মুম্বইঃ মুম্বই-কোলহাপুর মহালক্ষ্মী এক্সপ্ৰেস ট্ৰেনটিকে শনিবার সকালে এক অবর্ণনীয় পরিস্থিতির মুখে পড়তে হয় অবিশ্ৰান্ত বৃষ্টিপাতের জন্য। ট্ৰেনে সওয়ার হয়েছিলেন প্ৰায় ৭০০ জন যাত্ৰী। প্ৰচণ্ড বৃষ্টি ও বন্যার জন্য ট্ৰেনটি মহারাষ্ট্ৰের বদলাপুর এবং ভানগনি স্টেশনের মধ্যে আটকে পড়ে। রেললাইন ও তার চারপাশ বন্যার জলে ডুবে যায়। বন্যার জলে ট্ৰেন আটকে পড়ার সঙ্গে সঙ্গে যাত্ৰীরাও বিপাকে পড়ে যান। জলে আবদ্ধ যাত্ৰীরা শঙ্কিত হয়ে পড়েন। চিন্তার ভাঁজ পড়ে প্ৰতিজন যাত্ৰীর কপালে। এবার কি করবেন কেমন করে রক্ষা পাবেন বন্যার আগ্ৰাসন থেকে। রীতিমতো হইচই লেগে যায় যাত্ৰীদের মধ্যে। অবশেষে আটকে পড়া ট্ৰেনের ওই ৭০০ যাত্ৰীকে উদ্ধার করে তাদের ফিরিয়ে নেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়। দুর্যোগপূর্ণ পরিস্থিতি থেকে যাত্ৰীরাও স্বস্তি ফিরে পান। তড়িঘড়ি প্ৰয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্ৰহণ করায় পরিস্থিতিও স্বাভাবিক হয়ে আসে। আটকে পড়া যাত্ৰীদের জন্য একটি বিশেষ ট্ৰেনের ব্যবস্থা করা হবে। কল্যাণ থেকে কোহালপুর গামী বিশেষ ট্ৰেনটি আটকে পড়া যাত্ৰীদের বয়ে নিয়ে গন্তব্যের উদ্দেশে যাবে বলে রেল কর্তৃপক্ষ জানান। এরআগে সেন্ট্ৰাল রেলওয়ের সিপিআও জানান,মহালক্ষ্মী এক্সপ্ৰেসের আটকে পড়া প্ৰায় ৭০০ যাত্ৰীকে নিরাপদে সরিয়ে আনা সম্ভব হয়েছে।
আজ সকালে আটকে পড়া মহালক্ষ্মী এক্সপ্ৰেসের যাত্ৰীরা ট্ৰেনের ভিতর একেবারেই অসহায় হয়ে পড়েছিলেন। অজানা আশঙ্কা ঘিরে ধরেছিল তাদের। কারণ বন্যার জল মাড়িয়ে ট্ৰেনটির এগিয়ে যাওয়া কোনওভাবেই সম্ভব ছিল না। ওই সময় রাজ্যের মুখ্যমন্ত্ৰী দেবেন্দ্ৰ ফাড়নবিশ মহালক্ষ্মী এক্সপ্ৰেসের আরোহীদের আতঙ্কিত না হওয়ার আবেদন জানান। মুখ্যমন্ত্ৰী তাদের আশ্বাস দেন এনডিআরএফ,সেনা,নৌ সেনা,স্থানীয় প্ৰশাসন,পুলিশ ও রেলওয়ে টিমের সাহা্য্যে তাদের উদ্ধারের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। পরে মুখ্যমন্ত্ৰী এক আপডেট টুইটে বলেছেন,উদ্ধারকারীরা সাফল্যের সঙ্গে উদ্ধার অভিযান সম্পন্ন করেছে।
এনডিআরএফ যে সব যাত্ৰীদের উদ্ধার করেছে তাদের মধ্যে নয় জন সন্তান সম্ভবা মহিলা ছিলেন। এদের প্ৰত্যেককেই নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া সম্ভব হয়েছে। উদ্ধারকারী দলে ৩৭ জন ডাক্তার ও একজন স্ত্ৰীরোগ বিশেষজ্ঞ ছিলেন। তারাও জানিয়েছেন সন্তান সম্ভবা প্ৰত্যেককেই নিরাপদে উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে।
অন্যান্য খবরের জন্য পড়ুনঃ বন্যায় মৃত্যু বেড়ে ৬৯,নিম্ন অসমে পরিস্থিতি ফের শোচনীয়