নয়াদিল্লিঃ দেশে আর্থিক মন্দা চলছে। তাই টান পড়েছে রাজকোষেও। ঘাটতি পুষিয়ে উঠতে অর্থমন্ত্ৰী নির্মলা সীতারামন তাঁর বাজেট ভাষণে জীবন বিমা নিগমের(এলআইসি)সরকারি সত্ত্বের একাংশ বিক্ৰি করার কথা ঘোষণা করেছেন। সীতারামন বলেছেন,এলআইসিতে সরকারি সত্ত্বের একাংশ বিক্ৰি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্ৰ। জীবন বিমায় থাকা সরকারি শেয়ার আইপিও-র মাধ্যমে বিক্ৰি করা হবে। অর্থমন্ত্ৰীর ওই ঘোষণার পর লগ্নিকারী এবং এজেন্টদের মধ্যে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।
প্ৰাপ্ত তথ্যে জানা গিয়েছে বর্তমানে সারা দেশে এলআইসির গ্ৰাহক সংখ্যা ৩২ কোটি। পাশাপাশি এজেন্টের সংখ্যাও এক লক্ষেরও বেশি হবে। এই পরিস্থিতিতে এলআইসি-র মধ্যে একটা বিরাট টানাপোড়েন শুরু হয়েছে। অনেকেই এই অভিমত প্ৰকাশ করেছেন যে এলআইসি যদি বেসরকারি অথবা শেয়ার হোল্ডারদের হাতে চলে যায় তাহলে এই প্ৰতিষ্ঠানের সুনাম এবং পারফরম্যান্স দুটোই প্ৰচণ্ড ধাক্কা খাবে।
তবে অর্থ মন্ত্ৰক সূত্ৰ বলেছে,সরকার গ্ৰাহক এবং এজেন্টদের ক্ষতি হতে পারে এমন কোনও সিদ্ধান্ত নেবে না। আর সে জন্যই সরকার মাত্ৰ নিজেদের সত্ত্বের ১০ শতাংশ শেয়ার বিক্ৰি করতে পারে। দশ শতাংশ শেয়ার বিক্ৰি করলে সরকারের রাজকোষে মোটা টাকা চলে আসবে বলে মন্ত্ৰকের কর্মকর্তাদের ধারণা। সংবাদ মাধ্যমের খবরে জানা গিয়েছে,এলআইসি-র সরকারি সত্ত্ব বিক্ৰি করে ২.১ লক্ষ কোটি টাকা রাজকোষে তুলতে চাইছে কেন্দ্ৰ। রাজকোষের ঘাটতি মেটাতে এলআইসি ছাড়া আরও কিছু সংস্থার সাহায্য কেন্দ্ৰ নিতে পারে বলে সূত্ৰটি উল্লেখ করেছে।
সূত্ৰটি বলেছে,বর্তমানে এলআইসির সম্পদের অঙ্ক হচ্ছে ৩৬ লক্ষ কোটি টাকা। সংস্থার ১০০ শতাংশ শেয়ার রয়েছে কেন্দ্ৰের দখলে। এর মধ্য থেকে দশ শতাংশ বিক্ৰি করলে ৩.৬ লক্ষ কোটি টাকা রাজকোষে আসবে-এমনটাই ধারণা করা হচ্ছে। বাজেটে আইডিবিআই ব্যাংকেরও কিছু শেয়ার বিক্ৰির প্ৰস্তাব রাখা হয়েছে। এভাবেই শেয়ার বিক্ৰি করে সরকার লক্ষ্যে পৌঁছতে চাইছে বলে উল্লেখ করেছে সূত্ৰটি।
অন্যান্য খবরের জন্য পড়ুনঃ অসমিয়া ভাষাকে বিশ্ব সাহিত্যের অঙ্গনে তুলে ধরার লক্ষ্য অসম সাহিত্য সভার
অধিক খবরের জন্য ভিডিও দেখুন: Chamber Premiere League 10 begins in Tinsukia from Sunday