গুয়াহাটিঃ ব্ৰহ্মপুত্ৰের ভাঙন থেকে নদীদ্বীপ মাজুলিকে বাঁচাতে ভারত সরকারের তরফে চালানো ১৯৪ কোটি টাকার উচ্চাশামূলক প্ৰকল্পটির কাজকর্মের মান নিয়ে প্ৰশ্ন উঠেছে। এই স্কিমটির রূপায়ণকারী সংস্থা হচ্ছে ব্ৰহ্মপুত্ৰ বোর্ড।
কেন্দ্ৰীয় মন্ত্ৰী নীতিন গাড়করি ২০১৭ সালের ডিসেম্বরে প্ৰকল্পটির কাজ উদ্বোধন করেছিলেন মুখ্যমন্ত্ৰী সর্বানন্দ সোনোয়ালের উপস্থিতিতে। প্ৰকল্পটির বিষয়ে মুখ্যমন্ত্ৰী স্বয়ং যোগা্যোগ রাখছেন। অরুণাচল ভিত্তিক নির্মাণ কোম্পানি টি কে ইঞ্জিনিয়ারিং প্ৰকল্পটির কাজ করছে।
তবে প্ৰকল্পটির কাজকর্ম নিয়ে স্থানীয় মানুষ সন্তুষ্ট নন। কাজের গুণগত মানের ক্ষেত্ৰে আপস করার অভি্যোগ উঠেছে। স্থানীয় মানুষ অভি্যোগ করেছেন যে,প্ৰকল্পে ব্যবহৃত বড় আকারের(বালি বোঝাই ব্যাগ)তারা নদীতে ভাসতে দেখেছেন। তাঁদের আরও অভি্যোগ,প্ৰকল্পে বেশকিছু খালি জিও ব্যাগ ব্যবহার করা হয়েছে। তাছাড়া প্ৰকল্পের কাজও অত্যন্ত মন্থর গতিতে চলার অভিযোগ করেছেন স্থানীয় লোকেরা।
কাজের মান যথার্থ না হওয়ার অভি্যোগের প্ৰেক্ষিতে গত সো্মবার ভকত চাপরিতে ব্ৰহ্মপুত্ৰ বোর্ডের একজন কর্মকর্তাকে স্থানীয় মানুষের রোষের মুখে পড়তে হয়।
এদিকে মাজুলির জেলাশাসক দেবপ্ৰসাদ মিশ্ৰ-র এক নির্দেশের পরিপ্ৰেক্ষিতে এডিসি নরেন দাস মঙ্গলবার প্ৰকল্পস্থল পরিদর্শন করেন। কাজের মান নিয়ে এডিসিও সন্দেহ প্ৰকাশ করেছেন।
এব্যাপারে মঙ্গলবার সেন্টিনেলের তরফ থেকে যোগাযোগ করা হলে এডিসি নরেন দাস বলেন,‘কাজের মান নিয়ে আমাদেরও সন্দেহ রয়েছে। ব্ৰহ্মপুত্ৰ বোর্ডের এগজিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ারকে সরেজমিনে প্ৰকল্প স্থল পরিদর্শন করে আমাদের কাছে রিপোর্ট দাখিল করতে বলা হয়েছে।
এদিকে এগজিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার ভাস্কর চৌধুরী প্ৰকল্প সম্পর্কে একটি প্ৰাথমিক রিপোর্ট মঙ্গলবার বিকেলে জেলাশাসকের কাছে পাঠিয়েছেন। ওই রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে,সেণ্ট্ৰাল স্টোর থেকে জিও ব্যাগগুলি ইস্যু করা হচ্ছে। প্ৰকল্প স্থলে বিছানোর আগে সেগুলি রাখা হচ্ছে ঠিকাদারের হেফাজতে। সেণ্ট্ৰাল স্টোরই জিও ব্যাগ সরবরাহের রেকর্ড রাখছে এবং সেগুলি সেলাই করে প্ৰকল্পস্থলে বসানো হচ্ছে। সিসিটিভি সার্ভেইল্যান্সের অধীনে কাজ চলছে- প্ৰাথ মিক রিপোর্টে উল্লেখ করেছেন তিনি। ।