অসম সহ গোটা উত্তর পূর্বে সন্ত্ৰাসী কার্যকলাপ হ্ৰাস পেয়েছে,বলল স্বরাষ্ট্ৰমন্ত্ৰক

অসম সহ গোটা উত্তর পূর্বে সন্ত্ৰাসী কার্যকলাপ হ্ৰাস পেয়েছে,বলল স্বরাষ্ট্ৰমন্ত্ৰক

গুয়াহাটিঃ ২০০৯ সাল থেকে অসম সহ গোটা উত্তর পূর্বাঞ্চলে সন্ত্ৰাস এবং এরসঙ্গে সম্পৃক্ত অন্যান্য কার্যকলাপ অনেকটাই কমেছে। স্বরাষ্ট্ৰমন্ত্ৰকের(এমএইচএ)এক রিপোর্টে(২০১৮-র ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত)এই তথ্য স্পষ্টভাবে তুলে ধরা হয়েছে। ১৯৯৭ সালের পর সন্ত্ৰাসী কার্যকলাপ এবং হত্যাকাণ্ডের ঘটনা সবচেয়ে কম ঘটেছে ২০১৮ সালে। ২০১৭ সালের তুলনায় অসম সহ উত্তর পূর্বাঞ্চলে সন্ত্ৰাসী কার্যকলাপের মাত্ৰা নেমে এসেছে ১৮ শতাংশ। সরকার এবং নিরাপত্তা বাহিনীর বিশেষ পদক্ষেপের জন্যই এমনটা সম্ভব হয়েছে। ২০১৭ সালের তুলনায় ২০১৮তে ত্ৰিপুরা ও মিজোরামে এই সময়ের মধ্যে কোনও সন্ত্ৰাসী কার্যকলাপের রেকর্ড নেই। এই সময়কালে মেঘালয়ে সন্ত্ৰাস সম্পর্কিত কার্যকলাপ হ্ৰাস পেয়েছে ৪৮ শতাংশে এবং অরুণাচল প্ৰদেশে হ্ৰাস পেয়েছে ৪০ শতাংশ। অসমে সন্ত্ৰাসজনিত ঘটনা হ্ৰাস পেয়েছে ১৬ শতাংশে এবং ২৪ শতাংশ মণিপুরে-উল্লেখ করা হয়েছে রিপোর্টে।

অসমে সন্ত্ৰাস সম্পর্কিত ঘটনা বহুলাংশে হ্ৰাস পেয়েছে। ২০০৯ সালে অসমে যেখানে সন্ত্ৰাস সম্পর্কিত ঘটনা ঘটেছিল ৪০২টি,সেইক্ষেত্ৰে ২০১৮ তে তা হ্ৰাস পেয়ে ২৮টিতে দাঁড়ায়। অনুরুপভাবে ২০০৯-এ যেখানে ৩৫৯ জন জঙ্গিকে গ্ৰেপ্তার করা হয়েছিল সেইক্ষেত্ৰে ২০১৮ তে গ্ৰেপ্তার করা হয় ১৩৩ জন জঙ্গিকে।

অন্যদিকে,২০০৯ সালে বিভিন্ন সংঘর্ষে ১৯৪ জন জঙ্গির মৃত্যু হয়। কিন্তু ২০১৮ তে বিভিন্ন অভি্যানে প্ৰাণ হারায় মাত্ৰ ৫ জন জঙ্গি।

২০০৯ সালে অসমে ৬১৬ জন জঙ্গি আত্মসমর্পণ করেছিল। কিন্তু ২০১৮ তে মাত্ৰ ১৩ জন জঙ্গি আত্মসমর্পণ করে। ২০০৯-এ অসমে সন্ত্ৰাস সম্পর্কিত ঘটনায় ২২ জন নিরাপত্তারক্ষী প্ৰাণ হারান। ইতিপূর্বে অসমে সন্ত্ৰাসী কার্যকলাপে যেখানে ১৫২ জন নাগরিকের মৃত্যু হয়েছিল সেইক্ষেত্ৰে ২০১৮ তে এই সংখ্যা নেমে দাঁড়ায় সাতজনে। ২০০৮-এ অসমে মোট ৯১ জনকে অপহরণ করা হয়েছিল। ২০১৮ তে রাজ্যে অপহরণের ঘটনা কমে ৬ জন দাঁড়ায়।

Related Stories

No stories found.
logo
Sentinel Assam- Bengali
bengali.sentinelassam.com