গুয়াহাটিঃ ইউক্ৰেনে চিকিৎসা বিজ্ঞানে অধ্যয়ন রত অসমের একটি ছাত্ৰ আজ জলে ডুবে মৃত্যু হওয়ার রিপোর্ট পাওয়া গেছে। গুয়াহাটিতে জন্ম নেওয়া এই এমবিবিএস-এর ছাত্ৰটিকে নিকুমণি কাকতি নামে শনাক্ত করা হয়েছে।
গুয়াহাটির গণেশগুড়ি অঞ্চলের বাসিন্দা বীরেন কাকতি এবং দীপাঞ্জলি কাকতির একমাত্ৰ পুত্ৰ নিকুমণি। তাঁর এই অকাল মৃত্যু অভিভাবকদের কাছে অপূরণীয় ক্ষতি। আচমকা এই হৃদয় বিদারক খবরে ভেঙে পড়েছেন নিকুমণির অভিভাবকরা। আগামি ১২ জুন নিকুমণি বাড়িতে আসার কথা ছিল। নিকুমণির নিজের গৃহ শহরে আসার বদলে দুর্ভাগ্যজনকভাবে এলো তাঁর মৃত্যুর খবর।
তাঁর ডুবে যাওয়ার কারণ এখনও জানা যায়নি। তবে তদন্ত চলছে।
নিকুমণির ডুবে যাওয়া দুর্ঘটনা না এর পিছনে অন্য কোনও রহস্য রয়েছে তদন্তে তা জানা যাবে। নিজের শহরে পাড়ি দেওয়ার দুদিন আগে নিকুমণির অকস্মাৎ ডুবে যাওয়ার এই ঘটনা সন্দেহের সৃষ্টি করেছে।
তবে ঘটনাটির অনুপুঙ্খ তদন্তের দাবি জানানো হয়েছে। প্ৰতিশ্ৰুতিবান ছাত্ৰটির এই মৃত্যুতে পরিবারের যে ক্ষতি হলো তা ভাষায় বর্ণনা করা যাবে না। বাইরে পড়তে গিয়ে অসমের ছাত্ৰের মৃত্যুর ঘটনা এটাই প্ৰথম নয়। চলতি বছরের এপ্ৰিলে রাহুল বেজবরুয়া নামে গুয়াহাটির একটি ছাত্ৰের পুকুরে ডুবে মৃত্যু হয়েছিল। চিতোরগড়ে মেওয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ে উচ্চ শিক্ষা গ্ৰহণ করতে গিয়েছিল সে। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরের কাছে একটি পুকুরে ডুবে রাহুলের মৃত্যু হয়েছিল।