গুয়াহাটিঃ ঘূর্ণি ঝড় ফেনি অসমে ততটা শক্তিশালী না হলেও ব্ৰহ্মপুত্ৰ ও তার উপনদীগুলির জলস্তর ক্ৰমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে। গত ২৪ ঘণ্টায় নদীর অববাহিকা অঞ্চল ও আপস্ট্ৰিমে ধারা বৃষ্টির জন্যই নদীর জলস্তর বৃদ্ধির কারণ বলে মনে করা হচ্ছে। এদিকে ব্ৰহ্মপুত্ৰ ও বরাকে ফেরি সেবা বন্ধ থাকার পর আজ ফের চালু হয়েছে। ঘূর্ণিঝড়ের প্ৰভাবে ডুমডুমা ও গোয়ালপাড়া জেলা বন্যায় ক্ষতিগ্ৰস্ত হয়।
অসম রাজ্য দুর্যোগ প্ৰশমন কর্তৃপক্ষের এক রিপোর্ট অনু্যায়ী,গোটা রাজ্যে প্ৰাকৃতিক বিপর্যয়ে ২১০ জন ব্যক্তি ক্ষতিগ্ৰস্ত হয়েছেন। ঝড় বৃষ্টি ও বাতাসের ঝাপটায় বেশকিছু ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্ৰস্ত হয়েছে হাইলাকান্দি জেলার লালা ও কাটলিছড়ায়। এই অঞ্চলগুলিতে বহু পাছপালা সমূলে ভেঙে পড়েছে।
গোয়ালপাড়া জেলার মাটিয়া ও রংজুলিতে বাঁধ ক্ষতিগ্ৰস্ত হওয়ায় বন্যা দেখা দেয়। দুধনৈ-পঞ্চরত্ন সংযোগী(ভায়া গোয়ালপাড়া)একটি সেতু ভেসে গেছে মাটিয়া রাজস্ব সার্কলে।
ফেনির প্ৰভাব চলাকালে গুয়াহাটির কাছে পুব মাজিরগাঁওয়ে নব কলিতা নামে এক ব্যক্তি নিখোঁজ হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। ব্যক্তিটি তাঁর চার সহযোগীকে নিয়ে জমি সংক্ৰান্ত কাজে রানি চাপরি গিয়েছিলেন। শনিবার সন্ধ্যায় ওই স্থান থেকে ফেরার সময় তাদের নৌকোটি ডুবে যায়। কলিতার সঙ্গীরা সাঁতরে পাড়ে ভিড়লেও তিনি তা করতে পারেননি। এসডিআরএফ এবং এনডিআরএফ নিখোঁজ ব্যক্তির সন্ধানে তল্লাশি অভি্যানে নেমেছে। ওদিকে গুয়াহাটির কাছে পলাশবাড়িতে কুলসী নদীর একটি সেতু ভেসে গেছে জলের ঝাঁপটায়।