অসম চুক্তির ৬নং দফা নিয়ে উচ্চস্তরীয় কমিটির রিপোর্ট চূড়ান্ত

অসম চুক্তির ৬নং দফা নিয়ে উচ্চস্তরীয় কমিটির রিপোর্ট চূড়ান্ত
Published on

গুয়াহাটিঃ অসম চুক্তির ৬নং দফা রূপায়ণ সংক্ৰান্ত উচ্চপর্যায়ের কমিটির রিপোর্ট সম্পূর্ণ হয়েছে এবং এই রিপোর্টে অসমিয়া কারা তার সংজ্ঞা নির্ধারণেরও চেষ্টা করা হয়েছে। অসম চুক্তির ৬নং দফা রূপায়ণ সম্পর্কে গঠিত উচ্চস্তরীয় কমিটির রিপোর্ট পেশের সম্প্ৰসারিত সময়সীমা শেষ হচ্ছে আগামি ১৫ ফেব্ৰুয়ারি। তাই কমিটি আগামি ১৫ ফেব্ৰুয়ারির মধ্যেই স্বরাষ্ট্ৰ মন্ত্ৰকের(এমএইচএ)হাতে তুলে দিতে যাচ্ছে এই রিপোর্ট। স্বরাষ্ট্ৰমন্ত্ৰক ২০১৯-এর ১৫ জুলাই ১৪ সদস্যের এই উচ্চস্তরীয় কমিটি গঠন করে দিয়েছিল অসম চুক্তির ৬নং দফা রূপায়ণ প্ৰসঙ্গে। অবসরপ্ৰাপ্ত বিচারপতি বিপ্লব কুমার শর্মাকে চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়েই গড়া হয়েছিল উচ্চস্তরীয় এই কমিটি। সোমবার অসম প্ৰশাসনিক স্টাফ কলেজে কমিটি শেষবারের মতো এক বৈঠকে মিলিত হয়।

বৈঠকে শেষে বিচারপতি শর্মা সাংবাদিকদের বলেন,‘অসম চুক্তি স্বাক্ষরের ৩৪ বছর অতিক্ৰান্ত হবার পর কেন্দ্ৰীয় সরকার এই উচ্চস্তরীয় কমিটি গঠন করে। আমরা আমাদের রিপোর্ট সম্পূর্ণ করেছি,এখন শুধু রিপোর্ট দাখিলের পালা। তাই সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হাতে এটি তুলে না দেওয়া পর্যন্ত আমরা রিপোর্টের বিষয়বস্ত অসমবাসীর সামনে খোলসা করতে পারছি না। তবে খুব শিগগিরই অসমবাসী রিপোর্টের অন্তর্নিহিত বিষয়বস্তু সম্পর্কে জানতে পারবেন’।

বিচারপতি শর্মা আরও বলেন,অসম চুক্তির ৬নং দফা অনু্যায়ী অসমিয়া মানুষের সাংবিধানিক রক্ষাকবচের ব্যবস্থা কিভাবে করা যাবে তা নিয়ে আমরা বিভিন্ন জাতীয় গোষ্ঠী,সংগঠন,দল ও ব্যক্তি বিশেষের সঙ্গে আলোচনা করেছি। অসমিয়াদের রক্ষাকবচের ব্যবস্থা করতে আমরা কিছু সুপারিশ ও পরামর্শ রেখেছি রিপোর্টে। এই রিপোর্টের ভিত্তিতেই সুপারিশ ও পরামর্শগুলি রূপায়ণ করা হবে’। বিচারপতি শর্মা আরও বলেন,রিপোর্ট প্ৰস্তুত করার সময় অসমিয়া কারা এই প্ৰশ্ন নিয়ে আমাদের কিছু ঝক্কির মধ্যেও পড়তে হয়েছে। তবে অসমিয়া কারা সে ব্যাপারেও রিপোর্টে একটা সংজ্ঞা তুলে ধরেছি আমরা।

সারা অসম ছাত্ৰ সংস্থার(আসু)উপদেষ্টা সমুজ্জ্বল কুমার ভট্টাচার্য সাংবাদিকদের বলেন,১৯৫১ থেকে ১৯৭১ সাল পর্যন্ত যেসকল হিন্দু ও মুসলিম অসমে এসে বসতি স্থাপন করেছে তাদের বোঝা আমরা ইতিমধ্যেই কাঁধে তুলে নিয়েছি। অসম চুক্তির ৬নং শর্ত অনু্যায়ী সাংবিধানিক রক্ষাকবচের বিষয়টি আমাদের প্ৰাপ্য। বিভিন্ন জাতীয় গোষ্ঠী,সংগঠন ও ব্যক্তির সঙ্গে আলোচনা করেই এই রিপোর্ট প্ৰস্তুত করা হয়েছে-বলেন তিনি। উল্লেখ্য,ভট্টাচার্য উচ্চস্তরীয় এই কমিটির একজন সদস্যও।

অধিক খবরের জন্য ভিডিও দেখুন: Swearing in ceremony of State Chief Information Commissioner

logo
Sentinel Assam- Bengali
bengali.sentinelassam.com