সন্ত্ৰাসবাদ দমনে লোকসভায় উতরে গেলো এনআইএ বিল

সন্ত্ৰাসবাদ দমনে লোকসভায় উতরে গেলো এনআইএ বিল

নয়াদিল্লিঃ ন্যাশনাল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি(সংশোধনী)বিল ২০১৯ সোমবার লোকসভায় পাস হয়ে যায়। দেশের ভিতর এবং বিদেশের মাটিতে ভারতীয়দের নিশানা করে এবং ভারতীয় সম্পত্তির ওপর সন্ত্ৰাসী হামলার বিরুদ্ধে তদন্তকারী এই সস্থাটিকে আরও ক্ষমতা দিতে চাওয়া হয়েছে এই বিলের মাধ্যমে। দেশের বাইরে ভারতীয়দের ওপর সন্ত্ৰাসী হামলার তদন্ত ক্ষমতা পাচ্ছে এনআইএ। লোকসভায় এই বিলের পক্ষে সায় দেন মোট ২৭৮ জন সদস্য। ৬ জন বিলের বিরোধিতা করেছেন।

বিলটিকে আইনি রূপ দেওয়ার জন্য এখন সেটি রাজ্যসভায় উত্থাপন করা হবে এবং এরপরই প্ৰয়োজন হবে রাষ্ট্ৰপতির অনুমোদনের। বিলটি নিয়ে সদনে এদিন বেশ কিছুক্ষণ চর্চা চলে। স্বরাষ্ট্ৰমন্ত্ৰী অমিত শাহ বলেন,সন্ত্ৰাস তো সন্ত্ৰাসই। এর কোনও জাতপাত হয় না। তিনি সাফ জানিয়ে দেন,সন্ত্ৰাসবাদের বিরুদ্ধে কেন্দ্ৰের মোদি সরকারের শূন্য সহিষ্ণু নীতির সঙ্গে কোনওরকম আপস রফা করা হবে না। সন্ত্ৰাসের বিরুদ্ধে এনআইএ আইন কঠোর করতে সংশ্লিষ্ট সংশোধনী বিল নিয়ে বিরোধীরা বাগড়া দিলে শাহ পরিষ্কার করে দিয়ে বলেন,দেশ থেকে সন্ত্ৰাসবাদের শিকড় উপড়ে ফেলতেই এনআইএ-র ক্ষমতা বৃদ্ধির জন্যই এই বিল আনা হয়েছে। সন্ত্ৰাস বিরোধী আইনে জাতি,ধর্ম ইত্যাদি বিষয় দেখা হবে না। এই আইনে পরিবর্তন আনার একটাই উদ্দেশ্য সন্ত্ৰাসবাদ সম্পর্কিত মামলাগুলোর সক্ৰিয় মোকাবিলা করা। সন্ত্ৰাসবাদ সংক্ৰান্ত আইনটির অপব্যবহার করা হতে পারে বলে বিরোধীরা প্ৰশ্ন উত্থাপন করলে জবাবে শাহ বলেন,এনআইএ অথবা অন্য কোনও নিরাপত্তা সংস্থাকে কখনোই অপব্যবহার করবে না কেন্দ্ৰীয় সরকার। তিনি বলেন,সন্ত্ৰাসবাদকে দেশের মাটি থেকে উৎখাত করাই এই বিলের লক্ষ্য। ‘বেশকজন সদস্য বলেন, পোটা(প্ৰিভেনশন অফ টেরোরিজম অ্যাক্ট)রদ করতে হয়েছিল এর অপব্যবহারের জন্য। টাডা (টেরোরিস্ট অ্যান্ড ডিসরাপটিভ অ্যাক্টিভিটিস প্ৰিভেনশন অ্যাক্ট)আইনও রদ করা হয়েছিল সেটির অপব্যবহার করায়। জবাবে শাহ বলেন,আমি এব্যাপারে থাকা রেকর্ড সম্পর্কে এটা খোলসা করে দিতে চাই যে পোটা আইন অপব্যবহারের জন্য রদ করা হয়নি। পোটা রদ করা হয়েছিল ভোট ব্যাংকের রাজনীতি করার জন্য।

এর আগে আলোচনায় অংশ গ্ৰহণ করে বরিষ্ঠ কংগ্ৰেস নেতা মণীশ তিওয়ারি অভি্যোগ করে বলেন,সরকার দেশকে পুলিশি রাষ্ট্ৰে পরিণত করার চেষ্টা করছে। এর পাল্টা জবাবে শাহ বলেন,মোদি সরকার তোষণের রাজনীতির ধার ধারে না। তাই সরকার কোনও ধর্মের ভিত্তিতে এই আইনের অপব্যবহার মোটেই করবে না। শাহ বলেন,দেশের বাইরেও এনআইএ-র তদন্ত ক্ষমতা বাড়ানোর লক্ষ্যে এই সংশোধনী বিলটি এনেছে সরকার। বিলটি আইনি রূপ পেলে দেশের বাইরেও ভারতীয়দের ওপর সন্ত্ৰাসী হামলার তদন্ত ক্ষমতা পাবে এনআইএ। এছাড়াও মানুষ পাচার,অবৈধ অস্ত্ৰ নির্মাণ,জালনোট,সাইবার অপরাধ এবং বিস্ফোরক আইনে নথিভুক্ত অপরাধগুলোরও তদন্ত করতে পারবে এনআইএ। সেইসঙ্গে বিশেষ আদালতে স্থাপন করে এই সব নির্ধারিত অপরাধের বিচারের ব্যবস্থা করতে পারবে এনআইএ। ২০০৮ সালে মুম্বইয়ে সন্ত্ৰাসী হামলার পরিপ্ৰেক্ষিতেই এনআইএ গঠিত হয়েছিল।

Related Stories

No stories found.
logo
Sentinel Assam- Bengali
bengali.sentinelassam.com