গুয়াহাটিঃ বন্যায় রাজ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ১১ জন প্ৰাণ হারিয়েছেন। এই নিয়ে চলতি বন্যায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৪৮ জনে দাঁড়ালো। গত ২৪ ঘণ্টায় বরপেটায় ৩,ধুবড়িতে ৫,মরিগাঁওয়ে ৩ জনের জলে ডুবে মৃত্যু হয়েছে। ভূমিস্খলনে ইতিমধ্যেই মৃত্যু হয়েছে দুজনের। এদিকে রাজ্যপাল জগদীশ মুখি শুক্ৰবার গভর্নর হাউসে মুখ্যসচিব অলক কুমার,রাজস্ব ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগের পদস্থ কর্তাদের উপস্থিতিতে এক বৈঠক সার্বিক বন্যা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখেন। অসম দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগের এক বিবৃতিতে এখবর জানানো হয়।
কয়েকটি জেলায় বন্যার জল অনেকটা হ্ৰাস পেয়েছে যদিও রাজ্যের ২৭টি জেলার ৯২টি রাজস্ব সার্কলের ৩৭০৫টি গ্ৰামের ৪৮,৮৭,৪৪৩ লক্ষ মানুষ এখনও দুর্ভোগ ভুগছেন।
ক্ষতিগ্ৰস্ত জেলাগুলির তালিকায় রয়েছে ধেমাজি,লখিমপুর,বিশ্বনাথ,শোণিতপুর,দরং,বাকসা,বরপেটা,নলবাড়ি,চিরাং,বঙাইগাঁও,কোকরাঝাড়,ধুবড়ি,দক্ষিণ শালমারা,গোয়ালপাড়া,কামরূপ,কামরূপ(মেট্ৰো),মরিগাঁও,নগাঁও,হোজাই,কার্বি আংলং,গোলাঘাট,মাজুলি,যোরহাট,ডিব্ৰুগড়,তিনসুকিয়া,কাছাড় এবং করিমগঞ্জ।
বর্তমানে
ধেমাজি,লখিমপুর,বিশ্বনাথ,শোণিতপুর,দরং,বাকসা,নলবাড়ি,বরপেটা,চিরাং,বঙাইগাঁও,কোকরাঝাড়,ধুবড়ি,গোয়ালপাড়া,কামরূপ,মরিগাঁও,নগাঁও,কার্বি আংলং,গোলাঘাট,যোরহাট,ডিব্ৰুগড়,তিনসুকিয়া,কাছাড় এবং করিমগঞ্জ জেলার ৭৫৫টি ত্ৰাণ শিবিরে রয়েছেন ১,৪৭,৮৩৩ জন ব্যক্তি।
বর্তমানে ব্ৰহ্মপুত্ৰ যোরহাটের নিমাটিঘাট,গুয়াহাটি,(কামরূপ),গোয়ালপাড়া এবং ধুবড়িতে বিপদ সীমার ওপর দিয়ে বয়ে চলেছে। গোলাঘাটের নুমলিগড়ে ধনশিরি এখনও বিপদ সঙ্কেতের উপর দিয়ে বইছে। শোণিতপুরের এনটি রোডে জিয়া ভরলি এবং নগাঁওয়ের ধরমতুলে কপিলি বয়ে চলেছে বিপদ সীমার উপর দিয়ে। কামরূপ(মেট্ৰো)জেলার ৩৪টি গ্ৰাম এখনও বন্যার জলে তলিয়ে আছে। অসম রাজ্য দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের(এএসডিএমএ)মতে,সোনাপুর রাজস্ব চক্ৰের ১৩টি,চন্দ্ৰপুর রাজস্ব চক্ৰের ১৯ এবং দিশপুর রাজস্ব চক্ৰের দুটি গ্ৰাম এখন জলের তলায়। এই তিনটি রাজস্ব সার্কলের ক্ষতিগ্ৰস্ত মানুষের সংখ্যা ৬৬,৮৫৪ জন। আজারা রাজস্ব ক্ষতিগ্ৰস্ত হয়েছেন ৫,৬০০ জন। এই অঞ্চলগুলোতে ২৫,৩৫৫টি গবাদি পশুর ক্ষতি হয়েছে।
এদিকে গুয়াহাটি রাজস্ব বিভাগ শুক্ৰবার নুনমাটি এলাকার চুনশালিতে বন্যায় ক্ষতিগ্ৰস্ত লোকেদের মধ্যে ত্ৰাণ সাহায্য বিতরণ করে। গ্ৰামটিতে ২৫০টি পরিবার রয়েছে। গ্ৰামের ৬৩০ জন প্ৰাপ্ত বয়স্ক এবং ৩৭০টি কিশোর-কিশোরী বন্যায় ক্ষতিগ্ৰস্ত হয়েছে। দুর্গতদের মধ্যে ১০.৫২ কুইন্টেল চাল,দুই কুইন্টেল ডাল,লবণ ০.৬০ কুইন্টেল এবং ৪ হাজার লিটার পানীয় জল বিতরণ করা হয়। ওদিকে জাগিরোডে শিখ সম্প্ৰদায়ের লোকেরা বন্যা বিধ্বস্তদের মধ্যে শুক্ৰবার ত্ৰাণ সাহা্য্য বিতরণ করেছেন।
অন্যান্য খবরের জন্য পড়ুনঃ রাজ্যের বন্যা পরিস্থিতি এখনও শোচনীয়,জেলাশাসকদের ত্ৰাণ বণ্টনের নির্দেশ হিমন্তের