কেরলের প্ৰখ্যাত আইনজীবী পিএস শ্ৰীধরন পিল্লাই মঙ্গলবার মিজোরামের নতুন রাজ্যপাল হিসেবে শপথ নিয়েছেন। ১৯৮৭ সালে মিজোরাম পূর্ণাঙ্গ রাজ্যের মর্যাদা পাওয়ার পর তিনি হলেন ২১তম রাজ্যপাল।
গৌহাটি ’হাইকোর্টের মুখ্য বিচারপতি অজয় লাম্বা রাজভবনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে পিল্লাইকে গোপনীয়তা রক্ষার শপথ বাক্য পাঠ করান। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্ৰী জোরামথাঙ্গা,বিধানসভার অধ্যক্ষ লালরিনলিয়ানা সাইলো,ক্যাবিনেট মন্ত্ৰী,বিধায়ক এবং অন্যান্য বিশিষ্ট ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন। প্ৰাপ্ত রিপোর্ট মতে,শপথগ্ৰহণ অনুষ্ঠান শেষে পিল্লাই বলেন,কেন্দ্ৰের কাছ থেকে সাহায্য আদায়ে রাজ্য সরকারকে তিনি সম্ভাব্য সবরকমের সাহা্য্য করবেন।
তিনি আরও বলেন,মিজোরামের সর্বাঙ্গীণ উন্নয়নে তিনি কাজ করবেন। রাজ্যের পর্যটন,যোগাযোগ এবং পরিকাঠামো উন্নয়নে অগ্ৰাধিকার দেবার কথাও উল্লেখ করেন তিনি। ‘এই প্ৰথম আমি রাজ্যপালের দায়িত্ব নিয়েছি’। ‘আশে করছি খুব শীঘ্ৰই মিজোরামের মানুষ ও পরিবেশের সঙ্গে মানিয়ে নিতে পারবো। তিনি বলেন,বিভিন্ন ক্ষেত্ৰে মিজোরামের সঙ্গে কেরলের তালমিল রয়েছে। মিজোরামের মানুষের কল্যাণে আমি যথাসাধ্য চেষ্টা করবো’-বলেন পিল্লাই।
রাজনীতি থেকে রাজ্যপাল পদে আসা পিল্লাই আরও বলেন,রাজ্যপালের কার্যালয়ের নিয়ম নীতি তিনি মেনে চলবেন এবং নিজে কোনও রাজনীতিতে জড়াবেন না।
পিল্লাই আরও বলেন,রাজ্যপাল পদে থাকাকালে মিজোরামের সব প্ৰত্যন্ত গ্ৰামে যাওয়ার চেষ্টা তিনি অবশ্যই করবেন।
১৯৫৩ সালের ডিসেম্বরে পিল্লাইয়ের জন্ম কেরলের আলাপুজা জেলার ভেনমনিতে। তাঁর বাবা ভিজি সুকুমারন নায়ার এবং মা ভবানী আম্মা। পানডালামের এনএসএস কলেজ থেকে কলা শাখায় স্নাতক ডিগ্ৰি লাভ করেন তিনি। পরে ১৯৭৮ সালে ক্যালিকটের সরকারি কলেজ থেকে আইনে স্নাতক ডিগ্ৰি অর্জন করেন। অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদে(এবিভিপি)তাঁর রাজনৈতিক জীবন শুরু হয় এবং ১৯৭৮ সালে ওই দলের সেক্ৰেটারি নিযুক্ত হন।
২০০৩ থেকে ২০০৬ পর্যন্ত দলের কেরল শাখার সভাপতি ছিলেন পিল্লাই। ২০১৮তে ফের রাজ্য বিজেপির সভাপতি নির্বাচিত হয়েছিলেন তিনি।
রাজনীতি এবং পেশাগত জীবন ছাড়াও একজন সমাজকর্মী ও সৃষ্টিশীল লেখক হিসেবেও তিনি জ্ঞাত।
অন্যান্য খবরের জন্য পড়ুনঃ মধ্যাহ্ন ভোজনের রাঁধুনিদের চাকরির নিরাপত্তার আশ্বাস দিলেন শিক্ষামন্ত্ৰী
অধিক খবরের জন্য ভিডিও দেখুন: Pramila Rani Brahma has no other option left except joining the Gana Suraksha Party: MP Naba Sarania