ঐতিহাসিক স্থানে জবরদখলে উদ্বেগ মন্ত্ৰী কেশব মহন্তের

ঐতিহাসিক স্থানে জবরদখলে উদ্বেগ মন্ত্ৰী কেশব মহন্তের

গুয়াহাটিঃ অসমের ঐতিহাসিক সৌধ থাকা ও প্ৰত্নতত্ত্ব সমৃদ্ধ বেশকিছু স্থান বর্তমানে দখলদারদের কবলে রয়েছে। রাজ্যে ঐতিহাসিক সৌধ থাকা এধরনের অধিকাংশ স্থানের ওপর রাজ্য প্ৰত্বতাত্ত্বিক বিভাগের কোনও কর্তৃত্ব নেই। তাছাড়া প্ৰত্নতত্ত্ব বিভাগটি বর্তমানে চরম আর্থিক সংকটেও ধুঁকছে। বর্তমানে এই খাতে বাজেট বরাদ্দ ধার্য হয়েছে ২.৭৪ কোটি টাকা। রাজ্যের ঐতিহাসিক সৌধ ও প্ৰত্বতাত্ত্বিক স্থানসমূহ সংরক্ষণ এবং ‘হ্যারিটেজ সিটি’ প্ৰকল্প গ্ৰহণের বিষয়টি সুনিশ্চিত করার জন্য অগপ বিধায়ক বৃন্দাবন গোস্বামী সরকারের হস্তক্ষেপ চেয়ে প্ৰস্তাব রাখলে প্ৰত্নতত্ত্ব বিভাগের মন্ত্ৰী কেশব মহন্ত জবাবে উল্লিখিত কথাগুলি বলেন। ঐতিহাসিক স্থান দখলের ঘটনায় উদ্বেগও প্ৰকাশ করেছেন মন্ত্ৰী। মন্ত্ৰী মহন্ত সভায় জানান,উজান অসমে আহোম যুগে স্থাপিত চরাইদেউ মইদামকে ‘বিশ্ব ঐতিহ্য ক্ষেত্ৰে’র মর্যাদা দেওয়ার জন্য রাজ্য সরকার যে অনুরোধ জানিয়েছিল সে ব্যাপারে কেন্দ্ৰীয় সরকারের একটি প্ৰতিনিধি দল স্থানটি পরিদর্শন করে এ বিষয়ে বিচার বিবেচনা করবে। রাজ্য সরকার চরাইদেউ মইদাম সংরক্ষণে ২৫ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে-উল্লেখ করেন মহন্ত।

তিনি আরও বলেন,বর্তমান সরকার ইতিমধ্যেই মটক ও মরান কীর্তিচিহ্ন ও সৌধগুলি চিহ্নিত করেছে। জালুকবাড়ির ‘মোমাই কটা গড়’-এর প্ৰসঙ্গে মন্ত্ৰী মহন্ত বলেন,প্ৰত্নতত্ত্ব বিভাগ ওই স্থানটি তাদের হস্তান্তর করার জন্য জেলা প্ৰশাসনকে বলেছে যদিও তবে জেলা প্ৰশাসন এখনও তা করে উঠতে পারেনি।

মন্ত্ৰী আরও বলেন,শিবসাগরের নপুখুরি এলাকাটি দখলমুক্ত করা সত্ত্বেও ওই স্থানটির একটা বৃহৎ অংশ পুনরায় জবর দখলের মুখে পড়েছে এলাকাটিতে কোনও সীমানা প্ৰাচীর না থাকায়।

রাজ্যে ঐতিহাসিক দিক থেকে গুরুত্বপূর্ণ আনুমানিক ৪০০টি ঐতিহাসিক সৌধ ও প্ৰত্নতাত্ত্বিক দিক থেকে সমৃদ্ধ স্থান রয়েছে। প্ৰত্নতত্ত্ব বিভাগ মাত্ৰ ১৩০টি স্থানের দেখাশোনা করছে। অন্যদিকে,ভারত সরকারের অধীন আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়া(এএসআই)সারা রাজ্যে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা আরও ৫৫টি এজাতীয় স্থানের রক্ষণাবেক্ষক ও পুনরুজ্জীবিত করার দায়িত্বে রয়েছে।

অন্যান্য খবরের জন্য পড়ুনঃ বরাকের বন্যা দেখলেন মন্ত্ৰী কেশব মহন্ত

Related Stories

No stories found.
logo
Sentinel Assam- Bengali
bengali.sentinelassam.com