আগামি বছর রাজ্যে কলেজ থেকে উঠছে হায়ার সেকেন্ডারি ক্লাসঃ সিদ্ধার্থ ভট্টাচার্য

গুয়াহাটিঃ আগামি শিক্ষাবর্ষ অর্থাৎ ২০২০ সাল থেকে রাজ্যে কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে হায়ার সেকেন্ডারি ক্লাসের বিলোপ ঘটছে। রাজ্যের শিক্ষামন্ত্ৰী সিদ্ধার্থ ভট্টাচার্য বুধবার আনুষ্ঠানিকভাবে একথা ঘোষণা করেন। মন্ত্ৰী প্ৰশ্ন করেন,কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়গুলো কিভাবে হায়ার সেকেন্ডারি ক্লাসে ছাত্ৰ ভর্তি করে আসছে। কারণ হায়ার সেকেন্ডারি পরীক্ষা পরিচালনা করে থাকে অসম হায়ার সেকেন্ডারি শিক্ষা সংসদ। তিনি বলেন,আগামি শিক্ষাবর্ষ থেকে কলেজে আর পড়ানো হবে না একাদশ ও দ্বাদশ শ্ৰেণি। বুধবার অসম হায়ার সেকেন্ডারি শিক্ষা সংসদের(এএইচএসইসি)৩৫তম প্ৰতিষ্ঠা দিবসের অনুষ্ঠানে বক্তব্য পেশ করেছিলেন শিক্ষামন্ত্ৰী ভট্টাচার্য।
ভট্টাচার্য বলেন,বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বীকৃত কলেজগুলির ছাত্ৰরা পরীক্ষায় বসছে এবং মার্কশিট পাচ্ছে এএইচএসইসি-র কাছ থেকে। ‘এটা পক্ষপাতমূলক। আমি এই বিষয়টি নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের সঙ্গে আলোচনায় বসবো এবং এব্যাপারে তাঁর পরামর্শ চাইবো’। তবে বিশ্ববিদ্যালয় বা কলেজে উচ্চ মাধ্যমিকে পড়াশোনা করার এটাই শেষ বছর।
তিনি আরও বলেন,পরীক্ষা ব্যবস্থায় সংস্কার সাধনেরও সময় এসে গেচ্ছে। পরীক্ষা কেন্দ্ৰগুলিতে কোনও ছাত্ৰছাত্ৰী যাতে মোবাইল ফোন ব্যবহার করতে না পারে তার জন্য আগামি বছর থেকে সব পরীক্ষা কেন্দ্ৰে অত্যাধুনিক প্ৰযুক্তি সম্পন্ন জেমার বসানো হবে। উল্লেখ্য যে,শিক্ষা সংসদের অধ্যক্ষ ড.দয়ানন্দ বরগোঁহাইর পরিচালনায় অনুষ্ঠিত এই সভায় দুটো স্তরের শিক্ষার ধারা এবং সংস্কারের প্ৰয়োজনীয়তা সম্পর্কে বক্তব্য রাখেন দিল্লির রাষ্ট্ৰীয় শিক্ষা পরিকল্পনা ও প্ৰশাসনিক প্ৰতিষ্ঠানের অবসরপ্ৰাপ্ত অধ্যাপক ড. নীলম সুদ।
গুয়াহাটির বামুনিমৈদাম স্থিত শিক্ষা সংসদের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এই সভায় উচ্চ মাধ্যমিক চূড়ান্ত বর্ষের কলা,বিজ্ঞান ও বাণিজ্য শাখায় স্থান প্ৰাপ্ত ৬২ জন মেধাবী শিক্ষার্থীকে স্বর্ণপদক দিয়ে সম্মানিত করা হয়। অনুষ্ঠানে স্বদেশ অধ্যয়ন নামে একটি গ্ৰন্থের সঙ্গে সংসদের সচিব কমল গগৈর লেখা আহোম আমলের মঠ,মন্দির বিষয়ক একটি বই উন্মোচন করা হয় এদিন।
শিক্ষা বিভাগ চলতি বছরের সেপ্টেম্বরে নিম্ন প্ৰাথমিক ও উচ্চ প্ৰাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের জন্য টেট পরীক্ষা আয়োজন করবে। বর্তমানে নিম্ন ও উচ্চ প্ৰাথমিক বিভাগে ১৭,২৯২টি পদ খালি পড়ে আছে। এর মধ্যে ১০,১৩৭টি পদ নিম্ন প্ৰাথমিক বিভাগে ও উচ্চ প্ৰাথমিক বিভাগে ৭,১৫৫টি পদ খালি রয়েছে।
অন্যান্য খবরের জন্য পড়ুনঃ শিক্ষা বিভাগের দুর্নীতিগ্ৰস্ত আধিকারিকরা ছাড়া পাবেন নাঃ সিদ্ধার্থ