লখিমপুরের কাকই সংরক্ষিত বনাঞ্চলে বেদখলকারীদের বিরুদ্ধে উচ্ছেদ অভিযান বন বিভাগের

লখিমপুরের কাকই সংরক্ষিত বনাঞ্চলে বেদখলকারীদের বিরুদ্ধে উচ্ছেদ অভিযান বন বিভাগের
Published on

লখিমপুরঃ লখিমপুর বনবিভাগ মঙ্গলবার কাকই-রাজগড় সংরক্ষিত বনাঞ্চল এলাকায় বেদখলকারীদের বিরুদ্ধে উচ্ছেদ অভি্যান চালায়। সীমান্তের ওপার থেকে আসা লোকেরা অবৈধভাবে ওই এলাকার জমি দখল করে বসতি গড়ে তুলেছে। এরই বিরুদ্ধে এই উচ্ছেদ অভিযানে নামে বন বিভাগ। লখিমপুরের ফরেস্ট রেঞ্জার বব কৃষ্টি কুটুম উচ্ছেদ অভিযানে বন কর্মীদের নেতৃত্ব দেন। এলাকায় অবৈধভাবে গড়ে তোলা কিছু প্ৰতিষ্ঠানও গুড়িয়ে দেওয়া হয়। রাজ্যের কাকই সংরক্ষিত বনাঞ্চলের ওই এলাকায় এধরনের অবৈধভাবে গড়ে তোলা আরও অনেকগুলি প্ৰতিষ্ঠান রয়েছে।

লখিমপুর জেলার কাকই,দুলুং এবং রঙ্গা সংরক্ষিত বনাঞ্চল এলাকায় অরুণাচলীরা ঘাঁটি গেড়ে বসার রিপোর্ট রয়েছে। জটিল সীমানা ইস্যু নিয়ে সুপ্ৰিম কোর্ট স্থিতাবস্থা বজায় রাখতে অসম ও অরুণাচলকে নির্দেশ দেওয়া সত্ত্বেও অসমের জমিতে অরুণাচলীদের এধরনের আগ্ৰাসন চলছে। এধরনের আগ্ৰাসনের মাধ্যমে অরুণাচলের একাংশ লোক সুপ্ৰিম কোর্টের নির্দেশ লঙ্ঘন করে চলেছেন। সীমান্তের ওপার থেকে অপ্ৰতিরোধ্য গতিতে এভাবে যদি বেদখল চলতে থাকে তাহলে সেটা অসমের ক্ষেত্ৰে বাস্তবিকই গভীর উৎকণ্ঠার বিষয়। লখিমপুর জেলা প্ৰশাসন এবং রাজ্য সরকার এধরনের আগ্ৰাসন বন্ধে এখনও পর্যন্ত কোনও পদক্ষেপই নেয়নি।

কাকই সংরক্ষিত বনাঞ্চল এলাকায় আবাসগৃহ নির্মাণ করা ছাড়াও একটি স্কুল বাড়িও নির্মাণ করেছে অরুণাচলীরা। তাছাড়া আন্তঃরাজ্য সীমান্ত এলাকায় কয়েকটি পুকুর তৈরি করে মৎস্য চাষেরও ব্যবস্থা করেছে তারা। এখন কাকই সংরক্ষিত বন এলাকায় ব্যাপক হারে বন ধ্বংসযজ্ঞ চালাচ্ছে বেদখলকারীরা। সম্প্ৰতি,অরুণাচলী দখলদাররা কাকই সংরক্ষিত বনাঞ্চলের অধীন কাকই রাজগড় বেঙ্গলি এলাকায় নিয়োকুম নামলো নামে একটি ওয়ারশিপ হাউস নির্মাণ করেছে। এই স্পর্শকাতর ইস্যুটির বিস্তারিত খবর গত ১২ মার্চ দ্য সেন্টিনেলে প্ৰকাশিত হয়েছিল। আসুর লখিমপুর শাখা দখলদারদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্ৰহণের দাবিতে বিক্ষোভও প্ৰদর্শন করেছিল।

অধিক খবরের জন্য ভিডিও দেখুন: Author Dr. Paramanada Majumdar honoured with Maghai Oja Award

logo
Sentinel Assam- Bengali
bengali.sentinelassam.com