ত্ৰাণ সাহায্যে ১৯.৯৩ কোটি টাকা আগাম রিলিজ করল দিশপুর
গুয়াহাটিঃ বর্ষার মরশুম এগিয়ে আসায় এবং রাজ্য বন্যা পরিস্থিতির মোকাবিলায় দিশপুর ১৮ জন জেলাশাসক এবং ১০ জন সাব ডিভিশনাল অফিসারের (এসডিও-সিভিল)জন্য ১৯.৯৩ কোটি টাকা গ্ৰ্যাচুইটি রিলিফ ফান্ড(জিআর)আগাম রিলিজ করেছে। বাকি জেলা ও মহকুমাগুলির জন্য পর্যাপ্ত জিআর ফান্ড ইতিমধ্যেই রিলিজ করা হয়েছে। প্ৰাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্ৰস্ত লোকেদের ত্ৰাণ বাবদ জিআর ফান্ড ব্যবহার করা হয়ে থাকে।
সূত্ৰটি জানায়,বন্যা,ঝড়,বজ্ৰপাত কিংবা অন্যান্য প্ৰাকৃতিক দুর্যোগে নিহতদের পরিবারের নিকটাত্মীয়দের জন্য সরকার ৪ লক্ষ টাকা করে এককালীন সাহায্য দেওয়ার প্ৰক্ৰিয়া শুরু করেছে।
এখন পর্যন্ত সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জিআর ফান্ড থেকে এককালীন সাহায্যের অর্থ আদায় দিতে বলা হয়েছে। দিশপুর জিআর ফান্ডের ওই অর্থ সংশ্লিষ্ট জেলা ও মহকুমা শাসকদের যথাসময়ে ফিরিয়ে দেবে।
অসম রাজ্য দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের(এএসডিএমএ)ডাটা অনু্যায়ী,সারা রাজ্যে ঝড় ও বজ্ৰপাতে এপর্যন্ত ৩১ জন লোকের মৃত্যু হয়েছে। এদের মধ্যে ঝড়ে মারা গেছেন ১১ জন এবং বজ্ৰপাতে মৃত্যু হয়েছে ২০ জনের। সরকারি তথ্যে এই ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে যে ১৮টি জেলার মধ্যে সর্বোচ্চ পরিমাণ জিআর ফান্ড ৩.৫০ কোটি টাকা মাজুলির জন্য রিলিজ করা হয়েছে। এরপর মরিগাঁওয়ের জন্য ২.৬০ কোটি,লখিমপুরের জন্য ১.৭০ কোটি,ধেমাজি ও গোলাঘাট জেলার জন্য ১.৬০ কোটি টাকা করে,বিশ্বনাথ ১.৩০ কোটি,শোণিতপুর ১ কোটি,ডিব্ৰুগড় ও ডিমাহাসাও প্ৰতিটির জন্য ৫০ লক্ষ টাকা,বরপেটার জন্য ৩০ লক্ষ টাকা,হাইলাকান্দি ও কামরূপ মেট্ৰোর জন্য ২৫ লক্ষ টাকা করে,নলবাড়ি ২০ লক্ষ টাকা,কোকরাঝাড় ১৫ লক্ষ টাকা,বঙাইগাঁও ও গোয়ালপাড়া উভয় জেলার জন্য ১০ লক্ষ টাকা করে রিলিজ করা হয়েছে।
অন্যদিকে,দশটি মহকুমার মধ্যে কলিয়াবর সর্বাধিক ১ কোটি টাকা পেয়েছে। এরপর বোকাখাত ৮০ লক্ষ,জোনাই ৭০ লক্ষ,বিলাসীপাড়া ৩০ লক্ষ,ঢকুয়াখানা ২৫ লক্ষ,নাজিরা ও শদিয়া উভয়ে ১০ লক্ষ টাকা করে,উত্তর শালমারা এবং বিজনি ৫ লক্ষ টাকা করে এবং মাইবাং ৩ লক্ষ টাকা পেয়েছে।