গুয়াহাটিঃ অবৈধ বাংলাদেশিদের স্বভূমিতে ফেরত পাঠানো নিয়ে কেন্দ্ৰ বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে কূটনৈতিক পর্যায়ে আলোচনা চালাচ্ছে। বৃহস্পতিবার এই গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সম্পর্কে সুপ্ৰিমকোর্টকে অবগত করেছে কেন্দ্ৰীয় সরকার। অবৈধ বাংলাদেশিদের ফেরত পাঠানো নিয়ে ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে একবার চুক্তি স্বাক্ষরিত হলে দেশে বিশেষ করে অসমে চিহ্নিত অবৈধ বাংলাদেশিদের আইনগতভাবে বাংলাদেশের হাতে তুলে দেওয়ার পথ প্ৰশস্ত হবে।
অসমের বিভিন্ন ডিটেনশন কেন্দ্ৰে গত কয়েক বছর ধরে বন্দি থাকা সন্দেহভাজন বাংলাদেশিদের অবস্থা সম্পর্কে জানতে বৃহস্পতিবার সুপ্ৰিমকোর্টে একটি আবেদনের শুনানি গ্ৰহণ করা হয়। সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা বলেন,এই বিষয় নিয়ে বাংলাদেশ সরকারের উপর মহলের সঙ্গে আলোচনা চলছে। মেহতা বলেন,‘যারা নিজেদের বাংলাদেশি বলে দাবি করেছেন তাদের বহিষ্কারে কোনও সমস্যা হবে না। কিন্তু যারা নিজেদের বাংলাদেশি মানতে নারাজ তাদের নিয়েই সমস্যা দেখা দেবে’। তবে মেহতা আশা প্ৰকাশ করে বলেন,অবৈধ বাংলাদেশিদের ফেরত পাঠানোর প্ৰশ্নে খুব শিগগিরই দুদেশের মধ্যে চুক্তি স্বাক্ষরিত হবে। বৃহস্পতিবার শুনানিকালে আদালতের অ্যামিকাস ক্যুরি আইনজীবী প্ৰশান্তভূষণ দীর্ঘদিন থেকে ডিটেনশন ক্যাম্পে বন্দি থাকা ব্যক্তিদের শর্ত সাপেক্ষে মুক্তি দেওয়ার সুপারিশ করেন আদালতকে। তবে শীর্ষ আদালত ওই সুপারিশ খারিজ করে দিয়ে ভূষণকে বলেছে,সন্দেহভাজন বিদেশিদের মুক্তি দিলে যদি তারা ফেরার হয় তাহলে তার দায় কে নেবে।
সুপ্ৰিমকোর্ট এদিন অসমের ডিটেনশন ক্যাম্পে আবদ্ধ সন্দেহভাজন বাংলাদেশিদের মামলাগুলির দ্ৰুত নিষ্পত্তির জন্য অসমে বিদেশি ট্ৰাইব্যুনালের সংখ্যা বৃদ্ধির স্টেটাস এবং ‘ডি’ ভোটার সমস্যা সম্পর্কেও সরকারের কাছে জানতে চায়। সরকার অবশ্য আদালতকে জানায় যে ২০০টি ট্ৰাইব্যুনাল ইতিমধ্যেই স্থাপন করা হয়েছে এবং সেগুলিকে দ্ৰুত কর্মক্ষম করে তুলতে বিচারপতি নিয়োগের প্ৰক্ৰিয়া চলছে। শীর্ষ আদালত এব্যাপারে বিস্তারিত হলফনামা পেশ করতে সরকারকে বলেছে। এদিনের শুনানি পর্বে আসু নেতারাও উপস্থিত ছিলেন। তাঁরা বলেন,অসম থেকে অবৈধ বাংলাদেশিদের সরকারিভাবে বহিষ্কারে বাংলাদেশের সঙ্গে এক্সট্ৰাডিশন চুক্তি হওয়া একান্ত জরুরি।