২৫০ টাকা ঘুষ নিয়ে ২৮ বছর পর অভিযোগ থেকে মুক্তি পেলেন দিল্লির এক পুর কর্মী

২৫০ টাকা ঘুষ নিয়ে ২৮ বছর পর অভিযোগ থেকে মুক্তি পেলেন দিল্লির এক পুর কর্মী

নয়াদিল্লিঃ একটা সময় গেছে যখন দুর্নীতি,কেলেংকারি দেশে প্ৰায় নিত্যদিনের ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছিল। ওই সময়ই নতুন দিল্লিতে একটা ছোটখাটো ঘুষ কাণ্ডের ঘটনা প্ৰকাশ্যে আসে,যার জন্য অভিযুক্ত ব্যক্তিকে চরম ভোগান্তির মুখে পড়তে হয়। ঘটনার সবিশেষ জানতে ফিরে যেতে হয় ১৯৯১ সালে। ওই সময় জগন্নাথ নামের এক ব্যক্তি নতুন দিল্লির মালব্য নগরে পুরনিগমের কর্মচারী ছিলেন। এক ব্যক্তির কাছ থেকে মাত্ৰ ২৫০ টাকা ঘুষ নেওয়ার সময় সিবিআই জগন্নাথকে হাতেনাতে ধরে ফেলে। তাকে সঙ্গে সঙ্গে তিনবছরের জন্য চাকরি থেকে সাসপেন্ড করা হয়েছিল।এভাবেই দীর্ঘ ২৮ বছর কেটে গেছে। দিল্লি হাইকোর্ট সম্প্ৰতি তাঁকে ওই অভিযোগ থেকে মুক্তি দিয়েছে।

বর্তমানে জগন্নাথের বয়স ৭৯। জগন্নাথ ২০০২ সালে অবসর নিয়েছেন। জগন্নাথের এখন একমাত্ৰ আশা পুর পর্ষদ থেকে গ্ৰ্যাচুয়িটির টাকাটা তিনি কবে পাবেন। ‘২০০২ সালে আমি অবসর নিয়েছি যদিও আজ অবধি গ্ৰ্যাচুয়িটির টাকা পাইনি। আমার আশঙ্কা পুরনো রেকর্ডপত্ৰ আদৌ পাওয়া যাবে কিনা কারণ ১০ বছর বা তারও বেশি সময়ের রেকর্ডগুলি সাধারণত রাখা হয় না’। জগন্নাথই তার পরিবারের একমাত্ৰ উপার্জনকারী। পরিবারে সদস্য রয়েছেন আটজন। বর্তমানে জগন্নাথকে প্ৰচণ্ড হেনস্তার মুখে পড়তে হচ্ছে। নিরাপত্তাহীনতা তাঁকে কুরে খাচ্ছে। গ্ৰ্যাচুয়িটির টাকা আদৌ পাবেন কিনা তা নিয়ে প্ৰতিক্ষণেই দুশ্চিন্তায় ভুগছেন তিনি। কারণ তাঁর অবসরগ্ৰহণেরও ১৭ বছর ইতিমধ্যেই পেরিয়ে গেছে। অবসরগ্ৰহণের রেকর্ডপত্ৰ কোথায় আছে তা নিয়েও সন্দেহ পোষণ করেছেন জগন্নাথ।

জিতরাম নামে এক ব্যক্তি জগন্নাথের বিরুদ্ধে ২৫০ টাকা ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ এনেছিলেন। দিল্লি পুরনিগম(এমসিডি)জিতরামের একটি গরু তুলে এনেছিল রাস্তা থেকে। জিতরাম সেই গরুর মুক্তির জন্য জগন্নাথকে চেপে ধরে। গরুর বিনিময়ে জগন্নাথ ২৫০ টাকা ঘুষ চান। ওই সময় পুর নিগমের মুন্সি ছিলেন জগন্নাথ। ২৫০ টাকা ঘুষ নিতে গেলে সিবিআই জগন্নাথকে হাতেনাতে ধরে ফেলে।

এই ঘটনায় ২০০২ সালে ট্ৰায়েল কোর্ট জগন্নাথকে এরআগে দোষী সাব্যস্ত করেছিল। পরে সিবিআই ঘুষের টাকা উদ্ধারও করেছিল জগন্নাথের কাছ থেকে। এই অপরাধে জগন্নাথকে তিন বছরের জন্য সাসপেন্ড করা হয়েছিল।

জগন্নাথের একটি প্ৰতিবন্ধী পুত্ৰ ও পরিবার রয়েছে। এই অভি্যোগের জন্য জগন্নাথের গোটা পরিবারকে কঠিন সময়ের মধ্য দিতে এগোতে হচ্ছে।

Related Stories

No stories found.
logo
Sentinel Assam- Bengali
bengali.sentinelassam.com