রাজ্য মন্ত্ৰিসভার সিদ্ধান্তে মিশ্ৰ প্ৰতিক্ৰিয়া,সমালোচনা আসুর

রাজ্য মন্ত্ৰিসভার সিদ্ধান্তে মিশ্ৰ প্ৰতিক্ৰিয়া,সমালোচনা আসুর

গুয়াহাটিঃ সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন(ক্যা)নিয়ে গোটা রাজ্য যখন উত্তাল সেই সময়ই অসমিয়া ভাষা সুরক্ষিত করতে শনিবার কিছু গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তের কথা ঘোষণা করে রাজ্যের সর্বানন্দ সোনোয়াল সরকার। সরকারি তরফে বলা হয়েছে,অসমিয়া ভাষার সাংবিধানিক রক্ষাকবচের পাশাপাশি রাজ্যে সব মাধ্যমের বিদ্যালয়ে অসমিয়া ভাষা বাধ্যতামূলক করা হবে। ব্ৰহ্মপুত্ৰ উপত্যকার সব মাধ্যমের বিদ্যালয়ে অসমিয়া ভাষা বাধ্যতামূলক করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার। রাজ্য মন্ত্ৰিসভার এই সিদ্ধান্তের প্ৰতি মিশ্ৰ সাড়া পাওয়া গিয়েছে। সারা অসম ছাত্ৰ সংস্থা(আসু)মন্ত্ৰিসভার এই সিদ্ধান্তের সমালোচনা করেছে। ওদিকে রাজ্যের উপজাতি সংগঠনগুলির সমন্বয় কমিটি(সিসিটিওএ)সরকারের এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে।

আসুর মুখ্য উপদেষ্টা সমুজ্জ্বল ভট্টাচার্য প্ৰচার মাধ্যমকে বলেছেন,‘নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের(ক্যা)বিরুদ্ধে চলা মানুষের প্ৰতিবাদে ঠাণ্ডা জল ঢালতেই সরকার এই প্ৰস্তাব রেখেছে। শনিবার রাজ্য মন্ত্ৰিসভা যে প্ৰস্তাবগুলি রেখেছে সেটা আমাদের বহুদিনের পুরনো দাবি ছিল। মন্ত্ৰিসভার ওই সিদ্ধান্তে নতুন কিছুই নেই। আমরা আমাদের দাবিগুলির বাস্তব রূপ দিতে সফল হয়েছি। ক্যা পুরোপুরি রদ না করা পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন চলবে’।

আসুর সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদক ক্ৰমে দীপাঙ্ক কুমার নাথ ও লুরিনজ্যোতি গগৈ এক যৌথ বিবৃতিতে বলেন,‘রাজ্য মন্ত্ৰিসভা যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে সেটা রাজ্যের ব্যাপক সংখ্যক মানুষের দীর্ঘদিনের দাবি ছিল। এই দাবিগুলোকে স্বীকৃতি দিয়ে ক্যা-২০১৯ রাজ্যের ভাষা,জমি,সংস্কৃতি,অর্থনীতি এবং অসমিয়া খিলঞ্জিয়া মানুষের অস্তিত্বের ক্ষেত্ৰে যে বিরাট হুমকি ডেকে এনেছে সরকার পরোক্ষে সেটাকেই মেনে নিয়েছে’।

ওদিকে উপজাতি সমন্বয় কমিটির(সিসিটিওএ)মুখ্য সমন্বয়ক আদিত্য খাকলারি বলেন,অসমিয়াকে রাজ্য ভাষা করার জন্য সোনোয়াল মন্ত্ৰিসভা সংবিধানের ৩৪৫ অনুচ্ছেদ সংশোধনের উদ্দেশ্যে কেন্দ্ৰীয় সরকারের কাছে প্ৰস্তাব পাঠানোর যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে আমরা তার প্ৰতি স্বাগত জানাচ্ছি’। ‘মরান,মটক এবং কোচ রাজবংশীদের জন্য তিনটি স্বশাসিত পরিষদ গঠনের যে সিদ্ধান্ত সরকার নিয়েছে তার প্ৰতিও স্বাগত জানাচ্ছি আমরা’। তাছাড়া মরান,মটক,তাই-আহোম এবং চুটিয়া সম্প্ৰদায়ের ঐতিহাসিক সৌধগুলি সংরক্ষণে সরকার বিশেষ প্যাকেজ দেওয়ার যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে তার প্ৰতিও স্বাগত জানিয়েছে উপজাতি সমন্বয় কমিটি।

সিসিটিওএ নেতা আরও বলেন,স্থানীয় উপজাতি গোষ্ঠী বিশেষ করে অসমের বোড়ো কছারি,তাংসা,তাই-খামাং এবং তাই-ফাইকে সম্প্ৰদায়ের জন্য আরও কয়েকটি স্বশাসিত পরিষদ গঠনের দাবি জানাচ্ছি আমরা। এই জনগোষ্ঠীর ভাষা,সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য এবং সামাজিক ও আর্থিক উন্নয়নে এধরনের স্বশাসিত পরিষদ গঠন করা উচিত বলে সিসিটিওএ মনে করে।

অন্যদিকে,এআইইউডিএফ(অল ইন্ডিয়া ইউনাইটেড ডেমোক্ৰ্যাটিক ফ্ৰন্ট)-এর সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম বলেন,সোনোয়াল সরকার নির্বাচনী ইস্তাহার এবং বাজেট বক্তব্যে দেওয়া প্ৰতিশ্ৰুতি পালনে ইতিমধ্যেই ব্যর্থ হয়েছে। এখন সরকার শুধু নতুন নতুন প্ৰতিশ্ৰুতি দিচ্ছে যাতে করে ক্যা-২০১৯-এর বিরুদ্ধে আন্দোলন স্তব্ধ করা যায়।

অধিক খবরের জন্য ভিডিও দেখুন: Women bodies protest against CAA-2019 in Biswanath

Related Stories

No stories found.
logo
Sentinel Assam- Bengali
bengali.sentinelassam.com