Begin typing your search above and press return to search.

৩০ মে শপথ,মোদির নতুন মন্ত্ৰিসভার সম্যক আভাস

৩০ মে শপথ,মোদির নতুন মন্ত্ৰিসভার সম্যক আভাস

Sentinel Digital DeskBy : Sentinel Digital Desk

  |  28 May 2019 8:12 AM GMT

গুয়াহাটিঃ প্ৰধানমন্ত্ৰী পদে নির্বাচিত নরেন্দ্ৰ মোদি এবং তাঁর মন্ত্ৰিসভা আগামি ৩০ মে শপথ নিচ্ছেন। ২০১৪ সালের তুলনায় এবারের শপথ গ্ৰহণ অনুষ্ঠান চিত্তাকর্ষক হবে বলে আঁচ করা হচ্ছে। বিজেপি দলের মধ্যে এমনও জল্পনা চলছে যে প্ৰধানমন্ত্ৰীর নতুন ভারত গড়ার স্বপ্ন বাস্তবায়িত করতে এবার মন্ত্ৰিসভায় কিছু নতুন মুখ ঠাঁই পেতে পারেন।

প্ৰধানমন্ত্ৰী নির্বাচিত মোদি প্ৰতিশ্ৰুতি দিয়েছেন যে আঞ্চলিক ভারসাম্যহীনতা ঘোচাতে প্ৰতিকারমূলক ব্যবস্থা গ্ৰহণ করা হবে। এই দিকটি বিবেচনা করলে নতুন কেন্দ্ৰীয় মন্ত্ৰিসভায় সারা দেশের সব অংশ বিশেষ করে নববিজিত পূর্ব ও উত্তর পূর্বের প্ৰতিনিধিকে মন্ত্ৰিসভায় দেখা যেতে পারে।

এবার লোকসভার নির্বাচনে ব্যাপক গরিষ্ঠতা নিয়ে মোদি ফের ক্ষমতায় এসেছেন। তাই মোদির শপথ গ্ৰহণ অনুষ্ঠানে তাবড় তাবড় বিশ্ব নেতারা উপস্থিত থাকবেন বলে আশা করা হচ্ছে। তবে শপথ গ্ৰহণ অনুষ্ঠানে সম্ভাব্য অতিথিদের তালিকা সম্পর্কে সরকার এখনো পর্যন্ত মুখ খোলেনি।

নতুন সরকারে কারা কারা ঠাঁই পাচ্ছেন সে ব্যাপারেও সরকারিভাবে টু শব্দটিও করা হয়নি। তবে দলীয় নেতাদের অনেকেই এই মত ব্যক্ত করেছেন যে পূর্বতন মন্ত্ৰিসভায় থাকা মূল ব্যক্তিত্বরা মন্ত্ৰিসভায় পুনর্বহাল হচ্ছেন। পূর্বতন মন্ত্ৰিসভার অর্থমন্ত্ৰী অরুণ জেটলি স্বাস্থ্যজনিত কারণে মন্ত্ৰিসভায় অন্তর্ভুক্ত নাও হতে পারেন। তবে জেটলির ঘনিষ্ঠ মহলের মতে,চিকিৎসার পর জেটলি এখন অনেকটাই ভাল।

এদিকে সোশ্যাল মিডিয়ায় নাগরিকদের মধ্যে এমনও জল্পনা চলছে যে ক্ৰিকেটার থেকে রাজনীতিতে আসা গৌতম গম্ভীর কেন্দ্ৰীয় মন্ত্ৰিসভায় পরবর্তী ক্ৰীড়ামন্ত্ৰীর দায়িত্ব পেতে পারেন।

‘আমরা মন্ত্ৰিসভায় অনেক নতুন মুখ আশা করছি’-বলেছে বিজেপি সূত্ৰটি। এমন রিপোর্ট রয়েছে যে,সম্প্ৰতি বিদায়ী মন্ত্ৰীদের সঙ্গে এক বৈঠকে প্ৰধানমন্ত্ৰী নির্বাচিত মোদি আগের মন্ত্ৰিসভায় ভাল কাজ করা সত্ত্বেও নতুন চ্যালঞ্জের মোকাবিলায় মন্ত্ৰিসভায় বড় ধরনের পরিবর্তন করতে পারেন।

