২০০৮ সালের ৩০ অক্টোবর রাজ্যে উপর্যুপরি বোমা বিস্ফোরণে যাঁরা প্ৰাণ হারিয়েছিলেন তাঁদের স্মৃতিতে প্ৰতি বছরই আজকের দিনটি কালো দিবস হিসেবে পালিত হয়ে আসছে। ২০০৮-এর ৩০ অক্টোবর ধারাবাহিক বোমা বিস্ফোরণে কেঁপে উঠেছিল গুয়াহাটি,বরপেটা রোড,বঙাইগাঁও ও কোকরাঝাড়। ওই ঘটনায় মৃত্যুর মিছিল দেখা গিয়েছিল। বিস্ফোরণ রেখে গিয়েছিল ধ্বংসের ছাপ। সেদিনের ওই ঘটনার কথা আজও মানুষের মন থেকে মুছে যায়নি। বিস্ফোরণে শুধু গুয়াহাটিতেই প্ৰাণ হারিয়েছিলেন ৭২ জন।
গুয়াহাটির পানবাজার স্থিত সিজেএম আদালত চত্বর এবং গণেশগুড়ির উড়াল সেতুর কাছে বিস্ফোরণে যারা প্ৰাণ হারিয়েছিলেন তাঁদের স্মৃতিতে আজ শ্ৰদ্ধা জানান জনগণ।
বিস্ফোরণ কাণ্ডের ১১ বছর কেটে গেছে। কিন্তু উপর্যুপরি সরকার ক্ষমতায় আসা সত্ত্বেও ক্ষতিগ্ৰস্ত পরিবারগুলোকে উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ দিতে সক্ষম হয়নি। নারকীয় ওই হত্যাকাণ্ডের অপরাধীরা আজও অবাধে ঘুরে বেড়াচ্ছে। প্ৰতি বছরের মতো এবারও গণেশগুড়ি উড়াল সেতুর কাছে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয় বিস্ফোরণে নিহতদের প্ৰতি শ্ৰদ্ধা জানাতে।
সারা রাজ্যেই এই দিনটি সন্ত্ৰাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াই চালানোর জন্য উৎসর্গ করা হয়। সারা অসম ছাত্ৰ সংস্থার(আসু)এদিন তাদের কার্যালয় এবং রাজ্যের অন্যান্য জন বসতিপূর্ণ স্থানে প্ৰদীপ প্ৰজ্বলন করে। মুখ্যমন্ত্ৰী সর্বানন্দ সোনোয়াল দেশের সীমান্তে সন্ত্ৰাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াই চালানো সৈনিকদের জন্য তিনটি মোমবাতি জ্বালাতে রাজ্যের জনগণের প্ৰতি আবেদন জানিয়েছেন।
অন্যান্য খবরের জন্য পড়ুনঃ অসমে প্ৰতি বছর ৮০ হাজার মানুষ স্ট্ৰোকে আক্ৰান্ত হচ্ছেন
অধিক খবরের জন্য ভিডিও দেখুন: Poster, Song and Teaser for the upcoming movie ‘Pratighat’ released Yesterday.