গোলাঘাট জেলার ১,১৯,১৭৯ লক্ষের বেশি মানুষ বন্যার ক্ষতিগ্ৰস্ত,ভাসছে গোয়ালপাড়া,শিবসাগরের বহু গ্ৰাম

গোলাঘাট জেলার ১,১৯,১৭৯ লক্ষের বেশি মানুষ বন্যার ক্ষতিগ্ৰস্ত,ভাসছে গোয়ালপাড়া,শিবসাগরের বহু গ্ৰাম

গোলাঘাটঃ গোলাঘাট জেলার অধিকাংশ গ্ৰাম এখন বন্যার জলে ভাসছে। বন্যাক্ৰান্ত মানুষ এবং গবাদি পশু পথে অথবা উঁচু জমিতে আশ্ৰয় নিয়েছেন। সরকারি রেকর্ড মতে,জেলার খুমটাই,দেরগাঁও,গোলাঘাট ও বোকাখাত রাজস্ব সার্কলের ১০৯টি গ্ৰামের ১,১৯,১৭৯ জনের বেশি মানুষ বানভাসি হয়েছেন। ব্ৰহ্মপুত্ৰ ও ধনশিরি নদীর কূল ছাপানো জলে এই গ্ৰামগুলোতে ত্ৰাসের সৃষ্টি হয়েছে। বন্যাপীড়িতদের বিভিন্ন ত্ৰাণ শিবিরে আশ্ৰয় দেওয়া হয়েছে। জেলা প্ৰশাসনই বিভিন্ন ক্যাম্প ও ত্ৰাণ শিবিরগুলো খুলেছে।

গোলাঘাট জেলায় ব্ৰহ্মপুত্ৰের জলস্তর বিপদ চিহ্নের উপর দিয়ে বয়ে চলেছে। ব্ৰহ্মপুত্ৰের জল এ জেলায় বিপদ সঙ্কেতের ১.৯৯ মিটার ওপর দিয়ে বইছে। ধনশিরিও বইছে বিপদ চিহ্নের উপর দিয়ে। খুমটাই রাজস্ব সার্কলের ২৪টি গ্ৰাম,বোকাখাতের ৬২,গোলাঘাটের ৮টি এবং দেরগাঁও রাজস্ব সার্কলের ১৯টি গ্ৰাম ভাসছে বন্যায়। জেলায় ৮,৬৩২টি গবাদি পশু ক্ষতিগ্ৰস্ত হয়েছে।

দেরগাঁও রাজস্ব সার্কলের শিরিশটোকা,নতুন চাপরি এবং লেম চাপরির পিএমজিএসওয়াই সড়ক,কালভার্টের উপর দিয়ে বন্যার জল গড়িয়ে যাচ্ছে। জেলা প্ৰশাসন ৩৮টি ত্ৰাণ সামগ্ৰী বন্টন শিবির এবং বন্যা কবলিত অঞ্চলে ৮টি চিকিৎসা শিবির স্থাপন করেছে।

অন্যদিকে ক্ষতিগ্ৰস্ত অন্যান্য জেলার সঙ্গে গোয়ালপাড়া জেলার বন্যা পরিস্থিতিও শোচনীয় আকার ধারণ করেছে। জেলা প্ৰশাসনের মতে গোয়ালপাড়া জেলার চারটি রাজস্ব সার্কল লক্ষীপুর,বালিজানা,মাটিয়া ও রংজুলির ৯৯,২৯০ জন মানুষ বন্যায় ক্ষতিগ্ৰস্ত হয়েছেন। বালিজানা সার্কলে প্ৰায় ৪৭ হাজার মানুষ করাল বন্যার কবলে। মোট ১৪৮টি গ্ৰাম জলে ভাসছে। এর মধ্যে ৫৫টি গ্ৰাম লক্ষীপুর সার্কলে এবং ৪টি বালিজানা সার্কলের অধীন।

অন্যদিকে বন্যা দুর্গতরা ১৩টি ত্ৰাণ শিবিরে আশ্ৰয় নিয়েছেন। বারোটি ত্ৰাণ শিবির খোলা হয়েছে গোয়ালপাড়া শহরে। মাটিয়া সার্কলের অধীন দুবাপাড়ায় খোলা হয়েছে একটি ত্ৰাণ শিবির। বন্যায় এই জেলায় ৩৬,৫৮১টি গবাদি পশু ক্ষতিগ্ৰস্ত হয়েছে।

এদিকে ধুবড়ির সাংসদ মৌলানা বদরুদ্দিন আজমল রবিবার ক্ষতিগ্ৰস্ত লোকেদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন। সাংবাদিকদের তিনি বলেন,‘নমামি ব্ৰহ্মপুত্ৰ-র মতো উৎসব আয়োজন যথেষ্ট নয়,বন্যা সমস্যার মোকাবিলায় বিজ্ঞানসম্মত পদ্ধতি গ্ৰহণ করাটা খুবই জরুরি’।

এদিকে ডিমৌ-এর নিতাইপুখুরি,দিহিং কলঘর,সেসামুখ,ভেকুরি চাপরি,লিয়াবিল মরিপথার এবং লচনগাঁও ইত্যাদি বন্যার জলে ভাসছে। থাওরা কেন্দ্ৰের বিধায়ক কুশল দুয়রি শুক্ৰবার শিবসাগর জেলার বন্যাক্ৰান্ত এলাকাগুলি ঘুরে দেখেন। শিবসাগরের জেলাশাসক লক্ষণন এস এবং পদস্থ আধিকারিকরাও বন্যা কবলিত এলাকায় গিয়ে পরিস্থিতি সরেজমিনে খতিয়ে দেখেন।

Related Stories

No stories found.
logo
Sentinel Assam- Bengali
bengali.sentinelassam.com