রাজ্যে জাপানি এনকেফেলাইটিসে মৃত্যু বেড়ে ৩৩,সরকারকে দুষলো আসু

রাজ্যে জাপানি এনকেফেলাইটিসে মৃত্যু বেড়ে ৩৩,সরকারকে দুষলো আসু

গুয়াহাটিঃ মশক বাহিত রোগ বিশেষ করে জাপানি এনকেফেলাইটিস গোটা রাজ্যে রীতিমতো হুমকির সৃষ্টি করেছে। মারণ রোগ জাপানি এনকেফেলাইটিস ইতিমধ্যেই ৩৩ জনের জীবন কেড়ে নিয়েছে। পরীক্ষা করে দেখা গেছে আরও ১২২ জন এই রোগে আক্ৰান্ত হয়েছেন। পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে একটি কেন্দ্ৰীয় প্ৰতিনিধি দল সোমবার এখানে এসেছে। রাজ্যে জাপানি এনকেফেলাইটিসের প্ৰাদুর্ভাবে সারা অসম ছাত্ৰ সংস্থা(আসু)গভীর উদ্বেগ প্ৰকাশ করেছে। এই রোগ ছড়িয়ে পড়ায় আসু রাজ্য সরকারকে দোষারোপ করে বলেছে,সংশ্লিষ্ট বিভাগ আগাম প্ৰতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্ৰহণে ব্যর্থ হওয়ার জন্যই রাজ্যে এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।

ছাত্ৰ সংগঠনটি চায়,সরকার যুদ্ধকালীন তৎপরতার সঙ্গে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার ব্যবস্থা করুক। সেইসঙ্গে ক্ষতিগ্ৰস্ত লোকেদের ক্ষতিপূরণ দেবারও দাবি জানিয়েছে আসু।

এদিকে সারা গুয়াহাটি ছাত্ৰ সংস্থার(আগসু)প্ৰতিনিধিরা জাপানি এনকেফেলাইটিস প্ৰতিরোধে সরকারের ব্যর্থতার প্ৰতিবাদে মঙ্গলবার মহানগরীর হেঙেরাবাড়িতে থাকা স্বাস্থ্য সেবা সঞ্চালকের কার্যালয় চত্বরে বিক্ষোভ প্ৰদর্শন করে। জাপানি এনকেফেলাইটিস রাজ্য থেকে নির্মূল করতে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় প্ৰতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্ৰহণের জন্য সরকারের কাছে দাবি জানিয়েছে আগসু।

মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে আগসুর সভাপতি রোজমিল আলি এবং সাধারণ সম্পাদক রাইফুদ্দিন আহমেদ বলেন,ফি বছরই এই মারণ রোগের প্ৰাদুর্ভাব দেখা যায় রাজ্যে। কিন্তু সরকার এই রোগ ঠেকাতে আগাম কোনও প্ৰতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্ৰহণ করেনি। যার দরুন পরিস্থিতি আজ জটিল রূপ নিতে চলেছে। উভয় আগসু নেতা বলেন,মশক বাহিত এই রোগ প্ৰতিরোধে সরকারকে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় ব্যবস্থা গ্ৰহণ করা উচিত।

সম্প্ৰতি বিহারের মুজফফরপুরে অ্যাকিউট এনকেফেলাইটিস সিন্ড্ৰোমে দেড়শোর বেশি শিশুর মৃত্যু হয়। এই সব শিশুদের অধিকাংশই ছিল দেড় থেকে ১২ বছর বয়সী। বিহারের এই ঘটনার জন্য প্ৰশাসনিক ব্যর্থতা ও সরকারি উদাসীনতাকেই দায়ী করা হয়েছে।

জাপানি এনকেফেলাইটিস সাধারণত মশার দ্বারাই সংক্ৰামিত হয়। এই রোগের লক্ষণগুলো হলো,শরীরে জ্বর খুব বেশি হবে। এর পাশাপাশি মাথা ব্যথা,মানসিক অস্থিরতা,ভ্ৰম এবং জ্ঞান হারিয়ে ফেলা,বমির ভাব,হঠাৎ করে শরীর কেঁপে উঠতে পারে। কোনও রোগীর শরীরে এ জাতীয় লক্ষণ দেখা গেলে সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া অত্যন্ত আবশ্যক। সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্ৰহণ করলে এই রোগ থেকে পরিত্ৰাণ পাওয়া অসম্ভব কিছু নয়।

সরকারের তরফ থেকে প্ৰকাশিত বিজ্ঞাপনে বলা হয়েছে,যেকোনও ধরনের জ্বর জাপানি এনকেফেলাইটিস বা এজাতীয় রোগ হতে পারে। আর এরজন্য চিকিৎসকের দ্বারস্থ হয়ে চিকিৎসা করানো অত্যন্ত জরুরি।

Related Stories

No stories found.
logo
Sentinel Assam- Bengali
bengali.sentinelassam.com