Begin typing your search above and press return to search.

এনআরসি-র ইতিবাচক ও দুঃখজনক দুটো দিকই রয়েছেঃ হিমন্ত

এনআরসি-র ইতিবাচক ও দুঃখজনক দুটো দিকই রয়েছেঃ হিমন্ত

Sentinel Digital DeskBy : Sentinel Digital Desk

  |  4 Sep 2019 10:29 AM GMT

গুয়াহাটিঃ চলতি বছরের ৩১ আগস্ট রাজ্যে চূড়ান্ত যে রাষ্ট্ৰীয় নাগরিক পঞ্জি(এনআরসি)প্ৰকাশিত হয়েছে তাতে ইতিবাচক এবং দুঃখজনক দুটো দিকই দেখতে পাচ্ছেন রাজ্যের অর্থমন্ত্ৰী হিমন্তবিশ্ব শর্মা। তাঁর মতে,এনআরসি নবায়ন প্ৰক্ৰিয়ায় অনেক কারিগরি ত্ৰুটি ও ফাকফোকড় থেকে গেছে,যা এর ইতিবাচক দিকটাকে ক্ষুণ্ণ করেছে এবং এটাকে এমন একটা দলিলের রূপ দিয়েছে যা রাজ্যের মানুষের প্ৰত্যাশার ঊর্ধ্বে নয়।

দ্য সেন্টিনেলের সঙ্গে আলোচনার সময় শর্মা বলেন,‘আসুন আমরা প্ৰথমে এর ইতিবাচক দিকগুলো নিয়ে আলোচনা করি। আমরা একটা নবায়িত এনআরসি পেলাম। এটা রাজ্যে আরও অনুপ্ৰবেশ রুখতে কার্যকরী ভূমিকা নেবে। ভবিষ্যতে এনআরসি নবায়নের প্ৰশ্ন উঠলে এটা আমাদের সাহা্য্য করবে। এটাকে আমরা ভিত্তি হিসেবে ধরতে পারবো। নবায়িত এনআরসি-র আরও একটা ইতিবাচক দিক হলো,এটা ১৯ লক্ষেরও বেশি মানুষকে এনআরসিতে অন্তর্ভুক্তির অযোগ্য হিসেবে চিহ্নিত করেছে। বিদেশি ট্ৰাইবুনাল(এফটি)যদি এই সব লোকেদের ৫০ শতাংশকে ভারতীয় হিসেবে ঘোষণা করে তাহলে ৯ লক্ষের বেশি মানুষ বিদেশি ঘোষিত হবেন। অসমে আরও বিদেশি আছে কিনা এটা মানুষের সেই আশঙ্কার ন্যা্য্যতাকেই প্ৰতিপন্ন করবে’।

এনআরসির দুঃখজনক দিক সম্পর্কে শর্মা আরও বলেন,‘১৯৭১ সালেরও আগে যাদের রিফিউজি সার্টিফিকেট ইস্যু করা হয়েছিল,এনআরসি কর্তৃপক্ষ সেগুলো অস্বীকার করেছেন। এরফলে ব্যাপক সংখ্যক হিন্দু বাঙালি,কোচ রাজবংশী এবং বৌদ্ধ ধর্মীয় মানুষ এনআরসিতে অন্তর্ভুক্তির অযোগ্য বিবেচিত হয়েছেন। এছাড়া জন্মের বহু প্ৰমাণপত্ৰ,লিগ্যাসি ডাটা জালিয়াতি অথবা কৌশলে সংগ্ৰহ করা হয়েছে। পুলিশ এধরনের অনেক মামলা চিহ্নিত করেছে এবং তদন্তের পর এর প্ৰাইমা ফেসি সাক্ষ্যপ্ৰমাণও পেয়েছে। গুরুত্বপূর্ণ এনআরসি নথি জালিয়াতি এবং কৌশলে সংগ্ৰহ করার এজাতীয় ঘটনার পরীক্ষা নিরীক্ষার প্ৰয়োজন রয়েছে’।

শর্মা আরও বলেন,‘আমরা বলেছি সীমান্ত জেলাগুলোতে খুব কমই আবেদনকারীর নাম এনআরসি থেকে বাদ পড়েছে। কার্বি আংলঙের মতো জেলাগুলোতে বাদ পড়েছে ১৫ থেকে ২০ শতাংশ আবেদনকারীর নাম। রাজ্যের তদানীন্তন রাজ্যপাল এসকে সিনহা স্বরাষ্ট্ৰ মন্ত্ৰককে(এমএইচএ)পাঠানো এক রিপোর্টের ভিত্তিতেই প্ৰধানত রাজ্যে এনআরসি নবায়নের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। তবে চূড়ান্ত এনআরসি তার উল্টো চিত্ৰই তুলে ধরলো’।

এনআরসি-র ভবিষ্যৎ কার্য ব্যবস্থা সম্পর্কে শর্মা বলেন,‘সীমান্ত জেলাগুলোর ২০ শতাংশ ও অন্যান্য জেলার ১০ শতাংশ নথিপত্ৰ রি-ভেরিফিকেশন করার জন্য আমরা সুপ্ৰিমকোর্টে আবেদন জানিয়েছিলাম। কিন্তু শীর্ষ আদালত আমাদের প্ৰস্তাব খারিজ করে দিয়েছে,এনআরসির রাজ্য সমন্বয়ক প্ৰতীক হাজেলা ২৭ শতাংশ নথিপত্ৰের রি-ভেরিফিকেশন হয়েছে বলে সুপ্ৰিমকোর্টে বয়ান দেওয়ায়। প্ৰকৃতপক্ষে ২৭ শতাংশ রি-ভেরিফিকেশন হয়েছিল কি? যদি হতো তাহলে পুরো ছবিটাই পৃথক হতো। তবে এনআরসি-র নথিপত্ৰ রি-ভেরিফিকেশনের জন্য আমরা সুপ্ৰিমকোর্টে যাচ্ছি’-বলেন তিনি।

অন্যান্য খবরের জন্য পড়ুনঃ

অধিক খবরের জন্য ভিডিও দেখুন:

Next Story
সংবাদ শিরোনাম