়েই এই রাজকীয় মৈদামগুলো শোভা পাচ্ছে। যোরহাট ও ডিব্ৰুগড় শহরের মাঝে আরও বেশকিছু মৈদাম ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে।

সম্পূর্ণ আহোম ঘরানায় এই মৈদামগুলো নির্মাণ করা হয়েছিল। আহোম রাজাদের কীর্তি চিহ্নকেই তুলে ধরছে ঐতিহাসিক এই মৈদামগুলো।

উজান অসমের ৫৭৮ বিঘা জমি ঘিরে রয়েছে মৈদামগুলো। এএসআই ৪টি বড় মৈদাম দেখাশোনা করছে। বাকি ৩৪টি দেখভাল করছে অসম প্ৰত্নতাত্ত্বিক বিভাগের অধীনে এএসআই। সূত্ৰটি জানাচ্ছে,রাজ্য সরকার চাইছে এএসআই অথবা রাজ্য প্ৰত্নতত্ত্ব বিভাগের যে কোনও একটির অধীনে মৈদামগুলোর দেখাশোনা করা হোক।

অধিক খবরের জন্য ভিডিও দেখুন: Pratibandhi Suraksha Sangstha stages protest | The Sentinel News | Assam News

Related Stories

No stories found.
logo
Sentinel Assam- Bengali
bengali.sentinelassam.com