Begin typing your search above and press return to search.

১১ দিন ডিটেনশন ক্যাম্পে জীবন কাটিয়ে অবশেষে খোলা আকাশের নিচে সানাউল্লাহ

১১ দিন ডিটেনশন ক্যাম্পে জীবন কাটিয়ে অবশেষে খোলা আকাশের নিচে সানাউল্লাহ

Sentinel Digital DeskBy : Sentinel Digital Desk

  |  8 Jun 2019 1:13 PM GMT

গুয়াহাটিঃ প্ৰাক্তন সেনা আধিকারিক মহম্মদ সানাউল্লাহ এখন মুক্ত আকাশের নিচে। বিদেশি ট্ৰাইবুনাল কর্তৃত্ব বিদেশি ঘোষিত প্ৰাক্তন ভারতীয় সেনা অফিসার সানাউল্লাহর আবেদনটি গৌহাটি হাইকোর্ট শুক্ৰবার শুনানির জন্য গ্ৰহণ করে। শুনানি শেষে গৌহাটি হাইকোর্ট ২০ হাজার টাকা বন্ডের বিনিময়ে জামিন মঞ্জুর করে সানাউল্লাহর।

জামিন পাওয়ার পর সানাউল্লাহকে আজ ডিটেনশন ক্যাম্প থেকে সরাসরি আমিনগাঁওয়ে নিয়ে আসা হয়। টানা ১১ দিনের বন্দি জীবন কাটিয়ে সানাউল্লাহ আজ মুক্ত আকাশের নিচে শ্বাস ফেলছেন। আমিনগাঁও থানায় পুলিশ সানাউল্লাহকে পরিবারের হাতে তুলে দেবে।

সানাউল্লাহর মুক্তিতে পরিবারের পাশাপাশি তাঁর গ্ৰামের লোকজনও যথেষ্ট উৎফুল্লিত। যাবতীয় লৌকিকতা সম্পন্ন হওয়ার পর আমিনগাঁও থানা কারগিল যুদ্ধের সেনানী সানাউল্লাহকে মুক্ত করে দেবে।

গৌহাটি হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ অসম সরকারের সঙ্গে কেন্দ্ৰীয় সরকার,নির্বাচন কমিশন,রাষ্ট্ৰীয় নাগরিক পঞ্জির(এনআরসি)কার্যালয় এবং এই বিষয়টির তদন্তে জড়িত চন্দ্ৰমল দাসকে কারণ দর্শানোর নোটিশ জারি করেছে।

ফরেনার্স ট্ৰাইবুনাল সানাউল্লাহকে বিদেশি ঘোষণা করে গত ২৯ মে ডিটেনশন ক্যাম্পে পাঠিয়ে দিয়েছিল।

কামরূপ জেলার বকোর বিদেশি ট্ৰাইবুনাল ২০১৮ সালের ৪ সেপ্টেম্বর মহম্মদ সানাউল্লাহর বিরুদ্ধে নোটিশ জারি করে তাঁকে বিদেশি ঘোষণা করেছিল।

কামরূপ জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সঞ্জীব শইকিয়ার মতে ২০০৮ সালে কামরূপের বিদেশি ট্ৰাইবুনালে একটি মামলা রুজু করা হয়েছিল। ট্ৰাইবুনালের রায়ের পরই প্ৰাক্তন সেনা আধিকারিককে গোয়ালপাড়ার ডিটেনশন ক্যাম্পে রাখা হয়েছিল।

সানাউল্লাহর জন্ম হয়েছিল কামরূপ জেলার ছয়গাঁওয়ের কলহীকাষ গ্ৰামে ১৯৬৭ সালের ৩০ জুলাই। ১৯৮৫ সালের বকোর চাম্পুপাড়া সরকারি হাইস্কুল থেকে ম্যাট্ৰিক পাস করেছিলেন সানাউল্লাহ। এরপর বরপেটা জেলার চেঙা কলেজে পড়াশোনা করেন। ২০১৭ সালের ৩১ মে ভারতীয় সেনাবাহিনী থেকে অবসর নেন। ২০১৮ তে অসম পুলিশের সীমান্ত শাখায় সাব-ইন্সপেক্টর হিসেবে যোগদান করেন। কামরূপ জেলার বাইহাটা চারালি থানায়ও কাজ করেছেন। ২০১৩ সালের ২ সেপ্টেম্বর রাষ্ট্ৰপতির কাছ থেকে শংসাপত্ৰও পেয়েছিলেন। উল্লেখ্য,সানাউল্লাহর পত্নী সদবানু বিবি,কন্যা শেহনাজ আখতার,হেলমিনা আখতার এবং পুত্ৰ সাহিত আলির নাম এনআরসি-র তালিকায় ওঠেনি। তবে তাঁর পরিবারের দুজন সদস্য বড় ভাই প্ৰয়াত হানিফ আলি ও বারেক আলির নাম এনআরসি তালিকায় রয়েছে ।

Next Story
সংবাদ শিরোনাম