ফুঁসছে ব্ৰহ্মপুত্ৰ,এমজি রোডে ফাটল,ঝুঁকির মুখে ফ্যান্সি বাজার

ফুঁসছে ব্ৰহ্মপুত্ৰ,এমজি রোডে ফাটল,ঝুঁকির মুখে ফ্যান্সি বাজার

গুয়াহাটিঃ মহানগরী গুয়াহাটির ব্যবসা বাণিজ্যের কেন্দ্ৰস্থল ফ্যান্সি বাজার এখন সংকটের মুখে। ব্ৰহ্মপুত্ৰের কূল ছাপানো জলে যে কোনও সময়ে ডুবে যেতে পারে ফ্যান্সি বাজার এলাকা। ফ্যান্সি বাজারের এমজি রোডের ফুলগলি(যেখানে ফুল বিক্ৰি করা হয়)এলাকায় ব্ৰহ্মপুত্ৰের জল চুইয়ে উঠতে দেখা গেছে। ব্ৰহ্মপুত্ৰের রূদ্ৰরূপে পুরো এলাকাটি হুমকির মুখে পড়েছে। মহানগরীর উজান বাজার এলাকার রাস্তায় উঠে গেছে নদীর জল। পাণ্ডুতেও বহু ঘরে নদীর কুল ছাপানো জল ঢুকে পড়ার খবর পাওয়া গেছে।

এমজি রোডে ইতিমধ্যেই ফাটল ধরেছে। জল সরবরাহ প্ৰকল্পের জন্য গ্যামন ইন্ডিয়া রাস্তার নিচে যে বড় পাইপ বসিয়ছে সেই পাইপে ব্ৰহ্মপুত্ৰের জল ঢুকতে পারে। পরিস্থিতি সঙ্গিন ও ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। ব্ৰহ্মপুত্ৰের কূল ছাপানো জল এমজি রোড বরাবর ফুটপাতও স্পর্শ করেছে। রবিবার বিকেল ৪টায় এই এলাকায় ব্ৰহ্মপুত্ৰের জলস্তর ৫০.৩০ মিটারে দাঁড়ায়,যা বিপদ চিহ্নের অনেক ওপরে। বলা হয়েছে প্ৰতি ঘণ্টায় ব্ৰহ্মপুত্ৰের জল দুই সেন্টিমিটার করে বাড়ছে। এমজি রোড দিয়ে যান বাহন চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।

শহরের কালীপুরে স্থিত চক্ৰেশ্বর মন্দির চত্বরে লক্ষ্মী-নারায়ণ অনন্ত শয্যায় থাকা মূর্তিটি ব্ৰহ্মপুত্ৰের কূল ছাপানো জলে ভাসছে। তবে কয়েকটি মূর্তি এখনও জলের ওপরেই বয়েছে। কামরূপের(মেট্ৰো)জেলাশাসক বিশ্বজিৎ পেগু দ্য সেন্টিনেলকে বলেছেন,গ্যামন ইন্ডিয়া পাইপ বসানোর সময় কোনও ত্ৰুটি থেকে যাওয়ার জন্য এমজি রোডে চুইয়ে চুইয়ে জল উঠতে দেখা গেছে। তবে পূর্ত কর্মীরা আপাতত এই ত্ৰুটি দূর করার লক্ষ্যে চেষ্টা করে যাচ্ছেন। এই সমস্যার স্থায়ী সমাধান করতে আমাদের জল না কমা অবধি অপেক্ষা করতে হচ্ছে। এদিকে আবহাওয়া বিভাগের পূর্বাভাসে বলা হয়েছিল রাজ্যে টানা বৃষ্টিপাত হতে পারে এবং এরফলে ব্ৰহ্মপুত্ৰ ও অন্যান্য নদীগুলিতে প্ৰবল জলস্ফীতি দেখা দেবে। আবহাওয়া বিভাগের পূর্বাভাসে আরও বলা হয়েছে,১৫ জুলাই তিনসুকিয়া,বঙাইগাঁও,বরপেটা,নলবাড়ি,ধেমাজি,কোকরাঝাড় ও লখিমপুরে জোর বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছিল। এদিকে বন্যার অছিলায় গুয়াহাটিতে মাছ ও শাকসবজির দাম আকাশ ছুঁয়েছে। উজানবাজারে থাকা মাছ বাজারের অর্ধেকটাই এখন ব্ৰহ্মপুত্ৰের জলে তলিয়ে আছে। এই মাছ বাজারের বাকি অংশ টুকুও হুমকির মুখে। রাজ্যের বিভিন্ন অঞ্চল এখন বন্যার জলে ভাসছে। তাই মাছ ধরা এখন সম্ভব হচ্ছে না। স্থানীয় মাছের অভাবে আমদানি কৃত মাছ দিয়ে এখন চাহিদা মেটানো কঠিন হয়ে পড়েছে।

গুয়াহাটিতে শাকসবজি এসে থাকে সাধারণত খারুপেটিয়া,দলগাঁও ও মেঘালয় থেকে। কিন্তু বন্যার জন্য এই সব স্থান থেকে সবজি আসা প্ৰায় বন্ধ রয়েছে। ফলে বাজারে শাক সবজির অভাব পরিলক্ষিত হচ্ছে। সু্যোগ বুঝে ব্যবসায়ীরাও চড়া দাম হাকাচ্ছে।

Related Stories

No stories found.
logo
Sentinel Assam- Bengali
bengali.sentinelassam.com