মন্ত্ৰিসভায় নতুন মুখকে ঠাঁই দেওয়া সম্পর্কে মোদি সভায় বক্তব্য রাখার সময় সব প্ৰবীণ মন্ত্ৰীরাই উপস্থিত ছিলেন। ‘এর অর্থ হচ্ছে সিনিয়র মন্ত্ৰীরাও এবার বাদ পড়তে পারেন। প্ৰত্যেককেই এটা মনে রাখতে হবে যে প্ৰবীণরা কেউ বাদ পড়লে তাদের পক্ষে প্ৰতিবাদ জানানো কঠিন হয়ে দাঁড়াবে’-দল সেটাই বিশ্বাস করে।

জোট মন্ত্ৰিসভায় জেডিইউ নীতিশ কুমারকে অন্তর্ভুক্ত করার সম্ভাবনা রয়েছে। এআইএডিএমকে,একজনকে ক্যাবিনেটের দায়িত্ব সহ জেডিইউর দুজন সদস্য মন্ত্ৰিসভায় ঠাঁই পেতে পেরেন-উল্লেখ করেছে সূত্ৰটি।

মন্ত্ৰিসভায় যে সব নতুনরা ঠাঁই পেতে পারেন তাদের সম্ভাব্য তালিকা নিচে উল্লেখ করা হলো। এই সম্ভাব্য তালিকায় ক্ৰীড়ামন্ত্ৰী হিসেবে গৌতম গম্ভীর,বিদেশ দপ্তরের মন্ত্ৰী স্মৃতি ইরানি,অর্থ জয়ন্ত সিনহা,প্ৰতিরক্ষা রাজীব প্ৰতাপ রুডি,স্বরাষ্ট্ৰ অমিত শাহ,বাণিজ্য বরুণ গান্ধী,রেল পীউস গোয়েল,কৃষিমন্ত্ৰী রাজনাথ সিং,মানব সম্পদ মন্ত্ৰী নির্মলা সীতারমন,পরিবহণ নীতিন গাড়করি,শিল্প অরবিন্দ সাওয়ান্ত(এসএস),সংখ্যালঘু বিষয়ক মন্ত্ৰী মুক্তার আব্বাস নকভি,অসামরিক বিমান পরিবহণ পবন ভার্মা(জেডিইউ),তথ্যসম্প্ৰচার-বাবুল সুপ্ৰিয়,পেট্ৰোলিয়াম মন্ত্ৰী কিরেন রিজিজু,শক্তি মন্ত্ৰী-ড অরবিন্দ,পরিবার কল্যাণ মন্ত্ৰী অনন্ত কুমার হেগড়ে,গ্ৰামোন্নয়ন মন্ত্ৰী শিবরাজ সিং চৌহান,মহিলা সবলীকরণ মন্ত্ৰী মীনাক্ষি লেখি,নগর উন্নয়ন মন্ত্ৰী গোপাল শেঠি আইন মন্ত্ৰী রবি শঙ্কর প্ৰসাদ,হাদ্য প্ৰস্তুতকরন দপ্তরের মন্ত্ৰী চিরাগ পাসোয়ান(এলপি),পর্যটন মন্ত্ৰী অনুরাগ ঠাকুর,স্বাস্থ্য মন্ত্ৰী জেপি নাড্ডা,কুয়লা ও খনিজ মন্ত্ৰী গিরিরাজ সিং,পরিবেশ মন্ত্ৰী সদানন্দ গৌড়া,বিজ্ঞান প্ৰযুক্তি মন্ত্ৰী হরিপ্ৰিয় সুরেশ,শ্ৰমমন্ত্ৰী অনুপ্ৰিয়া প্যাটেল(এডি),বস্ত্ৰমন্ত্ৰী সরোজ পান্ডে,গ্ৰাহক বিষয়ক মন্ত্ৰী হর কিরাত কাউর বাদল,বিজেপির নতুন সভাপতি ভূপেন্দ্ৰ যাদব।

বিশেষ দ্ৰষ্টব্যঃ এই নিবন্ধের মাধ্যমে সেন্টিনেল ডিজিটেল কোন ভুল তথ্য ছড়ানোর চেষ্টা করছে না। উল্লেখিত রিপোর্টটি একটি জল্পনা মাত্ৰ। নতুন মন্ত্ৰিসভার কোনও তালিকা কেন্দ্ৰ এখনও প্ৰকাশ করেনি।

Next Story
সংবাদ শিরোনাম