এনআরসি নবায়ন ইস্যুর বিভিন্ন দিক নিয়ে সুপ্ৰিম কোর্টে আজ শুনানি

এনআরসি নবায়ন ইস্যুর বিভিন্ন দিক নিয়ে সুপ্ৰিম কোর্টে আজ শুনানি
Published on

গুয়াহাটিঃ রাষ্ট্ৰীয় নাগরিক পঞ্জি(এনআরসি)নবায়ন প্ৰসঙ্গে যে সমস্ত পিটিশন দাখিল করা হয়েছিল,সুপ্ৰিম কোর্ট আজ সেগুলি শুনানির জন্য গ্ৰহণ করছে। ইস্যুগুলি নিয়ে শুনানির পর শীর্ষ আদালতের তরফে একটা নির্দিষ্ট নির্দেশনার জন্য পথ চেয়ে আছেন সমস্ত দাবিদাররা। এনআরসি নবায়ন নিয়ে বিভিন্ন মূল ইস্যু এখনও সমাধানের অপেক্ষায় রয়েছে। এনআরসি নবায়নে বিভিন্ন ভুলচুক থেকে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছিল। তাছাড়া এনআরসি-র রাজ্য সমন্বয়কের পক্ষ থেকে এনআরসি ছুটদের রিজেকশন অর্ডার আজ অবধি ইস্যু করা হয়নি। এরই পরিণতিতে ২০১৯-এর আগস্টে চূড়ান্ত এনআরসি প্ৰকাশের চার মাস পেরিয়ে যাওয়ার পরও অযোগ্য ঘোষিত ১৯ লক্ষাধিক মানুষের নাম এনআরসিতে অন্তর্ভুক্তি নিয়ে অনিশ্চয়তার ঘোর এখনও কাটেনি। চূড়ান্ত এনআরসি থেকে বাদ পড়েছিল মোট ১৯,০৬,৬৫৭ জন মানুষের নাম। সুপ্ৰিমকোর্টে প্ৰধান আবেদনকারী আসাম পাবলিক ওয়ার্কসের(এপিডব্লিউ)সভাপতি অভিজিৎ শর্মা দ্য সেন্টিনেলকে বলেছেন,‘২০১৯-এর ৩১ আগস্ট যে চূড়ান্ত এনআরসি প্ৰকাশিত হয়েছে তাতে আমরা সন্তুষ্ট নই। ওই এনআরসিতে বহু বাংলাদেশি ও জেহাদির নাম অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। এব্যাপারে আমরা ইতিমধ্যেই শীর্ষ আদালতে বিস্তারিত তথ্য দাখিল করেছি। অসমের নাগরিক পঞ্জি সার্বিকভাবে পুনর্বিবেচনার জন্য সুপ্ৰিম কোর্টে ইতিমধ্যেই প্ৰস্তাব দাখিল করেছি আমরা’।

এপিডব্লিউ ২০০৯ সালে সুপ্ৰিমকোর্টে একটি মামলা দাখিল করেছিল। ওই মামলায় লক্ষ লক্ষ বাংলাদেশির নাম রাজ্যের ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হয়েছে বলে অভিযোগ করেছিল তারা। ওই মামলার ভিত্তিতেই শীর্ষ আদালত পরে ১৯৫১ সালের এনআরসি নবায়নের জন্য কেন্দ্ৰীয় সরকারকে নির্দেশ দিয়েছিল। এরই ফলশ্ৰুতিতে অসমে এনআরসি নবায়নের কাজ সম্পন্ন করা হয়। পরে,সারা অসম ছাত্ৰ সংস্থাও(আসু)এই মামলায় একটি দল হয়ে পড়ে। এনআরসি নবায়নের কাজে ব্যাপক আর্থিক নয়ছয়ের অভি্যোগ সম্পর্কে শর্মা বলেন,এনআরসির রিপোর্ট সম্পর্কে আমরা সম্প্ৰতি কম্পট্ৰোলার অ্যান্ড অডিটর জেনারেলের(ক্যাগ)কাছ থেকে একটা কপি পেয়েছি। এনআরসি নবায়নে মোট বরাদ্দ ধার্য হয়েছিল ১৬০০ কোটি টাকা ক্যাগ-এর মধ্যে ৯০০ কোটি টাকা সম্পর্কে পরীক্ষা নিরীক্ষা করেছে। ক্যাগের রিপোর্টে বলা হয়েছে,এনআরসি নবায়নে প্ৰায় ১৫০ কোটি টাকা নয়ছয় দেখা গেছে।

এনআরসি প্ৰকাশের অনেক আগেই এপিডব্লিউ বলেছিল,‘এই গোটা প্ৰক্ৰিয়ায় আর্থিক নয়ছয় হয়েছে। ‘ক্যাগের এই রিপোর্ট আমরা শীর্ষ আদালতে অবশ্যই পেশ করবো। কোর্টে নথিপত্ৰ পেশ করার ক্ষেত্ৰে কিছু প্ৰক্ৰিয়া মেনে চলতে হয়। তাই এই কাজ করতে আমাদের আরও কিছুটা সময় লাগবে’।

অন্যদিকে,আসুর সাধারণ সম্পাদক লুরিনজ্যোতি গগৈ দ্য সেন্টিনেলকে বলেন,গত বছর প্ৰকাশিত চূড়ান্ত এনআরসিতে ত্ৰুটি থেকে যাওয়ার অভি্যোগ রয়েছে। ওই এনআরসিতে বহু অবৈধ বিদেশির নাম উঠেছে,রাজ্যের বহু মূল বাসিন্দার নাম বাদ গেছে। আমরা এনআরসি পুনরায় সংশোধনের জন্য সুপ্ৰিমকোর্টে আবেদন জানিয়েছি। মূল যে সমস্ত বাসিন্দার নাম বাদ পড্ৰেছে তাদের নাম সরাসরি এনআরসিতে অন্তর্ভুক্ত করার দাবি জানিয়েছি আমরা। সুপ্ৰিম কোর্ট এব্যাপারে ইতিবাচক পদক্ষেপ নেবে বলে আসু আশাবাদী’-বলেন গগৈ।

অধিক খবরের জন্য ভিডিও দেখুন: Namghar Samannay Mancha staged protest against CAA 2019 in Golaghat

logo
Sentinel Assam- Bengali
bengali.sentinelassam.com