গুয়াহাটিঃ বহু কোটি টাকার জীবন বিমা কেলেংকারির তদন্তে গৌহাটি হাইকোর্ট রাজ্যের ডিজিপিকে দুসপ্তাহের মধ্যে একটি বিশেষ সেল গঠনের নির্দেশ দিয়েছে। তদন্ত পরিচালনায় এডিজিপি-র মতো একজন আধিকারিককে নিয়ে এই বিশেষ সেল গঠন করতে বলা হয়েছে।
মুখ্য বিচারপতি অজয় লাম্বা এবং বিচারপতি অচিন্ত্য মল্ল বুজরবরুয়াকে নিয়ে গঠিত একটি বেঞ্চ বলেছে,বিমা দাবির প্ৰেক্ষিতে নথিভুক্ত সমস্ত মামলা ও রাজ্যের সামগ্ৰিক চিত্ৰ বিবেচনায় নিয়ে এডিজিবিকে রিপোর্ট করতেও বলা হয়েছে নির্দেশে। এব্যাপারে ফৌজদারি কার্যবিধি সম্পন্ন করা হয়েছে।
গত বছর বরপেটা জেলায় বিমা কেলেংকারির ঘটনা প্ৰথম প্ৰকাশ্যে আসে। অসমিয়া যুব মঞ্চ(এওয়াইএম)জনস্বার্থ সম্পর্কিত একটি মামলা(পিআইএল)হাইকোর্টে দাখিল করেছিল। এরপরই হাইকোর্ট ঘটনা সংক্ৰান্তে দ্ৰুত তদন্ত করতে পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছিল। কিন্তু হঠাৎই তদন্তের কাজে মন্থরতা দেখা দেয়। হাইকোর্ট বুধবার এব্যাপারে নতুন করে নির্দেশিকা জারি করে পুলিশকে সেল গঠন করতে বলে।
পিআইএল-এর মতে,এটি প্ৰকাশিত হয়েছে যে একটি সংগঠিত নেটওয়র্ক নিয়ে রাজ্যে সক্ৰিয় কয়েকটি গ্যাং সম্ভবত ঘটনার এক বা দুমাস আগে যারা মারা গিয়েছিল এমন ব্যক্তিদের সম্পর্কে তথ্য সংগ্ৰহ করে। তারা নিহত ব্যক্তিদের পরিবারকে এটা বোঝায় যে সরকারের প্ৰণীত কিছু প্ৰকল্প সম্পর্কে তারা জ্ঞাত,যার অধীনে নিহতদের পরিবার আর্থিক সহায়তা পেতে পারে।
এধরনের লোভনীয় কৌশনের মাধ্যমে জালিয়াতরা মৃত ব্যক্তিদের প্যান কার্ড,ভোটার আইডি ইত্যাদি হাতিয়ে নিয়ে ব্যাংক কর্মকর্তাদের যোগসাজশে মৃত ব্যক্তিদের নামে ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খোলে।
এধরনের গ্যাংগুলি পরে বিভিন্ন বিমা কোম্পানিতে মৃত ব্যক্তির নামে ইন্সুরেন্স পলিসি খোলে। এমনটাও দেখা গিয়েছে যে,পোস্ট মাস্টাররাও বিমা পলিসি এবং চেকগুলি সহজে সংগ্ৰহের জন্য ওই নেটওয়র্কে জড়িত ছিলেন।
ফৌজদারি অভিপ্ৰায় অনুসারে,এই চক্ৰগুলি ডাক্তারদের যোগসাজশে প্ৰাপ্ত নথিপত্ৰের ভিত্তিতে দুই বা তিন মাস পরে বিমা দাবি করে। এই কেলেংকারির অভিযোগে বরপেটা জেলায় বেশকিছু বিমা এজেণ্ট,হাসপাতালের স্টাফ ও পুলিশ কর্মীকে গ্ৰেপ্তার করা হয়েছিল। এই চক্ৰটি বরপেটা ছাড়াও নগাঁও,গোয়ালপাড়া,বঙাইগাঁও,নলবাড়ি ও কামরূপে তাদের নেটওয়র্ক বিছিয়েছে বলে জানা গেছে।
বেঞ্চ আরও নির্দেশ দিয়েছে যে সংশ্লিষ্ট জেলার পুলিশ সুপারদের সাত দিনের মধ্যে তদন্ত সুনিশ্চিত করতে হবে যদি আবেদনকারী বা অন্য কোনও ব্যক্তি তাদের নজরে কার্যকর ব্যবস্থা গ্ৰহণযোগ্য প্ৰমাণ বা উপকরণ ইত্যাদি নিয়ে আসেন এবং দ্বিতীয়ত,শনাক্ত যোগ্য অপরাধ যদি নিশ্চিত হয় তবে পুলিশ সুপারদের(এসপি)এফআইআর নিশ্চিত করতে হবে ফৌজদারি কার্যবিধির কোড ১৫৪ ধারার অধীনে নিবন্ধিত এবং তদন্তকৃত কোডের দ্বাদশ অধ্যায়ের তদন্ত অনু্যায়ী।
অন্যান্য খবরের জন্য পড়ুনঃ সরকারি কার্যালয়ে মাতৃভাষার ব্যবহারে গুরুত্ব উপরাষ্ট্ৰপতির
অধিক খবরের জন্য ভিডিও দেখুন: Dilapidated Road Conditions under Borsola Constituency in Sonitpur