Begin typing your search above and press return to search.

মুখ্যমন্ত্ৰী সোনোয়াল অবৈধ অনুপ্ৰবেশকারীদের রক্ষক হয়ে দাঁড়িয়েছেনঃ সমুজ্জ্বল

মুখ্যমন্ত্ৰী সোনোয়াল অবৈধ অনুপ্ৰবেশকারীদের রক্ষক হয়ে দাঁড়িয়েছেনঃ সমুজ্জ্বল

Sentinel Digital DeskBy : Sentinel Digital Desk

  |  8 Jan 2020 9:53 AM GMT

নয়াদিল্লিঃ অসমের মুখ্যমন্ত্ৰী সর্বানন্দ সোনোয়ালকে প্ৰতারক আখ্যা দিয়ে সারা অসম ছাত্ৰ সংস্থার(আসু)মুখ্য উপদেষ্টা সমুজ্জ্বল কুমার ভট্টাচার্য মঙ্গলবার বলেছেন ‘জাতির নায়ক থেকে সোনোয়াল এখন অবৈধ অনুপ্ৰবেশকারীদের রক্ষক হয়ে দাঁড়িয়েছেন। ‘অবৈধ অনুপ্ৰবেশকারীদের শনাক্ত করে উচ্ছেদ করার প্ৰতিশ্ৰুতি দিয়েই তিনি ক্ষমতায় এসেছিলেন। কিন্তু এখন সেই সোনোয়ালই অবৈধ অনুপ্ৰবেশকারীদের ত্ৰাতা হিসেবে কাজ করছেন’-দিল্লিতে একথা বলেন ভট্টাচার্য।

নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন(ক্যা)নিয়ে নয়াদিল্লিতে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলছিলেন তিনি। ‘অসম সহ গোটা উত্তর পূর্বাঞ্চলই ক্যা কোনওভাবেই মেনে নেবে না’। কেন্দ্ৰের বিজেপি নেতৃত্বাধীন সরকার বিভাজনের খেলা চালাচ্ছে বলে অভিযোগ করেন সমুজ্জ্বল।

‘ক্যা-তে একটা ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। সেটা হলো ইনার লাইন পারমিট(আইএলপি)থাকা রাজ্য এবং ষষ্ঠ তফশিলভুক্ত এলাকাগুলোকে এই আইন রূপায়ণের আওতার বাইরে রাখা হয়েছে। এতে এটা পরিস্কার যে ক্যা এই এলাকাগুলোর জন বিন্যাসে নেতিবাচক প্ৰভাব ফেলবে। বাদ দেওয়া এলাকাগুলোর ক্ষেত্ৰে ক্যা যদি খারাপ হয় তাহলে অসমের অন্যান্য এলাকার ক্ষেত্ৰে সেটা কি করে ভালো হতে পারে-প্ৰশ্ন তোলেন ভট্টাচার্য।

আসু নেতা আরও বলেন,ক্যা অসমের খিলঞ্জিয়াদের মানবাধিকার লঙ্ঘন করছে। এই আইন রাজ্যের খিলঞ্জিয়া মানুষের রাজনৈতিক অধিকার,সংস্কৃতি এবং সামাজিক অস্তিত্বের ক্ষেত্ৰে হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। তিনি গোটা উত্তর পূর্বাঞ্চলকে ইনার লাইন পারমিটের আওতায় আনার দাবি জানান।

‘১৮৭৩ সালের বেঙ্গল ইস্টার্ন ফ্ৰন্টিয়ার রেগুলেশন অনু্যায়ী প্ৰকৃতপক্ষে পুরো অসমই আইএলপি ব্যবস্থার অধীনে ছিল,২০১৯-এর ১১ ডিসেম্বর সেটি প্ৰত্যাহারের আগে পর্যন্ত। এক্ষেত্ৰে ফের একটা রাজনৈতিক অবিচার করা হয়েছে। আমরা অসম এবং সম্পূর্ণ উত্তর পূর্বাঞ্চলকে আইএলপির আওতায় আনার দাবি জানিয়েছি। অসম চুক্তির ব্যবস্থা অনু্যায়ী অসমে অবৈধ অনুপ্ৰবেশকারী শনাক্ত করার পর তারা যাতে আর এই রাজ্যে ফের অবৈধভাবে প্ৰবেশ করতে না পারে তা সুনিশ্চিত করতেই এই দাবি জানানো হয়েছে-বলেন ভট্টাচার্য।

এদিকে আসু ও উত্তর পূর্ব ছাত্ৰ সংগঠন(নেসো)দিল্লির জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ে রবিবারের হিংসাত্মক ঘটনার নিন্দা করে যৌথভাবে উত্তর পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলিতে দুদিনের ধর্মঘট ডেকেছে। ‘ছাত্ৰদের ওপর যেকোনও ধরনের হিংসাত্মক ঘটনার আমরা বিরোধী। এই পুরো ঘটনার জন্য কেন্দ্ৰীয় সরকারই দায়ী। যেহেতু দিল্লির আইনশৃঙ্খলার দায়িত্ব রয়েছে স্বরাষ্ট্ৰ মন্ত্ৰকের হাতে’-বলেন ভট্টাচার্য।

অন্যান্য খবরের জন্য পড়ুনঃ ক্যা বিরোধী আন্দোলন এড়াতে প্ৰধানমন্ত্ৰী নরেন্দ্ৰ মোদির অসম সফর বাতিল

অধিক খবরের জন্য ভিডিও দেখুন: Watch Bhogali Bihu preparation from Nagaon’s Kampur

Next Story
সংবাদ শিরোনাম