Begin typing your search above and press return to search.

খেলার মাঠ ব্যবহারে নীতি নিয়ম বেঁধে দিল গৌহাটি হাইকোর্ট

খেলার মাঠ ব্যবহারে নীতি নিয়ম বেঁধে দিল গৌহাটি হাইকোর্ট

Sentinel Digital DeskBy : Sentinel Digital Desk

  |  14 Nov 2019 8:42 AM GMT

গুয়াহাটিঃ গৌহাটি হাইকোর্ট খানাপাড়ার ভেটেরিনারি কলেজের খেলার মাঠ ব্যবহার সম্পর্কে কিছু নীতি নিয়ম বেঁধে দিয়ে একটি নির্দেশিকা জারি করেছে। এই খেলার মাঠটিতে প্ৰায়ই বিয়ে,অন্যান্য সামাজিক ও পারিবারিক অনুষ্ঠান আয়োজন করতে দেখা যায়। কোর্ট এই মাঠে এজাতীয় অনুষ্ঠান আয়োজনে প্ৰতিবন্ধকতা আরোপ করেছে। হাইকোর্টের বেঞ্চ এই মাঠে খেলাধুলার জন্য থাকা নির্দিষ্ট এলাকা বাদ দিয়ে প্ৰস্তাবিত হ্যালিপেড নির্মাণের নির্দেশ দিয়েছে। গৌহাটি হাইকোর্টের মুখ্য বিচারপতি অজয় লাম্বা এবং বিচারপতি অচিন্ত্য মল্ল বুজরবরুয়াকে নিয়ে গঠিত বেঞ্চ জনৈক অনির্বাণ রায়-এর জন স্বার্থ সম্পর্কিত(পিআইএল)একটি আবেদনের রায়ে এই নির্দেশিকাটি ইস্যু করেন।

উল্লেখ করা যেতে পারে যে,খানাপাড়ায় অসম কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে একটি বহুমুখী ক্ৰীড়াঙ্গন রয়েছে,যা ১৯৭৭ সালে ৫৪ বিঘা জমির ওপর স্থাপন করা হয়েছিল। পূর্বে অবশ্য এটি জেলের জমি ছিল। তবে রাজ্য সরকার খেলাধুলার বিকাশের স্বার্থে এই বিশাল জমিটি অসম কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়কে বরাদ্দ করে। বর্তমানে কৃষি বিদ্যালয়ের এই মাঠের মোট এলাকা হচ্ছে ৪৬.৬০ বিঘা। ক্ৰীড়া চত্বরে উন্নত মানের জোড়া ক্ৰিকেট পিচও নির্মাণ করা হয়েছে এবং ২০১১ সালের মার্চে এটি উদ্বোধন করা হয়।

আদালতের নির্দেশে আরও উল্লেখ করা হয়েছে যে ‘একমাত্ৰ রাষ্ট্ৰীয় স্বার্থ সম্পর্কিত অনুষ্ঠান এই মাঠে আয়োজন করা যাবে। তবে কখনও কখনও জনস্বার্থ জড়ি্ত কিছু অনুষ্ঠানও মাঠে হতে পারে। আদালত এব্যাপারে কিছু শর্তও বেঁধে দিয়েছে।

প্ৰথমত কোনও ব্যক্তি বা কর্তৃপক্ষ এধরনের মাঠ ব্যবহার করতে চাইলে সংশ্লিষ্টদের আবেদন দাখিল করতে হবে। ওই আবেদনে মাঠ ব্যবহারের উদ্দেশ্য সম্পর্কে তাদের পরিষ্কার করে জানানো চাই। মাঠ ব্যবহারের জন্য সিকিউরিটি দাবি করার পূর্ণ ক্ষমতা থাকবে বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিনের। সংশ্লিষ্ট খোলার জন্য মাঠের উন্নয়নে এই অর্থ ব্যয় করা যাবে। মাঠ ব্যবহারের জন্য আসা আবেদনগুলি গ্ৰহণ অথবা খারিজ করে দেওয়ার পূর্ণ স্বাধীনতা থাকবে ডিনের। দ্বিতীয়ত,নির্দেশে আরও বলা হয়েছে,মাঠ বা ক্ৰীড়াঙ্গন ব্যবহারের পর ব্যবহারকারীরা যদি মাঠটিকে পূর্বের অবস্থায় ফিরিয়ে না আনেন তাহলে ডিন সিকিউরিটির অর্থ কাজে লাগাতে পারবেন মাঠটিকে পূর্বাবস্থায় ফিরিয়ে আনতে’।

বলা হয়েছে মাঠের উদ্দেশ্য হচ্ছে খেলাধুলা চালিয়ে যাওয়া। কিন্তু আজকাল মাঠগুলো খেলাধুলার বদলে আন্যান্য কাজেই বেশি ব্যবহৃত হতে দেখা যায়। আর এধরনের কাজের জন্য মাঠগুলির প্ৰচুর ক্ষয়ক্ষতিও নজরে আসে। আদালত নির্দেশে আরও বলেছে,নির্দিষ্ট খেলার জন্য নির্দিষ্ট কিছু মাঠ রয়েছে। যেমন ক্ৰিকেট মাঠে পিচের এলাকা চিহ্নিত করে ঘেরাও করে নেওয়া চাই। যদি কোনও মাঠের ক্ষতি করা হয় তাহলে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব সেই ক্ষতি সারিয়ে মাঠটি আন্তর্জাতিক মানে ফিরিয়ে আনতে হবে। এধরনের ক্ষতি তিন মাসের মধ্যে পূরণ করতে কোর্ট নির্দেশ দিয়েছে যা ২০১৯-এর ১১ নভেম্বর থেকে কার্যকর হচ্ছে।

অন্যান্য খবরের জন্য পড়ুনঃ রাজ্যের বহু আধার এনরোলমেণ্ট কেন্দ্ৰ অকেজো অবস্থায় রয়েছে

অধিক খবরের জন্য ভিডিও দেখুন: Guwahati Mahanagari Unayan Samiti gheraoes Guwahati Jal Board Office

Next Story
সংবাদ শিরোনাম