Begin typing your search above and press return to search.

ঘোষিত বিদেশিদের মুক্তির ব্যাপারে গাইডলাইনস প্ৰস্তুত করছে দিশপুর

ঘোষিত বিদেশিদের মুক্তির ব্যাপারে গাইডলাইনস প্ৰস্তুত করছে দিশপুর

Sentinel Digital DeskBy : Sentinel Digital Desk

  |  14 May 2019 10:35 AM GMT

গুয়াহাটিঃ রাজ্যের বিভিন্ন ডিটেনশন ক্যাম্পে থাকা বিদেশি ঘোষিত সে সব বন্দি তিন বছর পূর্ণ করেছেন তাদের মুক্তি দেওয়া নিয়ে অসম সরকার কেন্দ্ৰের সঙ্গে পরামর্শ করে গাইডলাইনসের ওপর একটা বিজ্ঞপ্তি প্ৰস্তুত করবে। গত ১০ মে সুপ্ৰিমকোর্টের তরফে দেওয়া নির্দেশের ভিত্তিতেই গাইডলাইনস প্ৰস্তুত করা হবে।

ঘোষিত বিদেশিরা আইনগতভাবে বন্দিত্ব থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য কিভাবে আবেদন জানাবে এবং এর শর্তাবলি ও অন্যান্য বিষয়গুলি সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য সন্নিবিষ্ট করা হবে বিজ্ঞপ্তিতে। রাজ্য পুলিশের সীমান্ত শাখা রাজ্যের ছটি ডিটেনশন ক্যাম্পে তিন বছরের বেশি সময় কাটানো বন্দিদের প্ৰকৃত সংখ্যা জানার জন্য বর্তমানে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে। সূত্ৰটির মতে,ডিটেনশন ক্যাম্পে ১০০-র বেশি ঘোষিত বিদেশি এবং কনভিকটেড ফরেনার্স রয়েছে। ২০১৯-এর ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত ছটি ডিটেনশন ক্যাম্পে থাকা বন্দির সংখ্যা ৯৩৮ জন। এই ছটি ডিটেনশন ক্যাম্প রয়েছে গোয়ালপাড়া এবং কোকরাঝাড় জেলা কারাগারে,শিলচরের সেণ্ট্ৰাল জেল,ডিব্ৰুগড়,যোরহাট ও তেজপুরে।

এরআগে দিশপুর রাজ্যের ডিটেনশন ক্যাম্পে ৫ বছরের বেশি সময় ধরে বন্দি থাকা বিদেশিদের নির্দিষ্ট কিছু শর্তের ভিত্তিতে মুক্তি দেওয়া যেতে পারে বলে নিজেদের অবস্থান সম্পর্কে সুপ্ৰিমকোর্টে একটি হলফনামা দাখিল করেছিল। ওই সময়ে বন্দির সংখ্যা ছিল ৩৫। কিন্তু শীর্ষ আদালত রাজ্য সরকারের ওই অবস্থান মেনে নিতে অস্বীকার করে। কিন্তু গত ১০ মে কোর্ট এক নির্দেশিকায় বলেছে,অসমের ডিটেনশন ক্যাম্পে তিন বছরের বেশি সময় বন্দি থাকা লোকেদের মুক্তি দেওয়া যেতে পারে। সুপ্ৰিমকোর্টের মুখ্য বিচারপতি রঞ্জন গগৈ এবং বিচারপতি সঞ্জীব খান্নার নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ বলেছে,নিম্নলিখিত কিছু শর্তের ভিত্তিতে মুক্তি দেওয়া যেতে পারে এই সব বন্দিদের ।

এই নির্দেশ জারি করে বেঞ্চ শর্তগুলির কথাও উল্লেখ করেছে। শর্তগুলি হচ্ছে,মুক্তি পেতে হলে বন্দিদের প্ৰত্যেককে ১ লক্ষ টাকার বন্ড দিতে হবে। মুক্তির পর ঘোষিত বিদেশিরা কোথায় থাকবে তার ঠিকানা,দশ আঙুলের ছাপ,ফোটো এবং বায়োমেট্ৰিক ইত্যাদি দেওয়া চাই। ঠিকানা পাল্টালে তাও জানাতে হবে তাদের। তাছাড়া মুক্তির পর ফরেনার্স ট্ৰাইবুনালের তরফে নির্দিষ্ট করে দেওয়া থানায় প্ৰতি সপ্তাহে তাদের রিপোর্ট করতে চাই। এই শর্তসমূহ আমান্য করলে তাদের ফের আটক করে ফরেনার্স ট্ৰাইবুনালে পেশ করা হবে।

Next Story
সংবাদ শিরোনাম